Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আজ শেষ হতে চলেছে নাসিক ভোটযুদ্ধের রণপ্রস্তুতি

উৎসবের মাঝে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে শঙ্কা

| প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোঃ হাফিজুর রহমান মিন্টু, না.গঞ্জ থেকে : শেষ হতে চলেছে নাসিক নির্বাচনি ভোট যুদ্ধের রণপ্রস্তুতি,বাজতে শুরু করেছে ভোট যুদ্ধের ময়দানে রণসঙ্গীত। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, তার পরই শুরু হবে আলোচিত নাসিক নির্বাচনের ভোট যুদ্ধ। এখন চলছে সেই যুদ্ধ মোকাবেলায় প্রস্তুতির অন্তিম মুহূর্ত।
আগামী বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের ভোট যুদ্ধের ময়দানের রণসজ্জার প্রস্তুতি আজ মঙ্গলবার রাত ১২ টায় শেষ হবে। তাই শহর, পাড়া, মহল্লায় প্রার্থীদের প্রচারণার শেষ সময়ে সরগরম সমগ্র নগরী। যেদিকেই তাকাই সেদিকেই দেখি প্রার্থীদের সমর্থনে বর্ণাঢ্য মিছিল আর মিছিল। ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া, আরাম-আয়েশকে পিছনে ফেলে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দ্বারস্থ হচ্ছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। ভিক্ষা চাইছেন একটি ভোট। প্রার্থীদের সঙ্গে থাকা সমর্থকগণ এক সাথে ঢাক-ঢোল আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে কোরাশ গাওয়ার সুরে একটানা শ্লোগান দিয়ে চলেছেন ক মার্কায় দিলে ভোট ভবিষ্যতে হবে সুখ, খ ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র। এসব মিলিয়েই নগরীতে এখন বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তবে, শঙ্কাও রয়েছে অনেকের মাঝে। শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ জন মেয়র প্রার্থীগণও।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নূরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, প্রার্থীরা আজ মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১২ টা পর্যন্ত তাদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। শেষ সময়ের প্রচারণায়  যেমন ব্যস্ত প্রার্থীরা, তেমনি ব্যস্ততা রয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যার কারণে জাতীয় পর্যায়েও এ নির্বাচন গুরুত্ব পাচ্ছে। শেষ সময়ে এ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুু, সুন্দর ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেÑ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
এবারও শেখ হাসিনার প্রার্থীকে প্রতিরোধ করা হবে - সাখাওয়াত
গতবারের মত এবারও শেখ হাসিনার প্রার্থীকে প্রতিরোধ করা হবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন বিএনপি’র প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেন, গতবার শেখ হাসিনার প্রার্থী ছিল শামীম ওসমান। তাকে প্রতিরোধ করেছিল বিএনপি। এবার শেখ হাসিনার প্রার্থী সাবেক মেয়র আইভী। তাকেও এবার প্রতিরোধ করা হবে। গতকাল সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সাখাওয়াত হোসেন।
নির্বাচনে যাতে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে নির্বিঘেœ বাড়ী ফিরে আসতে পারে নির্বাচন কমিশনকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে। কোন কেন্দ্রে ঘটনা ঘটার খবর পেলে তারা সেখানে যাবে। ঘটনা ঘটে গেলে সেখানে যাওয়াতো মূল্যহীন। তার জন্য অবিলম্বে সেনা মোতায়েনের দাবী আবারো জানান সাখাওয়াত হোসেন। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারী দল নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তারা তাদের পরাজয় টের পেয়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। গত সোমবার যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের একটি বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেছেন, আমাকে ২২ তারিখ সকাল ৮টায় কোরবানী দেওয়া হবে। এই বক্তব্য উস্কানীমূলক এবং গণতন্ত্র বিরোধী বলে দাবী করে সাখাওয়াত বলেন, আমার পক্ষে গণজোয়ার দেখে ভোটারদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার মত একজন দায়িত্বশীল নেতা দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে এ ধরনের বক্তব্য দেবেন আশা করিনি। এ ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে তিনি (ওমর ফারুক) বিরত থাকবেন বলে আশা করি।
সাখাওয়াত বলেন, নারায়াণগঞ্জের বিএনপি, তৃণমূল আওয়ামীলীগসহ সকল দল, জনগণ আমার পক্ষে, ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের ওসিকে প্রত্যাহারে আইভীর দাবি সম্পর্কে সাখাওয়াত হোসেনের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের সকল মানুষ ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই গণজোয়ারে ভীত হয়ে জনমতকে বিভ্রান্ত করার জন্যই ওসিকে প্রত্যাহার চেয়েছে আইভী। আইভীর ওই দাবী অমূলক বলে দাবি করেন তিনি।
গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জের সাত, আট ও দশ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে সাখাওয়াত হোসেন খানের সাথে ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমুদ্দিন আলম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দন,রফিক শিকদারসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সকালে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের খানপুর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। সাখাওয়াত হোসেন বিজিবি মোতায়েন সম্পর্কে বলেন, বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করবে বলেছে নির্বাচন কমিশন। স্ট্রাইকিং ফোর্স মানে কোনো ঘটনা ঘটার পরে বিজিবি সেখানে যাবে। কিন্তু যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় মুখরিত সিদ্ধিরগঞ্জ
নাসিক নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল ধানের শীষের পক্ষে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছিল। প্রতি ওয়ার্ডে দুই জন করে কেন্দ্রীয় নেতার সমন্বয়ে গঠিত টিমগুলো ছাড়াও জাতীয় নেতারা শেষ দিনের প্রচারণায় সকাল খেকেই ব্যস্ত ছিলেন। কোন সময় অপচয় না করেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সকাল থেকেই নেমে পড়েছেন মহল্লাগুলোতে। তারা বেশ কয়েকটি মহল্লায় ব্যাপক সংখ্যক ভোটার-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করেছেন।
নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত (গতকাল) জাতীয় ও অন্য এলাকার নেতাদের নারায়ণগঞ্জে প্রচারণার শেষ দিন। একারণে তারা শেষ সময়টুকু প্রচারণায় কাজে লাগিয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত টিমগুলো ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করছে।
তিনি জানিয়েছেন, গতকাল বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আলী নেওয়াজ খান খৈয়াম, আবুল কালাম আজাদ, ডা: দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু প্রমুখ।
কল্যাণ পার্টির মেয়র প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এলডিপির মেয়র প্রার্থী কামাল প্রধানকে  অনুসরণ করে এবার কল্যাণ পার্টির মেয়র প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌস বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াতকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ৩টায় নগরীর কালিবাজারস্থ বিএনপির মিডিয়া সেলে এক সবাংদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, অ্যাড. আবুল কালাম, বিএনপি নেতা এবিএম মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ চাই  -আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যদি ইলেকশন কমিশন ঠিক থাকে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিক থাকে তাহলে কোন সমস্যা হবে না। তারপরও নির্বাচনের আগে প্রত্যেক মানুষের ভেতরে একটা ভয় আর শংকা কাজ করছে।’
সোমবার সকালে নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খানপুর র‌্যালী বাগান (কুমদিনী বস্তি হিসেবে পরিচিত) এলাকায় গণসংযোগের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইভী বলেন, ‘উনি প্রতিদিন একটার পর একটা নতুন নতুন করে অভিযোগ করছেন। আমি ওনাকে নিজে বলেছি ভাই আপনাকে যদি কেউ কিছু বলে তাহলে আমাকে ফোন দিয়ে বলেন প্রয়োজনে আমি ব্যবস্থা নিবো। ওনাকে যদি কেউ হত্যার হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে জিডি করুক। উনি সেই আইনগত ব্যবস্থা নিক। এ সব দায়ভার ও অভিযোগ আমাকে করা ঠিক না। কারণ, আমার কোন ওই রকম উচ্ছৃঙ্খল কেউ নাই যে ওনি এসব বলতে পারে। আর আমার বিশ্বাস হয় না কেউ এমন করতে পারে। ওনার অভিযোগটা কতটা সত্য ও যুক্তিযুক্ত তা যাচাই করে দেখা উচিত। প্রতিদিনই একটা করে অভিযোগ করছে।’ শামীম ওসমানের অবস্থান সম্পর্কে আইভী বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ওনি (শামীম ওসমান) দলের পক্ষে আছেন ও দলের হয়ে কাজ করছেন।’
সেলিম ওসমানকে ফোন করে
দোয়া চেয়েছেন আইভী
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমানকে মুঠোফোনে কথা বলে ‘দোয়া’ চেয়েছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
