পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সউদি আরব ও তুরস্ক সিরিয়ায় সৈন্য পাঠানোর ব্যাপারে বাগাড়ম্বর থেকে সোমবার সরে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দু’দেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, পরিকল্পিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের তৎপরতা বন্ধ হয় কিনা তা দেখার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। খবর দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
একজন সউদি কূটনীতিক রোববার বলেন, সউদি আরব সিরিয়ায় স্থলসেনা পাঠানোর ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তবে তারা এখন আগে দেখবেন যে বৈরিতা বন্ধে ঐকমত্যে উপনীত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরিকল্পনা কাজ করে কিনা।
রোববার দিনের শেষদিকে রিয়াদে সউদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্থলসেনা মোতায়েন করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, এর সময়টা আমাদের উপর নির্ভর করে না। সউদি কূটনীতিক বলেন, তুরস্কও সিরিয়ায় স্থলসৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে। অন্যদিকে বিশেষ বাহিনীর সৈন্যদের নিয়ে সউদি বাহিনী গঠিত হবে। এ বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এ সপ্তাহের পরের দিকে বৈরিতার বিরতি টানতে বিশ^শক্তিগুলোর চাপ সত্ত্বেও ইতোমধ্যে জটিল হয়ে ওঠা সংঘাত আরো জটিল হয়ে উঠেছে। রাশিয়ার বিমান থেকে বোমা বর্ষণের পাশাপাশি ইরানি ও ইরাকি যোদ্ধাসহ সিরীয় সরকারী বাহিনী আলেপ্পোর নিকটবর্তী হচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, সউদি আরব ও তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী গ্রুপ একের পর এক এলাকা হারাচ্ছে।
কূটনীতিক বলেন, হতাশাই সউদিকে আরবকে পদক্ষেপ গ্রহণে দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, রিয়াদ ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জিহাদি ও ইরানি প্রভাব উভয়েরই মোকাবেলা করতে চায়। তিনি বলেন, সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা শান্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছি। আমাদের বিশ^াস যে তা ব্যর্থ হবে এবং যখন তা হবে তখন পরিস্থিতি হবে সম্পূর্ণ পৃথক।
তিনি বলেন, সউদি আরব ও তুরস্ক ব্যাপকভাবে একই পাতায়। তবে আংকারা সিরিয়ার ভিতরে কুর্দি বাহিনীর মোকাবেলার উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
কূটনীতিক বলেন, তুরস্ক সরকার তাদের চিন্তার কিছু পরিবর্তন করেছে, তারা উপলব্ধি করেছে যে আইএস (দায়েশ) একটি হুমকি। কিন্তু তারা একে কুর্দি গ্রুপগুলো নির্মূলের সুযোগ হিসেবে নিয়েছে।
কুর্দিরা এ সপ্তাহে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি বিমানঘাঁটি দখল করে নেয়ার পর তুর্কি বাহিনী তাদের উপর বোমা বর্ষণ করে। এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছে।
তুর্কি বাহিনী সিরিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে বলে দামেস্ক তুরস্কের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ জানানোর পর তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমত ইলমাজ সোমবার তা অস্বীকার করেন। সিরিয়া বলে, শনিবার তাদের ভূখ-ে প্রবেশ করা ১শ’ বন্দুকধারীর মধ্যে তুর্কি সৈন্যরাও ছিল। ইলমাজ বলেন, এটা সত্য নয়। তিনি বলেন, তুরস্ক স্থল সেনা পাঠানোর বিরোধী নয়। কিন্তু আমরা শান্তি প্রক্রিয়াকে একটি সুযোগ দিতে চাই।
ইলমাজ নিশ্চিত করেন যে সউদি আরব ইনসারলিক বিমান ঘাঁটিতে ৪টি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান পাঠাবে।
সউদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর রোববার রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সউদি জঙ্গি বিমান মোতায়েন হচ্ছে অভিযানের অংশ। তিনি বলেন, সিরিয়ায় কোনো স্থল অভিযানে সউদি আরবের বিশেষ বাহিনী প্রেরণের সিদ্ধান্ত আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের স্থলসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে সাথে সম্পর্কিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।