পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে আগামী ৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজছে চট্টগ্রাম। ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে দ্রæত। ফুটপাত, সড়কদ্বীপ, ফ্লাইওভারে পড়ছে রঙের ছোঁয়া। তাতে জনদুর্ভোগও কিছুটা কমছে।
এদিকে জনসভা ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বর্ণিল ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, বিলবোর্ড, তোরণে ছেঁয়ে গেছে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম। প্রায় এক দশক পর ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। করোনা মহামারির কারণে বেশ কয়েক বছর চট্টগ্রামে কোনো জনসভা করেননি আওয়ামী লীগ সভাপতি।
চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া বিএনপির দেশব্যাপী চলমান বিভাগীয় সমাবেশে পাল্টা কর্মসূচি হিসাবে পলোগ্রাউন্ডের এ জনসভা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর তাই লোকসমাগমের দিক দিয়ে বিএনপিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের প্রত্যাশা জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভা থেকে চট্টগ্রামের উন্নয়ন এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। তার বক্তব্য শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। ফলে জনসভায় রীতিমত জনস্রোত নামবে এমন প্রত্যাশা করছেন নেতারা। জনসভা সফলে তাই চলছে নানামুখী তৎপরতা।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সিডিএসহ সেবাসংস্থাগুলো মাঠে নেমে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে নগরীতে সড়ক সংস্কার শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিমানবন্দর থেকে জনসভার ভেন্যু পলোগ্রাউন্ড পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা লাঘবে উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই সড়কে চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ। কাজের ধীরগতি আর সমন্বয়হীনতায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠে। ভাঙাচোরা সড়কে চলতে গিয়ে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। তাতে যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে। মানুষের নিত্যদুর্ভোগেও নির্বিকার ছিল সিডিএ।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফরের ঘোষণা আসতেই নড়েচড়ে বসেন সংস্থার কর্মকর্তারা। দ্রæত নগরীর এ প্রধান সড়কটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার কাজ শুরু করা হয়। সড়কে গর্ত ভরাট করে পিচঢালাই হচ্ছে। নির্মাণসামগ্রীর স্তুপ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দ্রæত চলছে পাইলিংয়ের কাজ। সড়কটি এখন যান চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক সিডিএর প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে দ্রæত সড়কটির এক লেন সংস্কার করে পিচঢালাই দেয়া হচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।
পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে টাইগারপাস হয়ে জনসভায় আসতে পারেন। এটা বিবেচনা করে বিমানবন্দর থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত সড়ক সংস্কার দ্রæত এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। আবার বিকল্প হিসাবে টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার হয়ে সেনানিবাস পর্যন্ত সড়কও দ্রæত সংস্কার করা হচ্ছে। টাইগারপাস থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত অংশে পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ রেখে সড়কে কার্পেটিং করে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো সংস্কার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে সিটি কর্পোরেশনও নগরীতে ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধন কাজ শুরু করেছে। পলোগ্রাউন্ডের আশপাশের সবকটি সড়ক, ফুটপাত সংস্কার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন, প্রস্থানের সড়ক এবং জনসভামুখী সবকটি সড়ক ও সড়কদ্বীপে এখন রঙের ছোঁয়া। ফুটপাত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে বর্ণিল করে তোলা হচ্ছে। এতে খুশি নগরবাসী। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে হলেও নগরীতে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
শ্রমিক লীগের প্রস্তুতি সভা
৪ ডিসেম্বর জনসভা সফল করতে মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শ্রমিক লীগ পাহাড়তলী শিল্পাঞ্চল কমিটির সভাপতি শফি বাঙালি। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সভাপতি মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ শফর আলী, মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ অন্তর্ভুক্ত বেসিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের আহŸায়ক মুহাম্মদ ইয়াকুব, সদস্য সচিব মো মিরন হোসেন মিলন, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ্, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দোকান কর্মচারী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আলমগীর, বিপনি বিতান দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সৈয়দ জাহাগীর আলম, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতা হাবীবুল্লাহ্ ভাস্কর প্রমুখ। বক্তারা জনসভাকে সফল করতে শ্রমিক জনতার প্রতি উদাত্ত আহŸান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।