পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : দীর্ঘ ১৭ দিনেও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। ফলে দুই কোটি টাকার বার্জ মাত্র ২৫ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করে দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট বন্দরের ভূমি উদ্ধারে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালান। এই প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বন্দরের লিজকৃত জমিতে স্থাপিত ডক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বার্জ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামসিকো তাদের বার্জটি সরিয়ে নিতে ১০ দিন সময় চান।
বার্জ নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বন্দর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেয়া আবেদনে বলা হয়, ৩৫০ টন ওজনের বার্জটি টেনে পানিতে ভাসাতে ১০ দিন সময় লাগবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ৭০ জন লেবার দিয়ে বার্জের নিচে যোগান দেয়া শতাধিক বালুর বস্তা সরিয়ে ফেলে এবং এংগেল কেটে বার্জ পানিতে ভাসানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এ অবস্থায় গত ২৭ নভেম্বর বন্দর ম্যাজিস্ট্রেট জুটব্যালি ঘাটে এসে উপস্থিত লোকজনকে নিলাম ডাকার আহ্বান জানান এবং গ্রামসিকো-১ নামকরণের দুই কোটি টাকার বার্জটি ২৫ লাখ টাকায় নিলামে ছেড়ে দেন। জানা যায়, কন্টিনেন্টাল এজেন্সির ইয়ার্ডে নির্মাণাধীন এই বার্জটির ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। এই বার্জটি বানাতে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা। বার্জটি কর্ণফুলী নদীর প্রবাহে কোনো বাধার সৃষ্টি করেনি এবং বার্জের ৯০ শতাংশ এখনো জমিনের উপর রয়েছে।
এ ব্যাপারে বার্জটির মালিক গ্রামসিকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মাহফুজ সামদানী বলেন, অন্যের মালিকানা বার্জ এভাবে বিক্রি করে দেয়া যায় কিনা তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। বন্দর কর্তৃপক্ষও এর জবাব দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বার্জটি আমাদের বুঝিয়ে দেয়ার ব্যপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
মাহফুজ সামদানী আরো বলেন, বার্জটি পানিতে নামাতে না পারায় দৈনিক ৪০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। অন্য দিকে, এই ডক ইয়ার্ডের জায়গাটি ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ১৯৮৪ সাল থেকে সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে পরিচালনা করে আসছে। আমরা এই বার্জ বানানোর জায়গা ভাড়া বাবদ ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে মাসিক ৬০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে গত ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর নৌ-পরিবহন সচিবের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরি। আমরা বলেছি, দুই কোটি টাকা মূল্যের বার্জের মালিককে নোটিস প্রদান না করে, আইনগতভাবে সম্পদ বাজেয়াপ্ত না করে, বার্জের রিজার্ভ প্রাইজ নিশ্চিত না করে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে তাৎক্ষণিক নিলামে বিক্রি করাটা আইন বহির্ভূত। এদিকে এভাবে একটি নতুন বার্জ কোনো ধরনের আইন না মেনে নিলামে বিক্রি করে দেয়া নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছেÑ বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যতে এই শিল্পে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।