দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা, ওলিকুল শিরোমণি বড়পীর হযরত মুহিউদ্দিন আবদুল কাদির জিলানীর (রহ.) ওফাত দিবস বিশ্ব মুসলিমের কাছে ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। ‘ফাতেহা’ এর অর্থ দুয়া করা, সাওয়াব রেসানী করা, মুনাজাত করা ইত্যাদি। আর ‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ- এগারো। ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের এগারো তারিখের ফাতেহা শরীফ বা ইছালে সওয়াব মিলাদ মাহফিলকে বোঝায়। হিজরী ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানির এই দিনে বিশ্বের সকল সূফীমতবাদে বিশ্বাসী মুসলমানদের নয়নমণি, কাদেরীয়া তরিকার অনুসারীদের মুকুটমণি বড়পীর তাঁর অগণিত ভক্তকুলকে শোকসাগরে ভাসিয়ে ওফাত লাভ করেন। এই পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম শরীফ ইমামুল আউলিয়া পীরানে পীর গাউসুল আযম দস্তগীর হযরত মুহিউদ্দিন আবদুল কাদির জিলানীর (রহ.) স্মরণে পালিত হয়ে থাকে। তাছাড়া ফারসি ভাষার প্রভাবে ভারতীয় উপমহাদেশসহ আফগানিস্তান, ইরান, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল, ইরাক প্রভৃতি স্থানে ‘ফাতিহা-ই-ইয়জিদাহম অর্থাৎ এগারো এর ফাতিহা নামে উদযাপিত হয়। এটিকে ‘গিয়ারভি শরিফ’ বা ‘এগার শরিফ’ও বলা হয়।
বড়পীর (রহ.)-এর ইন্তিকালের তারিখ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। তাঁর জীবনীগ্রন্থ ‘তাফরিহুল খাতির ফী মানাকিবিশ শায়খ আবদুল কাদির’-এ এতদসম্পর্কে কয়েকটি মত উল্লেখ করা হয়েছে: কারো মতে রবিউস সানির সাত তারিখ, কারো মতে নয় তারিখ, কারো মতে দশ তারিখ, কারো মতে এগার তারিখ, কারো মতে তেরো তারিখ, কারো মতে সতের তারিখ, কারো মতে আঠারো তারিখ। তবে গ্রন্থকার দশই রবিউস সানিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
মুসলিম সম্প্রদায়ের দৃঢ় বিশ্বাস হলো, পৃথিবেিত এখন আর কোনো নবী আসবে না। তাই ওলি-আউলিয়া ও পীর-মুর্শিদগণ মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করবেন। বিভিন্ন যুগে ও সময়ে মানুষ যখন বিপথে চলে গিয়ে নানান ধরনের ভ্রষ্টতায় পতিত হয়েছিল, তখন ওলি-আউলিয়াগণ মানুষকে আল্লাহর পথের সন্ধান দিয়েছেন। তেমনি ওলিয়ে কামেল বড়পীর হযরত আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) একজন বুজুর্গ ওলি। যার নাম বিশ্ব মুসলিমগণ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকেন। মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে তাঁর প্রভাব অপরিসীম। হিজরী ৫৬১ সনের ১১ই রবিউস সানি তিনি ইন্তিকাল করেন এবং সেদিন থেকে অদ্যাবধি বিশ্বের মুসলমানগণ ওই দিনটিকে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমরূপে পালন করে আসছেন।
দিনটি মুসলিম বিশ্ব অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে পালন করে থাকেন। মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে বড়পীর (রহ.)এর আদর্শ ও আধ্যাত্মিক সাধনা চিরকাল অনুকরণীয়-অনুস্মরণীয়। তাঁর জীবনী ও কীর্তিগাথা মুসলমানদের হৃদয়ে চিরদিন জীবন্ত হয়ে থাকবে। একজন আদর্শ পুরুষ হিসেবে বিশ্ব জগতে মুসলমানদের কাছে গাউসুল আযম হযরত বড়পীর আবদুল কাদির জিলানী (রহ.)-কে পরম ভক্তি, শ্রদ্ধার সাথে চিরকাল স্মরণ করবে।
