পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি, তারা বিষয়টি জানতেন না। যারা সেই বিএনপি নেতাকে বহন করে এনেছিল শুধু তারাই জানতেন অন্যরা কেউ জানতো না। তবে আমি মনে করি, জানাজার সময় তার ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কারাগার থেকে কয়েক ঘন্টার জন্য প্যারোলে বেরিয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতা আলী আজম ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে চেক করেছি, গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো জেল প্রশাসনের কাজ। সেটি আবার পুলিশের অধিনে নয়, একজন আইজি প্রিজন আছেন, সেই প্রশাসনের অধিনে। যেহেতু কয়েকদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে গেছে এবং তাদের প্রতি যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিলো, সেটি করা হয়নি বলে তদন্তে উঠে এসেছে, এ জন্য তারা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে। ড. হাছান বলেন,বিএনপির মেরামত দরকার কারণ তারা গত ১৪ বছর ধরে যেভাবে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে, জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি করেছে, রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, এ ধরনের রাজনৈতিক দল যখন রাষ্ট্র সম্পর্কে মেরামতের কথা বলে তখন মানুষ স্বাভাবিকভাবে আতংকিত হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ২৭ দফার অনেক কিছু তারা যে নীতি নিয়ে চলছে, সেটির সাথে সাংঘর্ষিক। একদিকে যেমন তারা যে সব মৌলবাদী দলগুলোর সাথে জোট করেছে, তাদের কারো কারো মূল মতাদর্শ হচ্ছে বাংলাদেশকে ধর্মরাষ্ট্র আফগানিস্তানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, আবার অন্য দিকে বিএনপি দফা দিয়েছে ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ অর্থাৎ তাদের কথা ও কাজে এটা প্রচন্ড সাংঘর্ষিক।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, রাষ্ট্র মেরামত কেন বলা হলো! এভাবে দফাগুলোর নাম দেওয়া ঠিক নয়। এটি কি কারখানা যে মেরামত করতে হবে! আসলে বিএনপিরই মেরামত দরকার। আর যাদের মস্তিষ্ক থেকে এগুলো আসছে, তাদের মস্তিষ্করও মেরামত দরকার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে আবারও বিএনপির অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সব দলকে নির্বাচনমুখী করা। আমরাও চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। একটি প্রতিযোগিতামূলক সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক,সেটি আমরা চাই। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটি একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
এদিকে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিল ২০২২ এর অনুষ্ঠানস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‹আওয়ামী লীগ সবসময়ই একটি স্মার্ট দল। আওয়ামী লীগই সবসময় প্রথমে ভাবে জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে কি করতে হবে। আওয়ামী লীগের হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে, স্মার্ট বাংলাদেশও আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হবে। নির্মীয়মান মঞ্চ ও আসনস্থল পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক এমপি মো. নবী নেওয়াজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আক্তার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আ হ ম তারেক উদ্দীন, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য মোহান্মদ রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।