Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হলমার্কের এমডি চেয়ারম্যানের বিচার শুরু

প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কোর্ট রিপোর্টার : হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে ঋণ কেলেঙ্কারির দুই মামলায় অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা গতকাল দুই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য শুরুর জন্য ৩ মার্চ দিন ঠিক করে দেন। দুদকের দায়ের করা এসব মামলার একটিতে জেসমিন ও তার স্বামী তানভীরসহ আসামি মোট ১৯ জন; অন্য মামলায় ১৮ জন। অভিযোগ গঠনের আগে আসামির মধ্যে তানভীর মাহমুদ, মীর মহিদুর রহামান, শেখ আলতাফ হোসেন, সফিজ উদ্দিন, মাইনুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম হাজিরা প্রদান করেন। এসময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান আদালতের কাছে। এ ছাড়া আসামি সাইফুল হাসান, আব্দুল মতিন, ননী গোপাল নাথ, কামরুল হোসেন খান, হুমায়ুন কবির (সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও), তসলিম হাসান, সাইফুল ইসলাম রাজা, আব্দুল মালেক, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল বাসিত, জিয়াউর রহামান পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়া জারি করা হয়। এ ছাড়া আসামি এ কে এম আজিজুর রহমান ও আতিকুর রহমান মারা যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের আরেক মামলায় হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী তিন মার্চ এ মামলায়ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিনধার্য করা হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে হলমার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনা প্রকাশ পেলে ব্যাপক শোরগোল ওঠে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১২ সালের অগাস্টে আর্থিক খাতে বড় এই কেলেঙ্কারির ঘটনার অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে ওইবছর ৪ অক্টোবরে মোট ১১টি মামলা করা হয়, যার মধ্যে এই দুই মামলাও রয়েছে। অভিযোগ গঠনের আদেশের পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন বলেন, “এক মামলায় সোনালী ব্যাংক থেকে ১৭৩ কোটি এবং অন্য মামলায় ২৬৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থ পাচার, অবৈধভাবে অর্থ হস্তান্তর ও অবৈধ রূপান্তরের অভিযোগে তাদের বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” বাকি নয়টি মামলাতেও এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষ মুদ্রাপাচার আইনের একটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা জানানোর পর ওই শুনানি পিছিয়ে যায়। তাদের আবেদনে হাই কোর্ট যে আদেশ দিয়েছে তা আগামী ৩ মার্চ জজ আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে কেবল জেসমিন ইসলামের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের আরেকটি মামলায় এদিন অভিযোগ গঠন করেছে একই আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখা হয়েছে ৩ মার্চ। ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর তানভীর, জেসমিনসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ১১ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হলমার্কের এমডি চেয়ারম্যানের বিচার শুরু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