পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জঙ্গিরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের অভিযানে যখন জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার হচ্ছিল, তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, কিছু মানুষকে ধরে আটক করে রেখে তাদের চুল-দাড়ি লম্বা হলে জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়, আসলে জঙ্গি নেই। সুতরাং এই দেশে জঙ্গি আশ্রয়দাতা, পশ্রয়দাতা, অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপির নেতারা। সেই জঙ্গিরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালত থেকে আসামি ছিনতাই করা হয়েছে, চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, কাঁচপুর ব্রিজের নামফলক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্য শুরু করেছে। তাদের মদদে ও পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি, মৌলবাদীরা আবার ডালপালা মেলেছে। সুতরাং এই জঙ্গিগোষ্ঠীর আস্ফালন আর বিএনপির নেতৃত্বে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা একসূত্রে গাঁথা।
ড.হাছান বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব কিছুদিন আগে ঠাকুরগাঁওয়ে তার পৈত্রিক বাড়িতে বসে বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিলো। কারণ মির্জা ফখরুল সাহেবের বাবা পাকিস্তানপন্থী ছিলেন বিধায় দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বেশ কিছু দিন আত্মগোপনেও ছিলেন। একইসঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবও কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন বলে আমি শুনেছি। তিনি আবার ঘোষণা করেছেন যে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আরেকটি যুদ্ধ করে আবার দেশকে স্বাধীন করবেন। অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ যে স্বাধীন হলো সেটি তাদের পছন্দ হয় নাই। সে জন্য আবার একটি যুদ্ধ করে দেশটাকে তারা পাকিস্তান বানাতে চায়। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আজকে যে মানববন্ধন আয়োজন করেছেন, আমি মনে করি এটি একটি যথার্থ আয়োজন।
রাজধানীতে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের সমালোচনাও করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় এসে নাকি ঢাকা দখল করবে। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবসে পাকিস্তানিরা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিল। আর ১০ ডিসেম্বর এই পাকিস্তানপন্থী বিএনপি নেতারা যখন ঢাকা শহরে আসবে তাদের মানুষ আত্মসমর্পণ করাবে। তারা সারা বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে এখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাবে-সেটি বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ হতে দেবে না। যেভাবে ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শিল্পী সমাজ, সাংস্কৃতিককর্মীরা, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিল, আজকেও তাদের আহ্বান জানাই এই অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার জন্য।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী,চিত্রনায়িকা অরুনা বিশ্বাস, চিত্রনায়ক শাকিল খান প্রমুখ।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।