হিজরী ৫ম শতক মুসলিম জাহানের চরম দুর্দিনের যুগ। সমকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতা, ইসলামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে ধর্মীয় আলোচনা, বুদ্ধিবাদী ভাবধারার কারণে ধর্মীয় প্রেরণার ক্রমশঃ নমনীয় ভাব, সম্পদের দ্রুত বৃদ্ধির ফলে উচ্চতর মহলের নৈতিক ও ধর্মীয় জীবনে ঔদাসীন্য, ইসলামি বুদ্ধিবাদের সংশয়াত্মক ভাবধারা খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের মধ্যে শান্ত জীবনের অনুপস্থিতি মুসলিম জগতকে বিপর্যস্ত করে তুলে। জাতির এই চরম দুর্দিনের সময়ে জন্মগ্রহণ করেন হজরত মুহিউদ্দিন আবদুল কাদির জিলানী (রহ.)। তিনি মুসলিম মিল্লাতের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধঃপতন রোধে কঠোর সংগ্রাম করেন। গ্রিক ও ভারতীয় অনৈসলামিক পরিবেশ থেকে ইসলামি ও তাসাউফকে উদ্ধার করে স্বকীয় মহিমায় ভাস্বর করে তুলেছিলেন। শরীয়তকে পুণরোজ্জীবিত করে তরিকত, হাকিকত, মারিফাতের সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছিলেন। শতধা বিচ্ছিন্ন জাতির মধ্যে জাগিয়ে তুলেছিলেন ঐক্যের চেতনা।
মানব জাতিকে হেদায়েতের জন্য আল্লাহ্ পাক এ পৃথিবীতে যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। অন্যদিকে তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অসংখ্য কামেল পীর, ওলী, দরবেশ, ফকীরও এ জগতে কত এসেছেন তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু সব পীর, ফকীর, দরবেশ, ওলীর সেরা ছিলেন হযরত আবদুল কাদির জিলানী (রহ.)।
আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর ওফাতের প্রায় পাঁচশত বছর পর ১০৪৭ খ্রি. মোতাবেক ৪৭০ হিজরী সনের ১ রমজান কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণ তীরবর্তী ইরানের পর্বত ঘেরা ‘জিলান’ শহরের বিখ্যাত সাইয়্যেদ পরিবারে গাউসুল আজম হযরত আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সময়ে ইসলামের খুব নাজুক পরিস্থিতি চলছিল। মানুষ আল্লাহ্কে ভুলে বিভিন্ন কুসংস্কারে জড়িয়ে পড়েছিল। ঠিক সে সময়েই বড়পীর আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) মানুষকে এক আল্লাহর পথে আহবান করেন। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষকে আল্লাহওয়ালাতে পরিণত করেন।
এই মহান ব্যক্তির পিতা শায়েখ সাইয়্যেদ আবু সালেহ্ মুসা ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক ব্যক্তি এবং মাতা উম্মুল খায়ির ফাতেমাও ছিলেন পর্দানশীন পবিত্রা নারী। তাঁর পিতার বংশ হজরত ইমাম হাসান (রা.) এর সঙ্গে এবং মায়ের বংশ হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর সঙ্গে মিলিত হয়; এ কারণে তাঁকে ‘সাইয়েদ মুহিউদ্দিন আবু মুহাম্মদ আবদুল কাদির আল জিলানি আল হাসানি ওয়া আল হোসাইনি’ বলা হয়। পিতৃকুল -মাতৃকুল উভয় দিক থেকেই হজরত আলী (রা.) এর বংশধর অর্থাৎ মহানবী (স.) এর বংশধর। ইসলামকে নতুন জীবন দেয়ার জন্য তিনি পরবর্তী সময়ে হজরত মুহিউদ্দিন আবদুল কাদির (র.) নামে পরিচিতি লাভ করেন। জিলান শহরের অধিবাসী বিধায় তার নামের শেষে ‘জিলানী’ উপাধি সংযুক্ত করা হয়েছে।