সোমবার দুপুর ১টায় শহরের দুই নম্বর রেলগেটস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রেসিডিয়াম মেম্বার এসএম ফয়সাল চিশতি। তিনি জানান, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে এখানকার এমপি সেলিম ওসমান প্রকাশ্যে কিছু করতে পারছেন না। এ নির্বাচনে সরকারের কোন পরিবর্তন ঘটবে না। তবে এলাকাতে শান্তি ও অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আইভীকে জয়ী করাতে হবে। তাছাড়া আমার সঙ্গে আইভীর কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন ৪ দিন আগে সেলিম ওসমানের মোবাইলে কথা বলে দোয়া চেয়েছেন।
আইভীর পক্ষে আইনজীবীদের গণসংযোগ
এদিকে গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর ডিআইটি এলাকায় গণসংযোগ করেন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের শতাধিক আইনজীবী। গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপুর নেতৃত্বে গণসংযোগে অংশ নেন ডেপুটি এ্যার্টনি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু, সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ আমিন উদ্দিন, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ নেতা আজহুরুল্লাহ ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সুপ্রীম কোর্ট শাখার সভাপতি রবিউল আলম বুদু প্রমুখ।
আইভীকে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সমর্থন
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানিয়েছেন দেশের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। সোমবার দুপুর ১ টাকার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ওই সমর্থন জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আব্দুস সবুর, হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন, নুরুল ইসলাম নুরু, আলমগীর সিকদার।
হাতপাখা মার্কা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে
-------মুফতী মাসুম বিল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতী মাসুম বিল্লাহ হাতপাখা প্রতীকসহ সকাল থেকে নেতা কর্মীদের নিয়ে শহর শাখার দেওভোগ, পাইকপাড়া, চাষাঢ়া, মেট্রো, খানপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। সকাল ১১টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সেক্রেটারি মুহা. সুলতান মাহমুদ-এর সঞ্চালনায় দেওভোগে পথসভায় বক্তব্য রাখেন পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতী মাসুম বিল্লাহ। এসময় নগরবাসী হাতপাখা মার্কা নিয়ে পথ সভায় উপস্থিত হন। হাতপাখার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ায় আগামী ২২ই ডিসেম্বর হাতপাখা মার্কার বিজয় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তথা পীর সাহেব চরমোনাই হুজুরের কর্মী সমর্থকরা হাতপাখা মার্কার রিজার্ভ ভোট ব্যাংক। পাশাপাশি নগরবাসী যেভাবে পীর সাহেব চরমোনাই হুজুরের হাতপাখা মার্কাতে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন তাতে এবারের নাসিক নির্বাচনে হাতপাখা মার্কা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন শহর শাখার জয়েন্ট সেক্রেটারি মু. আব্দুর রহমান প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সোবহান, ইসলামী যুব আন্দোলনের মহানগরের আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন মু. খালিদ প্রমুখ।
পর্যবেক্ষণের জন্য ১৬ টি সংস্থার ৩২০
 জনকে অনুমোদন দিয়েছে কমিশন
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে পর্যবেক্ষণের জন্য ১৬ টি সংস্থার ৩২০ জনকে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ৩১৮ জন দেশী ও দু’জন বিদেশী পর্যবেক্ষক রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক আশাদুল হক এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এরমধ্যে স্থানীয় ভাবে ন’টি সংস্থার ১৮৫ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। আর কেন্দ্রীয় ভাবে ছয়টি সংস্থার ১৩৩ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। তাছাড়া এশিয়া ফাউন্ডেশনের দু’ বিদেশি পর্যবেক্ষকও ভোট দেখবেন।
খালেদা জিয়ার নারায়ণগঞ্জে আসার ক্ষেত্রে
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে সরকার-গয়েশ্বর
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে অভিযোগ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে যাতে ভোট চাইতে না পারে তার জন্য পরিকল্পিত ভাবে নির্বাচন কমিশন ও সরকার ষড়যন্ত্র করে ৭২ ঘন্টা আগে বহিরাগতদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন। যা কোন ভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না। তিনি বলেন, যদি নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তার জন্য সরকারই দায়ী থাকবেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন ২৫ দফা ইস্তেহার প্রকাশ করেন এবং এড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি নির্বাচিত হলে নারায়ণগঞ্জবাসীকে সন্ত্রাস মুক্ত, যানজটমুক্ত, মাদকমুক্ত বসবাস উপযোগী মহানগরী উপহার দিব। আমার এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সবাই আমাকে সমর্থন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, আমান উল্লাহ্ আমান, আব্দুস সালাম, তৈমুর আলম খন্দকার, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, শ্যামা ওবায়েদ, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক এমপি আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।    
