Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জমে উঠেছে বাবা-ছেলে ভাই-ভাই ভোটের লড়াই

নাসিক নির্বাচন

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচদিন বাকি। একটি ওয়ার্ডে জমে উঠেছে ভোটের তুমুল লড়াই। এ লড়াইয়ে নেমেছেন বাবার বিরুদ্ধে ছেলে, তাদের পাশাপাশি ভোটযুদ্ধে নেমেছে আরও দুই সহোদর, যা এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এছাড়া আছেন আরও চার প্রার্থী। এই আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদটির জন্য।
আসছে ২২ ডিসেম্বর ভোটের লড়াইয়ে জয় পেতে তারা মাঠে নেমেছেন জোরেশোরে। ভোটারদের মাঝে সালাম ও কুশল বিনিময়ের সাথে দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা রকম প্রতিশ্রুতি। দুই সহোদর হলেনÑ সিআই খোলা এলাকার বাসিন্দা সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম (মিষ্টি কুমড়া) ও তার ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম (ঘুড়ি)।
এলাকাবাসী জানান, দুই ভাই-ই নাছোড়বান্দা বেশ আঁটঘাট বেঁধেই ভোটযুদ্ধে নেমেছেন তারা জোরেশোরে প্রচারণাও চালাচ্ছেন। এতে তাদের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। আর জয় সহজ হবে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর।
তবে বড় ভাই আব্দুর রহিম জানালেন “প্রতিদ্বন্দ্বী ছোট ভাইয়ের কারণে ভোট ভাগাভাগি হলেও কোনো ক্ষতি হবে না তার। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে আর ছোট ভাই বিএনপির রাজনীতির করে।
তিনি জানালেন, বিএনপির কিছু পোলাপান নিয়ে ছোট ভাই মাঠে নেমেছে। আমাকে যারা ভোট দেয় তারা ওকে ভোট দেবে না। ইনশাল্লাহ্ নির্বাচনী ফলে কোনো প্রভাব পড়বে না।” ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম বললেন আমার জয় সুনিশ্চিত। তিনি অভিমানের সুরে বলেন, “গতবার যখন আমি আমার বড় ভাইয়ের পক্ষে কাজ করেছি তখন তিনি বলেছিলেন আর নির্বাচন করবেন না। আমাকে সমর্থন দেবেন। আমি গত পাঁচ বছর ধরে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছি। প্রস্তুত হয়েছি নির্বাচনের জন্য। এখন বড় ভাই হঠাৎ করে প্রার্থী হয়েছেন। আশা করি এলাকার লোকজন আমাকেই ভোট দেবেন।”
অপরদিকে একই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী জুয়েলরোড এলাকার বাসিন্দা বাবা মো. ইউনুছ মিয়া (লাটিম) ও ছেলে ওমর ফারুক (ঝুড়ি)।
তবে এলাকাবাসীর ধারণা, বাবা নামেই প্রার্থী। আসলে তিনি কাজ করছেন ছেলের জন্য।
পাইনাদী জুয়েল রোড এলাকার বাসিন্দা ফজলে হাসান ও আহম্মদ আলী জানান, বাবা ও ছেলে প্রার্থী হলেও আসল প্রার্থী হচ্ছেন ছেলে ওমর ফারুক। এই বাবা তার ছেলের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন, প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। ছেলে ওমর ফারুকও সে কথাই বললেন, “বাবা আগে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি এলাকায় আমার জন্য গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত নির্বাচনে তিনি অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান জানিয়ে বলেন, “পাঁচ বছর ধরেই আমি এলাকার লোকজনের সঙ্গে কাজ করেছি। তারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আশা করি নির্বাচনে তারা আমাকে ভোট দেবেন।” ওয়ার্ডটির অন্য অপর চার কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন- কামাল হোসেন খন্দকার, জাহিদুল ইসলাম, রওশন আলী ও আনোয়ারুল ইসলাম। তারাও এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাসিক নির্বাচন

২০ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