পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের অবৈধ দখল ও দূষণরোধে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১০ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ২২,৫৩৯টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৮৪১.৪৯ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখিত এলাকায় ভরাটকৃত ২ লক্ষ ঘনমিটার বালু/মাটি/রাবিশ এবং ১.৫ লক্ষ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। নদী তীর দখলের অভিযোগে বিভিন্ন জনের থেকে ৩৮,৩৬,৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ২০১৯ সাল থেকে এপর্যন্ত তীরভূমি দখল করে রাখা পণ্য নিলামের মাধ্যমে ১৮,৭২,৪৮,০০০ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, সুপারিশ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য গঠিত ‘‘টাস্কফোর্স এর ৪র্থ বৈঠকে’ এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনসহ সংশ্লিষ্টরা অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় যে, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে ‘সীমানা পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ, ওয়াকওয়ে, জেটিসহ আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৭,৫৬২টি সীমানা পিলার নির্মাণ, ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১৪টি ভারী জেটি এবং তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে। এপর্যন্ত ৪,৪৭৯টি সীমানা পিলার নির্মিত হয়েছে; ১,১০১টির কাজ চলমান এবং ১,৯৮২টির দরপত্র প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। ৬টি জেটি নির্মিত হয়েছে; ৮টি জেটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ১০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে; ৪২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণাধিন। দু’টি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে; একটির নির্মাণ কাজ চলমান।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তারমধ্যে ‘টাস্কফোর্স’ অন্যতম। নদীরক্ষায় আমরা সতর্ক আছি। নদী তীর দখল ও দূষণরোধে কাজ করছি। দূষণের ক্ষেত্রে দূষণকারিদের বিরুদ্ধে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। অনেক শিল্প কারখানায় ইটিপি আছে; কিন্তু সেগুলোর সঠিক ব্যবহার হয়না। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন নদী রক্ষায় কাজ করছে। প্রথমত: তারা ৪৮টি নদী নিয়ে কাজ করছে; পরবর্তীতে অন্যান্য নদী নিয়ে কাজ করবে। নদী রক্ষায় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে এসমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাযাত্রায় বিশ^কে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণ করতে পারব।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে। নদী রক্ষায় নৌপরিবহন, পানিসম্পদ, স্থানীয় সরকার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছে। করোনাকালিন কাজের গতি কিছুটা স্লো হয়ে গেলেও থেমে যাইনি। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ তখন গুরুুুুত্বপূর্ণ ছিল। নদী রক্ষার ক্ষেত্রে কোন আপোষ করি নাই। স্থানীয় প্রশাসন যার যার অবস্থান থেকে কাজ করেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে কিছুটা সমস্যা হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে পেরেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার মতো দক্ষ ও সাহসী নেতৃত্বে আছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে নদী রক্ষাসহ সবকাজ এগিয়ে নিতে চাই। তিনি আমাদের সাহস দিয়েছেন। নদী রক্ষায় সবচেয়ে বড় সাফল্য মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে অবৈধ দখলরোধে সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে এবং বনায়নের জন্য ইকোপার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য বঙ্গবন্ধুর সময়ে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০০৮ পর্যন্ত আর কোন ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়নি। বর্তমান সরকারের সময়ে ৮০টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ি ১০,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ চলমান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।