৭ বাহিনীর সাড়ে নয় হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে ২২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাতটি ফোর্সের প্রায় সাড়ে নয় হাজার জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। বিজিবি, পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, নৌপুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, আনসারসহ সাত বাহিনীর চৌকস সাড়ে নয় হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
এর বাইরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় নিয়োজিত থাকবে। এরই মধ্যে র‌্যাব হেডকোয়ার্টারে ২০টি ইউনিট প্রস্তুত রাখা হবে। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদাপোশাকে কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে দায়িত্ব পালন করবেন।
বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার মধ্যরাত থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থানরত বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটি নির্দেশনা জারি করেছেন।’
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সোমবার রাত ১২টার মধ্যে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে বহিরাগতদের এলাকা ছাড়তে হবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন আজ থেকে পরবর্তী সাত দিনের জন্য (১৯ থেকে ২৫ ডিসেম্বর) বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আসাদুজ্জামান আরো জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে (ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে) ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত (ভোটের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা) সব ধরনের জনসভা, মিছিল, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আজ থেকে সব ধরনের প্রচার নিষিদ্ধ
আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর ৭৪ বিধি অনুসারে গত মধ্যরাত থেকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বহিরাগতদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
গতকাল সোমবার মোঃ আশাদুল হক সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর ৭৪ বিধি অনুসারে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা হতে ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় কোন ব্যক্তি কোন জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা উহাতে যোগদান করতে এবং কোন মিছিল বা শোভাযাত্রা সংঘটিত করতে বা উহাতে যোগদান করতে পারবে না। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি কোন আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃংখলামূলক আচরণ করতে পারবে না, কোন ভোটার বা নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত বা দায়িত্বরত কোন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে পারবে না এবং কোন অস্ত্র প্রদর্শন বা ব্যবহার করতে পারবে না। চিঠিতে আরো বলা হয়, এছাড়া নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনের আগের দিন মধ্যরাত অর্থাৎ ২১ শে ডিসেম্বর বুধবার রাত ১২টা হতে ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বেবী ট্যাক্সি/ অটোরিক্সা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জীপ, পিক-আপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই সাথে লঞ্চ ও স্পীডবোটের চলাচলের উপরও এই নিষেধাজ্ঞ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ সোমবার দিবাগত রাত ১২.টা হতে ২২ ডিসেম্বর  বৃহস্পতিবার রাত ১২.