Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আমাদের দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে পাকিস্তান

আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ আজকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এই দেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। পাকিস্তান আমাদের দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বাংলাদেশ তাদের পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপিত হয়। এটিই বঙ্গবন্ধুর, তার কন্যার রাষ্ট্র পরিচালনার স্বার্থকতা।

গতকাল শনিবার তথ্য ভবন মিলনায়তনে বিজয়ের ৫১ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালির ৫ হাজারের বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশই প্রথম জাতিরাষ্ট্র গঠন করে। বাংলাদেশ বহুবার স্বাধীনতার চেষ্টা করেছে, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। তিতুমীর চেষ্টা করেছিলেন, ক্ষুদিরাম চেষ্টা করেছিলেন, প্রীতিলতা চেষ্টা করেছিলেন, স্বাধীনতা আসেনি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু চেষ্টা করেছিলেন, স্বাধীনতা আসেনি। তারপর ৪৭-এর দেশ বিভাগ। বহু বছরের সংগ্রাম শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করলেন, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু যেই মাত্র ঘোষণা দিলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই পূর্ব পাকিস্তানে বার্তা পাঠায়, চতুর শেখ মুজিব কার্যত পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, আমাদের চেয়ে-চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না। এরপর, এক সাগর রক্ত, ৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অনেক বিকৃতি হয়েছে। খলনায়কদের নায়ক বানানো হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষিত আছে। সেটি তো মুছে ফেলা যায়নি। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল। সেই আজিজুর রহমান, যে যুদ্ধ শুরুর পর জাতিসংঘে বলেছিল পূর্ব পাকিস্তানে কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না। এই ছিল পাকিস্তানের ডেপুটি লিডার হিসেবে তার বক্তব্য। এরশাদ সাহেবও কম যাননি। এরপর বিএনপি জামায়াতে ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় গেছে। যারা পাকিস্তানের পতাকার জন্য লড়েছে, তাদের গাড়িতে লাল-সবুজের পতাকা টানিয়ে দিয়েছিল খালেদা জিয়া। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি। আমরা ৮ শতাংশের বেশি করেছি, কিন্তু এখনও ৯ শতাংশ স্পর্শ করতে পারেনি। তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের গ্রাম, পাশের গ্রাম নিয়ে ১২শ’ বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাকেও বিভিন্ন সময়ে মায়ের সঙ্গে জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছিল। সেই ভস্ম থেকে দেশকে যখন দাঁড় করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, তখন তাকে হত্যা করা হয়। আজকের উন্নত দেশ মালয়েশিয়া, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরও বাংলাদেশের পেছনে ছিল। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, এসব দেশের আগে আমাদের দেশ উন্নত দেশ হতো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া। এতে বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন, বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