পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : ছুটির দিন না হলেও বই মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল যেন এটা ছুটির দিন। মেলার প্রবেশপথে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। সাধারণত এক মাসব্যাপী মেলার শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে শুধু ছুটির দিনগুলোতে এমন ভিড় হয়ে থাকে। কিন্তু গতকাল বুধবার ছুটির দিন না হলেও দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। শুধু উপস্থিতিই নয়, মেলায় বই বিক্রির পরিমাণও ছিল অন্যান্য সাধারণ দিনের থেকে একটু বেশি। ফলে স্টল মালিকদের মুখেও ছিল তৃপ্তির ছাপ।
প্রতিদিনের মতো গতকালও নির্ধারিত সময় বিকাল ৩টায় মেলার প্রবেশপথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে বইপ্রেমীরা মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অবশ্য গেট খোলার অনেক আগে থেকেই অনেক দর্শনার্থী লাইন ধরে গেটের সামনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর যতই সময় অতিবাহিত হয় ততই ভিড় বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে থেকেই শুরু হয় অগণিত লোক সমাগম। এদিন তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই ছিল বেশি।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি স্টলেই বইপ্রেমীদের ভিড়। স্টল কর্মচারী ও মালিকদেরকে ক্রেতাদের বিভিন্ন বই কিনতে উৎসাহিত করতে দেখা যায়। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও মেলায় ঘুরতে এসেছে। আবার অনেক তরুণ-তরুণী বিকালে অবসর সময় কাটাতে মেলায় ভিড় করে। অবশ্য যে যেমন পেরেছে সাধ্যমতো বই কিনেছে। কারো হাতে ব্যাগ ভর্তি বইও লক্ষ করা যায়। ছুটির দিন না হওয়া সত্ত্বেও ক্রেতাদের এমন উপস্থিতি এবং বই কেনার পরিমাণ দেখে খুশি প্রকাশকরাও। তবে মেলার বেশিরভাগ স্টলগুলোতেই দেখা গেছে গল্প, উপন্যাসের চেয়ে কবিতার বই বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ স্টল কর্মচারী-মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবছর কবিতার বইয়ের চেয়ে গল্প উপন্যাসের বইয়ের প্রতি ক্রেতাদের বেশি চাহিদা। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেল, কবিতার বই বের করতে গল্প, উপন্যাসের বইয়ের থেকে অনেক কম সময় লাগে। যে কারণে বেশিরভাগ প্রকাশকরা কবিতার বই বেশি প্রকাশ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।