পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমনিতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যাঁতাকলের পিষ্ঠ গণমাধ্যম। তার সঙ্গে নিউজ প্রিন্টের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রিন্ট মিডিয়ার আকাশে কালোমেঘ হয়ে দেখা দিয়েছে। এমনিতেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞাপনের মূল্য পরিশোধে গতি নেই। কোটি কোটি টাকা পড়ে রয়েছে বকেয়া বিল। তার ওপর হু হু করে বাড়ছে নিউজপ্রিন্টের দাম। কিছুদিন আগেও নিউজপ্রিন্ট প্রতি টন বিক্রি হতো ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। এখন সেই দাম বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছাপাখানায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যে দাম বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। ফলে প্রিন্ট মিডিয়া নতুন করে সঙ্কটের মুখে পড়ে গেছে। একই সঙ্গে দেশের মুদ্রণশিল্পে দেখা দিয়েছে অশনি সংকেত।
প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বাজারমূল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য না থাকায় প্রতিমাসেই চলছে কাটছাঁট। অন্যদিকে ডলার সঙ্কটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পারছে না ব্যাংকগুলো। এতে বেড়ে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতি, বেড়েছে গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্যও। যার সার্বিক প্রভাব পড়ছে দেশের মুদ্রণ শিল্পে। অথচ নতুন বছরের স্কুল-কলেজের বই ছাপানো এবং একুশে বই মেলার প্রস্তুতির কারণে সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি কাগজের চাহিদা থাকে। কিন্তু সর্বোচ্চ চাহিদার এই সময়ে কাগজের জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার। গত পাঁচ মাসের মধ্যে পাইকারিতে প্রতি টনে কাগজের দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার টাকা। যার প্রভাব পড়েছে মুদ্রণ প্রকাশনা শিল্পে।
চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৫ কোটি নতুন বই, সহায়ক বই, একুশে বইমেলা বিপুলসংখ্যক বই প্রকাশ এবং সংবাদপত্র শিল্প প্রকাশনা অব্যাহত রাখা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সঙ্কটের কথা চিন্তা করে এখনই সীমিত পরিসরে কাগজের কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। অন্যথায় জানুয়ারিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন তারা।
পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, কাগজের মূল সঙ্কট আমরা এখনো টের পাচ্ছি না। কিন্তু যেভাবে চলছে এটি অব্যাহত থাকলে সঙ্কট জানুয়ারিতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটবে। কারণ ওই সময় প্রথমশ্রেণি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, সহায়ক বইসহ সকল কাগজের উপকরণ প্রয়োজন হবে। ফেব্রুয়ারিতে রয়েছে বইমেলা। সেখানে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক নতুন বই প্রকাশ করা হয়। যার কাজ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই শুরু হয়। কিন্তু এখন কাগজের সঙ্কট, মূল্যবৃদ্ধির কারণে সবকিছু থমকে যাচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। প্রকাশনা, দৈনন্দিন কাজসহ সকল ক্ষেত্রই কাগজের ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের উচিত এখনই সীমিত পরিসরে হলেও আমদানির ব্যবস্থা করা। এতে মজুদদারা ভয় পাবে, কাগজের দাম কিছুটা কমে আসবে। না হলে এখন যাদের কাছে কাগজ রয়েছে তারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াবে।
রাজধানীর নয়াবাজারে কাগজের মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাঁচ মাসের ব্যবধানে পাইকারিতে হোয়াইট প্রিন্ট প্রতি টন কাগজের দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার টাকা। বাজারে এ মানের প্রতি টন কাগজ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৩৫ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। হোয়াইট নিউজপ্রিন্ট বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়। ছয় মাস আগেও হোয়াইটপ্রিন্ট কাগজের দাম ছিল ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। এছাড়া ভালো মানের নিউজপ্রিন্ট প্রতি টন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। মাস চারেক আগেও এ মানের কাগজের টন বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে