পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মীর মো. নূরে আলম ওরফে লিমন (৩৪) গ্রেফতার হয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর তিনি পলাতক ছিলেন। গত রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-২-এর একটি দল।
র্যাব-২ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নূরে আলমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার বাবার নাম মীর মো. নুরুল ইসলাম। বাড়ি রংপুরের পীরগাছায়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিশ্বজিৎ হত্যায় নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল কর্মী নৃশংসভাবে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ডিবি পুলিশ ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন। পরে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ড পাওয়া ৮ আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে ২০১৭ সালে রায় দেন হাইকোর্ট। নূরে আলমসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন হাইকোর্ট। অপর দুজনকে খালাস দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেছিলেন, তারা খালাস পান। হাইকোর্টের রায় ঘোষণার সময়ও নূরে আলম পলাতক ছিলেন বলে জানায় র্যাব।
মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।