Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

জিজ্ঞাসার জবাব

| প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
১। মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাকওয়ান, শাহাপুর, কুমিল্লা।
জিজ্ঞাসা : কোরআন-হাদিস ও বিজ্ঞানের সমন্বয় সম্ভব কিনা?
জবাব : আমাদের ছায়াপথে পৃথিবীর মতো প্রায় ১৭শ কোটি গ্রহ আছে। ছায়াপথের নক্ষত্রগুলোর ১৭ শতাংশ বা প্রতিটি নক্ষত্রের ছয়টি গ্রহের মধ্যে একটি পৃথিবীর আকারের। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটির ২২১তম বৈঠকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে আমাদের ছায়পথে প্রায় ১০ হাজার কোটি নক্ষত্র রয়েছে। এসব গ্রহে অদ্ভূত বৃহদাকার জীবের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) একদল জ্যোতির্বিদ দাবি করেছেন, পৃথিবীর মতো আরেকটি গ্রহের খোঁজ মিলেছে। এটি নিজ নক্ষত্রকে যতটুকু দূরে থেকে প্রদক্ষিণ করছে, তা আমাদের পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী দূরত্বের প্রায় সমান। (রয়টার্স, এএফপিও, বিবিসি) এটি পৃথিবীর চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি বড়। বিজ্ঞানীরা বলেন, আকৃতি ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যাচাই করে মনে হচ্ছে ওই গ্রহে পাথর, আগ্নেয়গিরি, মহাসাগর ও সূর্যালোক থাকতে পারে। তবে সেখানকার মধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর দ্বিগুণ এবং বছর হয় ৩৮৫ দিনে। গ্রহটির অবস্থান ১ হাজার ৪০০ আলোক বর্ষ দূরে সিগনাস নক্ষত্র ম-লে। এটি যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে তা আমাদের সূর্যের সমান হলেও বেশি পুরনো। এটির বয়স প্রায় ৬০০ কোটি বছর। কিন্তু আমাদের সূর্যটি ৪৬০ কোটি বছরের পুরনো। জ্যোতির্বিদরা মনে করেন এ আবিষ্কারের ফলে পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর বসবাসযোগ্য স্থানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা জোরালো হলো। নাসার বিজ্ঞানী জন-জেনকিনস বলেন, এ পর্যন্ত পৃথিবীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে নতুন চিহ্নিত গ্রহটির। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সুজান আই গ্রেইন বলেন, কেপলার ফোরফিফটি টুবির যেসব বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে এতে মনে হচ্ছে এটিই এ পর্যন্ত তার জানামতে সবচেয়ে বেশি পৃথিবীসদৃশ গ্রহ। এই গ্রহের নাম ‘ফোরফিফ টুটুবি’। (দ্র. প্রথম আলো ডেস্ক-২৫-৭-১৫ইং)
আবিষ্কৃত হলো পৃথিবীর কাছের বাসযোগ্য গ্রহ ‘ওলফ-১০৬১-সি’। যা পৃথিবী থেকে ১৪ আলোক বর্ষ দূরে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এ গ্রহটিতে রয়েছে জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট। এ গ্রহটি হলো পৃথিবীর কাছাকাছি প্রথম গ্রহ, সেখানে প্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জীবনের সম্ভাবনা থাকায় এ গ্রহটিতে নতুন করে অনুসন্ধান শুরু করেছেন গবেষকরা। (দৈনিক দিনকাল-১৯-১২-১৫) আমরা চেয়ে রইলাম সেদিনের দিকে যেদিন কোরআন, হাদিস আর বিজ্ঞানের হবে সমন্বয়। এতে মানুষ অনেক উপকৃত হবে, জানবে তার ¯্রষ্টাকে ও তাঁর সৃষ্টি রহস্যকে। এটাই তো সৃষ্টিকর্তার সুষ্টির স্বার্থকতা যে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ জানবে ¯্রষ্টাকে। প্রশংসা করবে ও সেজদায় মাথানত করবে তাকে প্রভু বলে। বারোশরীফের সুফী সাধক হযরত শাহ সুফী মীর মাসউদ হেলাল (র.)
উত্তর দিচ্ছেন : নাজির আহমদ জীবন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