লেজার কাগজের দাম। প্রতি টনের দাম ৩০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বছরের এ সময়ে নতুন বই ছাপানোর জন্য প্রচুর কাগজের প্রয়োজন হয়। ফলে বাংলাবাজারের প্রকাশকরা বিভিন্ন ধরনের বই ছাপানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ কারণে এখন কাগজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অথচ কোনো কারণ ছাড়াই কাগজের দাম বাড়ছে। সরবরাহও কমেছে। আগে ১০০ টনের অর্ডার দিলে তিন-চার দিনের মধ্যে সরবরাহ করা হতো। এখন ১০০ টন কাগজ পেতে সময় লাগছে ৮ থেকে ১০ দিন। মিলাররা মূলত ডলার সংকট ও উৎপাদন সমস্যা দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে। কাগজকলগুলোও এ সুযোগে কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন তাঁরা।
মিল মালিকরা বলছেন, ডলার ও বিশ্ববাজারে কাগজ তৈরির মন্ড বা ভার্জিন পাল্পের দর বাড়ার কারণে কাগজের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ফলে বাজারে কমেছে সরবরাহ। বাড়ছে কাগজের দাম।
পাইকারি বাজারে শুধু যে কাগজের দাম বেড়েছে তা নয়। বেড়েছে মলাটের কাগজের দামও। প্রতি ১০০টি মলাটের কাগজের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৬০০ টাকা হয়েছে। একই পরিমাণ আর্ট কার্ডের দামও এখন ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি। ১০০টি আর্ট কার্ড মিলছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। এক রিম রঙিন কাগজের দাম ৮৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
মুদ্রণশিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, বই ছাপাতে গিয়ে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা তো আছেই। এখন বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে কাগজের দর। দেশে এখন যে পরিমাণ কাগজ আছে তাতে সর্বোচ্চ ৩০-৪০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপানো সম্ভব হবে। পাঠ্যবইয়ের কাগজ উৎপাদন করে তিনটি পেপার মিল। তাদের কাছে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টন কাগজ উৎপাদনের পাল্প আছে। ৩৫ কোটি বই ছাপাতে লাগবে ১ লাখ টনের বেশি কাগজ। এখন কাগজ না থাকলে কী করে বই ছাপা হবে? তিনি বলেন, বাজারে এখন পর্যন্ত কাগজের দাম কমেনি। তাই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে, জাতীয় স্বার্থে বিদেশ থেকে কাগজ বা ভার্জিন পাল্প শুল্কমুক্ত আমদানির অনুমতি দেওয়া।
কাগজ উৎপাদন ও ব্যবসায়ীদের তথ্য বলছে, দেশে বছরে ৮ থেকে ৯ লাখ টন কাগজের প্রয়োজন হয়, যার অধিকাংশই দেশের উৎপাদনকারীরা সরবরাহ করে। এর মধ্যে আর্টপেপারসহ বিশেষ কিছু কাগজ আমদানি হয়। দেশে শতাধিক কাগজ কল ছিল। নানা কারণে ৬০ থেকে ৭০টি বন্ধ হয়ে গেছে।
বিপাকে প্রকাশকরা : ফেব্রুয়ারি জুড়েই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে চলে অমর একুশে বইমেলা। লেখক-প্রকাশকরা তাদের সিংহভাগ বই প্রকাশ করেন এই মেলাতেই। যার কাজ শুরু হয় অক্টোবর থেকেই। কিন্তু এই সময়ে কাগজের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। বইমেলায় প্রকাশিত বইগুলোতে যে কাগজ (৮০ গ্রাম) ব্যবহার করা হয় তার দাম রিমপ্রতি ছিল ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা, সেটির বর্তমান দাম ৩৫০০ থেকে ৩৬০০ টাকা। এছাড়া আগের দিনের দামের সঙ্গে পরের দিনের দাম মেলে না। এমন ভারসাম্যহীনতায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রকাশকরা। তাই যেসব প্রতিষ্ঠান কাগজের বাজার দখল ও নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের বিনিয়োগ ও লভ্যাংশের স্বচ্ছতা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে নির্ধারণসহ আরও বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে প্রকাশকদের সংগঠন সৃজনশীল প্রকাশক ঐক্য।
অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলন নাথ বলেন, কাগজের অস্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশের পুরো প্রকাশনা খাত বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। একইসঙ্গে যোগ হয়েছে আমদানিনির্ভর প্লেটের দুষ্প্রাপ্যতা। জরুরি প্রকাশনায় উচ্চমূল্য দিয়েও মিলছে না এসব উপকরণ। এ অস্বাভাবিকতা এখন চরম পর্যায়ে। বর্তমান বাজার মূল্যে ছাপাকেন্দ্রিক কোনো কাজকর্মই করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা সাধারণত কাগজের মূল্য হিসাব করেই বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করে থাকি। কিন্তু একটি বই পাঠকের হাতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রায় ১৬টি পেশাদার হাত ঘুরে আসে। তাদের পেশাজীবন বইকে কেন্দ্র করেই। এখানে পাণ্ডুলিপি তৈরি ও কম্পোজ, প্রুফ রিডিং, সম্পাদনা, মেকআপ, ডিজাইন, প্রচ্ছদ, প্লেট, ছাপাখানা, বাইন্ডিং ও প্যাকেজিং খাতগুলো সম্পৃক্ত। এছাড়াও প্রতিনিয়ত নানা ছলচাতুরী করে কাগজের দাম বেড়েই চলেছে। গতকালের মূল্য আর আজকের মূল্য ঠিক থাকছে না। সরকার আমদানিনির্ভর ডিজেল, পেট্রোলিয়াম, চাল, আটা, চিনি, সয়াবিনের মতো পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সিল করে দিচ্ছে বাজার শৃঙ্খলার জন্য। কিন্তু কাগজের ক্ষেত্রে সেটা করা হচ্ছে না। এই ভারসাম্যহীনতায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা। তিনি বলেন, আমরা সরকারের প্রতি জোর মিনতি এর আশু সমাধানকল্পে জরুরি ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।
এদিকে সংবাদপত্র প্রকাশনা শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সব ধরনের কাগজের দাম কমানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে সংস্থাটির কার্যালয়ে গত জুনে চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় জানানো হয়, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এ শিল্পের টিকে থাকা কঠিন। নোয়াব সংবাদপত্র শিল্পের জন্য নিউজপ্রিন্ট আমদানির ওপর ভ্যাটমুক্ত সুবিধা দেয়া অথবা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণের দাবি করেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেপার ইমপোর্টার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা বলেন, কাগজের সঙ্কট মুদ্রণ শিল্পে আবশ্যিকভাবে একটা প্রভাব পড়বে। এটাই স্বাভাবিক। প্রাইমারি আর মাধ্যমিকের প্রজেক্টটা মনে হয়না তারা পূরণ করতে পারবে। একদিকে ডলার সঙ্কট অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি। এছাড়া ব্যাংকে আমাদের এলসি নিচ্ছে না। উৎপাদক, আমদানিকারক সবাই সমস্যায় আছে। এখন অনেক চাহিদা, সিজন টাইম। জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। ফলশ্রুতিতে সঙ্কটটা আরো বেশি পড়বে। শিক্ষা কার্যক্রমকে যদি সঠিকভাবে রাখতে চায় এবং সময়মতো যদি সবকিছু করতে চায় সাপ্লাই চেইনটা ভালো রাখতে হবে। কাগজ কোন বিলাসদ্রব্য না, এটার উপর যে ডিউটি প্রায় ৬০ শতাংশের মতো। এই ডিউটিটাকে যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
এদিকে, সরকারের চাপে সরকারি বিনামূল্যের বই ছাপার ক্ষেত্রে সঙ্কট না হলেও বছরের শুরুতে বিভিন্ন একাডেমিক বই ছাপানোর সময় কাগজের কৃত্রিম সংকট হতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, সরকারের চাপে হয়তো মিল মালিকরা বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর জন্য কাগজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখবে। এরপর আবার বাজারে কাগজ সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে। এতে বিপদে পড়তে পারেন একাডেমিক ও সৃজনশীল বইসহ অন্য প্রকাশকরা।
এদিকে পাইকারি বাজারে বাড়ার কারণে খুচরা বাজারেও কাগজের দাম লাগামহীন। খুচরা পর্যায়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লেখার কাগজ প্রতি রিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, যা কিছুদিন আগেও ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। একই সঙ্গে কলমসহ শিক্ষার অন্য উপকরণের দামও বেড়েছে পাইকারি বাজারে। ২০০ পাতার একটি লেখার খাতা আগে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ফটোকপির জন্য ব্যবহার করা হয়- এমন এ-ফোর আকারের এক রিম কাগজের দাম এখন ২৯০ টাকা, যা তিন-চার মাস আগে ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি পেপার মিলের কর্মকর্তা জানান, কয়েক মাস আগেও বিশ্ববাজারে পাল্পের টন ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ ডলার। দাম এখন এক হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে তাদের উৎপাদন কমেছে অন্তত ৪০ শতাংশ। এ কারণে কাগজের দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক অনিল দাশ বলেন, আগে বিশ্ববাজারে প্রতি টন কাগজের দাম ১১শ থেকে সাড়ে ১১শ ডলার ছিল। কমে এখন ৯শ’ ডলারের নেমেছে। জাহাজ ভাড়াও কমেছে। অথচ বিদেশি কাগজের বুকিং কমে গেছে। এর মধ্যেই দেশে অনেক দাম বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।