০০টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। তবে ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র নৌযান এবং ভোটার/ জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ছোট নৌযান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। এছাড়া প্রধান প্রধান নৌপথ, বন্দর ও জরুরী পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। একইসাথে ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সকল নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবেনা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, নির্বাচন কমিশন হতে অনুমতিপ্রাপ্ত পরিচয়পত্রধারী সাংবাদিক, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরী কাজে যেমন-এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের উপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২৭টি ওয়ার্ডে ১৭৪টি কেন্দ্র, ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩০৪টি, মেয়র পদের ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ৩৮ জন প্রার্থী।
বিজিবি টহল শুরু
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার দুপুর ৩টার পর থেকে তাদেরকে শহরে টহল দিতে দেখা গেছে। নির্বাচনে বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, মেজর মোস্তফা কামাল পাশার নেতৃত্বে ২২ প্লাটুন বিজিবি নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশও কাজ করবে। তাছাড়া আগের মতো প্রতিটি ওয়ার্ডেই একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটও কাজ করছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ৩২০ এবং জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩২২৫ জন পর্যবেক্ষক মাঠে
কালো টাকার প্রভাব এবং নিরাপত্তার শঙ্কা পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর
হাবিবুর রহমান
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষক ১৬টি সংস্থার ৩২০ জনকে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পৃঃ ২ কঃ ১
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ৩২০
আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন ঘিরে কালো টাকার প্রভাব এবং নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা আছে এমন প্রশ্ন তুলেছেন পর্যবেক্ষক সংস্থার অনেকেই।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক আশাদুল হক ইনকিলাবকে বলেন, এই দুই নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ৩১৮ জন দেশি এবং দুইজন বিদেশি। ৯টি সংস্থার ১৮৫ জন স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, কেন্দ্রীয়ভাবে থাকছেন ছয়টি সংস্থার ১৩৩ জন। এশিয়া ফাউন্ডেশনের দুই বিদেশি পর্যবেক্ষকও এ ভোট দেখবেন।
নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন দেয়া সংস্থার হয়ে দেশি পর্যবেক্ষকরা ভোট দেখবেন সেগুলো হচ্ছেÑ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ (বামাসপ), ডেমোক্র্যাসিওয়াচ, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, ব্রতী, কাস্ট ট্রাস্ট ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), হোস্টেড রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস, ইনোভেশন ক্যাপিটাল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি, পলিসি রিসার্চ স্টাডিজ ফাউন্ডেশন, খান ফাউন্ডেশন, সোসাইটি ফর রুরাল বেসিক নিড, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থা ও ফেমা। নারায়ণগঞ্জে এবারই প্রথম দলভিত্তিক সিটি নির্বাচন হচ্ছে। মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন ঘিরে কালো টাকার প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই; শঙ্কা আছে নিরাপত্তা নিয়েও।  
তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচনে যাওয়া এ নগরীর ভোটকে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করতে চান তিনি।
এদিকে প্রথমবারের মতো দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচনে আটটি সংস্থার তিন হাজার ২২৫ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আসক ফাউন্ডেশনের আড়াই হাজার এবং জানিপপের তিন শতাধিক পর্যবেক্ষক থাকবেন। ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, পর্যবেক্ষকরা প্রতি দলে সর্বোচ্চ পাঁচজন করে ভোট  কেন্দ্র  দেখার সুযোগ পাবেন। সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষকরা ভ্রাম্যমাণ হিসেবে ভোট দেখতে পারবেন।  কোনো কেন্দ্রে বা বুথে স্থায়ীভাবে অবস্থান করতে পারবেন না। পর্যবেক্ষকরা  ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে অল্প সময়ের জন্য ভোটকক্ষে ঢুকতে পারবেন।



 

Show all comments
  • নাজমূল হাসান ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:১১ এএম says : 0
    সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বিএনপি জিতবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাসিক নির্বাচন

২০ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