পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গভীর রাতে তাদের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার যে জনগণকে ভয় পেয়েছে সেটি তাদের কর্মকাণ্ডেই পরিষ্কার হচ্ছে। মূলত সেই ভয় থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পন্ড করতে গত বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক হামলা, গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে।
তারা বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এই ঘটনা সেই কালো রাতের কথাকেই মনে করিয়ে দেয়। যেমনটি মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এমনকি সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে যেত। এরপর হয়তো দুই একজন প্রাণে ফিরলেও অনেককে পাক হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে নিহত করেছে। এই সরকারের আমলেও বিরোধী মতের অসংখ্য মানুষ গুম-খুন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
ইউট্যাবের নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে বিরোধীদলসমূহ সভা-সমাবেশ ও মিছিল করবে এটা সাংবিধানিক অধিকার। সেসব সমাবেশে নিরাপত্তা দেয়া ও যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের মৌলিক দায়িত্বেরই অংশ। অথচ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের মতো একটা রাষ্ট্রে দুঃখের সাথে দেখছি যে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারসমূহকে নির্মমভাবে হরণ করেই যাচ্ছে। তারা বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশগুলোতে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বাধাগ্রস্ত করে আসছে। এক্ষেত্রে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অন্যায়ভাবে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করছে।
তারা বলেন, এরইমধ্যে বিএনপির সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ এক হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এসব হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনার পুরো দায় দায়িত্ব এই সরকার ও তার পুলিশ বাহিনীকেই নিতে হবে।
ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সরকার নিজেরাই উত্তেজনাপূর্ণ সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে দেশের মানুষ মনে করছে। দেশের স্বাধীনতার ৫২তম বছরে এসে বিরোধীদের সমাবেশ করার মতো স্বাভাবিক বিষয়কে কেন্দ্র করে যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যেভাবে ধরপাকড়, হামলা-মামলা ও গুলি করে বিরোধী মতের নেতাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে তা অকল্পনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, আটক সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ বিরোধী দলের সকল রাজবন্দীর নি:শর্ত মুক্তি দাবি করছি। সেইসাথে পুলিশ-প্রশাসনকে পেশাদার আচরণ বজায় রেখে জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে আহ্বান জানাই। তা না হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের জনগণই সমুচিত জবাব দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।