শিশুকাল থেকেই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন আবদুল কাদির জিলানী (রহ.)। রমযানের ১ তারিখে জন্মগ্রহণ করায় ঐদিন হতেই তিনি রোযা পালন করেছেন বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। কথিত আছে, মায়ের কোলে থেকে শুনে শুনেই তিনি পবিত্র কুরআনের ১৮ পারা পর্যন্ত মুখস্ত করেছিলেন। অপর এক বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, তিনি মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় ১৮ পারা কুরআন মুখস্ত করেছিলেন। তবে প্রখর ধীশক্তি ও আল্লাহ প্রদত্ত প্রজ্ঞার ফলে তিনি খুব অল্প বয়সেই পূর্ণ কুরআন হিফ্জ করেন। সাত বছর বয়সকাল থেকেই নিয়মিতভাবে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতেন। একটা শান্ত-স্নিগ্ধ পবিত্রভাবে সর্বদা তিনি আচ্ছন্ন থাকতেন।
ছোটবেলা থেকে ইমামুল আউলিয়া পীরানে পীর গাউসুল আজম দস্তগীর হজরত আবদুল কাদির জিলানীর (রহ.) মধ্যে সচ্চরিত্রতা ও খোদা প্রেমের গুণাবলী ফুটে ওঠে। তাঁর শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি হয়েছিল জ্ঞানবান পিতা ও পূণ্যবতী মাতার কাছে। তাঁদের মাধ্যমেই তিনি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তিনি ১৮ বছর বয়সে বাগদাদ শরীফে গমন করে তৎকালীন মুসলিম দর্শনের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ মাদরাসায়ে নিজামিয়াতে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। বাগদাদ গমনকালে তাঁর মা তাঁকে ৪০টি স্বর্ণমুদ্রা বগলের নীচে জামার কাপড়ে সেলাই করে দেন এবং উপদেশ দিয়ে বললেন, প্রিয় বৎস! কখনও মিথ্যা কথা বলবে না। সর্বদা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে। মায়ের উপদেশ পালনের ওয়াদা করে তিনি বাগদাদের পথ ধরলেন; এ পথেই এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে।
বাগদাদ যাওয়ার পথে তাঁর কাফেলা হামাদান নামক স্থানে ডাকাতের কবলে পড়ে। দস্যুরা যাত্রীদের সবকিছু লুটে নিয়ে যায়। ডাকাতদের একজন তার কাছে কিছু আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে জানান তার কাছে ৪০টি দিনার আছে। লুকানো মুদ্রা দেখে ডাকাতরা বলল, তুমি তো এর কথা স্বীকার না করলেও পারতে। তিনি ডাকাত দলের কথার উত্তরে বললেন, মা আমাকে মিথ্যা বলতে নিষেধ করেছেন, তাই আমি সত্য বলেছি। ডাকাত দল তার সত্যবাদিতায় মুগ্ধ হয়ে সব রকম অন্যায় কাজ ছেড়ে দিয়ে পরবর্তীতে খাঁটি মুসলমান হয়ে যায়।
