পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক গণরায় মেনে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ৬ মেয়র প্রার্থী। গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের কনভেনশন হলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উদ্যোগে ‘একটি রাষ্ট্রে নাগরিকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ নেই’ সেøাগানে মেয়র প্রার্থীদেরকে নিয়ে জগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে ওই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এলডিপির কামাল প্রধান সরে দাঁড়িয়েছেন। দুপুরে তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর বিকেলে সুজনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মঞ্চে উঠে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে সমর্থন দিয়ে নেমে যান।
সুজন সাধারণ সম্পাদক ডা. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ। সুজনের না.গঞ্জ জেলা সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার, জেলা সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলসহ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটাররা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১০ বিষয়ে মেয়র প্রার্থীদের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়। পরে চলে বক্তব্য ও প্রশ্নোত্তর পর্ব। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আমি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হলেও স্বতন্ত্রভাবেই দলমত নির্বিশেষে আগের মতোই উন্নয়ন করে যাবো। বিগত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের সুযোগ ছিল না। আমি গত নির্বাচনের সময়ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলাম। নির্বাচিত হওয়ার পরে আমি দলমত নির্বিশেষে উন্নয়ন করেছি। গত পাঁচ বছরে অনেক চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ কাজ করতে। এখনও অনেক কাজ এ দু’টি এলাকায় বাকি রয়েছে। সিটি করপোরেশনের ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি। এখন বাকি ৩০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করতে হলে আমাকে আবারো আপনারা নির্বাচিত করুন। আমি বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করব। দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে আল্লাহকে হাজির নাজির রেখে আমি উন্নয়নে কাজ করব। আমি কাজ করেছি আমার ভুল হয়েছে। যারা কাজ করেনি তাদের তো কোন ভুল নেই। যে কাজ বেশি করে তার ভুলও বেশি হয়। আমাকে আবারো সুযোগ দিন সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল এলাকার কাজগুলো সম্পন্ন করব। আমাকে আবারো নির্বাচিত করলে জবাবদিহিতা স্বচ্ছতার মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন করব।
ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানোর প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আইভী বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স ফি কমাতে পারব না। সরকার কর্তৃক গেজেট করা। সেখানে সিটি করপোরেশনের কমানোর সুযোগ নাই। যেই মেয়র হয়ে আসবে তার ক্ষমতা নেই কমানোর জন্য।’
ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাকে ভোটাররা মেয়র নির্বাচিত করলে প্রথম কাজ হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির নেতৃবন্দকে নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে মাস্টার প্লান করা। মাস্টার প্লানের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। নারায়ণগঞ্জ ময়লা আবর্জনার নগরী থাকবে না। যে সব খাল জবর দখলে রয়েছে ভরাট করা হয়েছে সেগুলোকে উদ্ধার করা হবে। শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণে সচেষ্টা থাকব। নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস গুম খুন অপহরণ ও মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলব। যানজটমুক্ত নগরী গড়ব। যানজট মুক্ত করতে ফ্লাইওভার করব। ফুটওভার ব্রিজ করব। গ্যাস পানি সমস্যার সমাধানে কাজ করব। মোট কথা আমি দলমত নির্বিশেষে নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্নয়নে কাজ করব। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী এহজাহরুল হক বলেন, ‘কুরআন ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করব। নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে যানজটমুক্ত করব। মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় করব।
বাংলাদেশের বিপ্লবি ওয়ার্কাস পার্টির প্রাথী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন,‘অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধার করে স্বল্পঋণের সাহয্যে আবাসন ব্যবস্থা করা হবে। শুধু প্রাথমিক পর্যায়ে না শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের সর্বোচ্চ পড়ালেখার আগ্রহীদের বিনামূলে পড়ার সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।’
কল্যাণ পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদাউস বলেন, ‘মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে কাজ করা হবে। এ ছাড়াও শীতলক্ষ্যার পানি দূষণমুক্ত করতে কাজ করা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।