পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকা ব্যাটারিচালিত রিকশার দখলে। রাতে বাড়ে এসব গাড়ির রাজত্ব। দিনের আলো থাকাকালীন সময়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল কম চোখে পড়লেও দিনের আলো কমে আসার সাথে সাথে বাড়ে এসব গাড়ির সংখ্যা। তবে রাত ৭ টার পর রাজধানীর সব এলাকার রাস্তায়ই নেমে পড়ে এসব গাড়ি। এসব গাড়ির নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলের কারণে প্রতিদিনই ঘটছে কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা। রাত বাড়ার সাথে সাথে এসব ব্যাটারিচালিত গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। সকাল পর্যন্ত চলে এসব গাড়ির বেপরোয়া চলাচল।
ভিআইপি সড়কসহ সব সড়কেই এই হালকা যানের চলাচল বেপরোয়া হলেও নেই কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এসব রিকশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নেই কারো মাথা ব্যাথা। মাঝে মাঝে পুলিশ অভিযান চালালেও কমছেনা এসব গাড়ি চলাচল।
জানা যায়, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যবসা করে যাচ্ছে। ব্যাটারিচালিত সে রিকশা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানী ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কে যাত্রী বহন করে চলছে। আর প্যাডেলচালিত রিকশার চেয়ে এর গতি বেশি হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এতে অনেক পরিবারই নিঃস্ব হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার নিষিদ্ধের কথা বলা হলেও বাস্তবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বরং দিন দিন এসব যানের সংখ্যা বাড়ছেই। বলা যায়, মহানগরীর সব পথে ব্যাটারির রিকশা চলাচল করায় রাজধানী শহরকে এই অবৈধ রিকশার দখলে চলে গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাতের বেলায় নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশায় সয়লাব রাজধানীর মূল সড়ক। অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করতে দেখলেই পুলিশ আটক করলেও বাহনগুলোর চলাচল অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল, আরামবাগ, যাত্রাবাড়ি, সদরঘাট, মালিবাগসহ কয়েকটি সড়কে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। রামপুরা, খিলগাঁও, বাড্ডা, নয়াবাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাংলামটর, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, নাজিরাবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, ধনিয়া, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্যাডেল রিকশায় মোটর ও ব্যাটারি লাগিয়ে চলাচল করছে। এলাকায় মোড় দখল করে নিয়েছে ওই বাহনটি। শুধু তাই নয়, রাতে অন্য যানবাহন না থাকায় যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও। রাতে অন্যান্য গাড়ির চাপ কমে গেলে ব্যাটারিচালিত এসব গাড়ি নামতে থাকে। চলতে থাকে সকল রুটেই। কোন রুটেই বাধা নেই তাদের যেতে। আর রাতের বেলা বাস কম থাকায় এবং সাধারণ রিকশার সংখ্যা কম থাকায় ব্যাটারিচালিত এসব রিকশার কদর বেড়ে যায়।
অদক্ষতার কারণে কখনো চালক কখনোবা পথচারী শিকার হন দুর্ঘটনার। তাছাড়া এসব যানে ব্যবহৃত হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ। এভাবে কয়েক লক্ষ্য ব্যাটারি চার্জ দেয়া হচ্ছে গ্যারেজে। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর লাভবান হচ্ছে অসাধু অটো-রিকশা মালিকরা।
স্থানীয়রা জানান, রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কেও বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। রাতের বেলা এদের চলাচল বেড়ে যায়। ফলে নিয়ন্ত্রণহীন এই বাহনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। শুধু তাই নয়, আইনের তোয়াক্কা না করেই রাজধানী দিন দিন ভয়ঙ্কর আকারে বাড়েই চলছে দুই চাকার ওই বাহনটি। এতে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খিলগাঁও, মেরাদিয়া, বাসাবো, মানিকনগর, বাড্ডা, নয়া বাজার, শনির আখড়া, কামরাঙ্গীচর, মোহাম্মদপুর, পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় ওইসব রিকশার বেশ কয়েকটি গ্যারেজ রয়েছে। ওইসব গ্যারেজে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ওই রিকশার ব্যাটারি চার্জ দেয়া হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ, অনেক চালকের নেই কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা। অদক্ষ চালক অনেক সময় রিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অধিকাংশ অটোরিকশা চলাচ্ছে শিশু-কিশোর এবং অন্য পেশা থেকে আসা শ্রমিকরা। এসব চালকদের বেপরোয়া ও বিশৃঙ্খলা অটোরিকশা চালনার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটেছে দুর্ঘটনা। এছাড়া দিনের বেলায় মাদকাসক্ত পথে পথে ঘুরে এসব যুবকরা রাতে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক কামরুল বলেন, রাতে রাস্তা ফাঁকা থাকে তাই গাড়ি নিয়ে বের হই। ভাড়া বেশি পাওয়া যায়। সব সড়কেই রাতের বেলায় রিকশা চালানো যায়।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (শহর ও যানবাহন) আহসান হাবিব প্রামানিক ইনকিলাবকে বলেন, রাতের বেলায় ব্যাটারিচালিত রিকশা আগের তুলনায় চলাচল এখন বেড়ে গেছে। এসব যানবাহন রাতের বেলায় চলাচল করে দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ এসব নিবন্ধনহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।