তারপর বাগদাদ শরীফে শায়েখ আবু সায়ীদ ইবনে মুবারক মাখজুমি হাম্বলি, আবুল ওয়াফা আলী ইবনে আকিল ও আবু মুহাম্মদ ইবনে হুসাইন ইবনে মুহাম্মদ (রহ.) এর কাছে ইলমে ফিকাহ্ শিক্ষা লাভ করেন। শায়েখ আবু গালিব মুহাম্মদ ইবনে হাসান বাকিল্লানি, শায়েখ আবু সাইদ ইবনে আবদুল করিম ও শায়েখ আবুল গানায়েম মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে মুহাম্মদ (রহ.) প্রমুখের নিকট উপস্থিত হয়ে তাদের কাছে তিনি ইলমে হাদীসের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। বাগদাদের প্রখ্যাত শায়েখ আবু যাকারিয়া তাবরেজীর (রহ.) নিকট তিনি সাহিত্যের উচ্চতর পাঠ গ্রহণ করেন। তার বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানচর্চার গুরু শায়েখ আবু সায়ীদ (রহ.) শিষ্যের যোগ্যতা ও প্রতিভা দেখে তাঁকে নিজের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার পরিচালক নিয়োগ করেন। আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) দীর্ঘদিন ইলমে হাদীস, ইলমে ফিক্হ ও ইলমে তাফসীর বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। তাঁর কাছ থেকে কুরআন, হাদীস, ফিক্হ শিক্ষা গ্রহন করে সে সময় বহু আলেম তৈরী হয় এবং তাঁর সান্নিধ্যে থেকে বহু লোক আধ্যাত্মিকতা হাসিল করেন। তিনি বাগদাদের মহান পীর হজরত আবু সায়ীদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন মাখজুমি (রহ.)-এর কাছ থেকে মারিফতের জ্ঞানে পূর্ণতা লাভ করেন এবং খিলাফতপ্রাপ্ত হন। তিনি ছিলেন জাহিরি-বাতিনি উভয় জ্ঞানে জ্ঞানবান।
বড়পীর (রহ.) একাধিক্রমে ২৫ বছরকাল বাগদাদের গভীর অরণ্যে নির্জনে মুরাকাবা-মুশাহাদা ও কঠোর আধ্যাত্মিক সাধনায় কাটিয়েছেন। নিষিদ্ধ দিনগুলো ছাড়া সারা বছর তিনি সিয়াম (রোযা) পালন করতেন। এভাবে তিনি নিজ ইচ্ছা শক্তি, কর্মশক্তি ও চিন্তাশক্তিকে আল্লাহতে সমর্পণ করে তারই ইচ্ছায় সিদ্ধিতে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছিলেন।
শরীয়ত ও মারিফাতের পূর্ণতা অর্জন করার পর আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) ইসলাম প্রচারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। প্রথমে তিনি জনসভার আয়োজন করে ইসলামের বাণী প্রচার করতেন। ওয়াজ-নসীহতের পাশাপাশি তিনি জাহিরি ও বাতিনি তালিম দিয়ে গড়ে তোলেছিলেন শক্তিশালী মুবাল্লিগদল। ইসলামের সুমহান বাণী নিয়ে এদের প্রেরণ করতেন বিভিন্ন দেশে। তিনি ফুতুহুল গায়ব, গুনিয়াতুত্ ত্বালিবিন, কাসিদা-ই-গাউসিয়া, সিররুল আসরার, ফাতহুর রাব্বানী, ফাতহুল গুয়ুব নামক গ্রন্থ রচনা করে ইসলামে ফিক্হশাস্ত্র ও তাসাউফÑ এ দু’ধারার সম্মিলন ঘটিয়েছিলেন। গ্রিক ও ভারতীয় প্রভাবমুক্ত করে তরিকতকে তিনি কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
যাবতীয় ইসলামী আখলাকের অপূর্ব সমাবেশ ও বিকাশ ঘটেছিল তাঁর জীবনে। তাঁর মধ্যে মানুষে মানুষে কোনো পার্থক্য ছিল না। আর্ত, পীড়িত ও দুর্গত মানুষের সেবা ছিল তাঁর চরিত্রের ভূষণ। তিনি বন্ধুবৎসল, বিনয়ী, মিষ্টভাষী ও অমায়িক চরিত্রের লোক ছিলেন। তিনি অত্যন্ত সরল জীবন যাপন করতেন, বিলাসিতা ও শান-শওকতকে কখনও পছন্দ করতেন না। ইসলামের খিদমতের জন্য বড়পীর যেসব কাজ করেছেন, সারা দুনিয়ার মুসলমানদের জন্য অনাগতকাল ধরে তা প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক ও সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, শেরপুর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।