বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
রাজু আহমেদ : আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে পৃথিবীর বহুদেশ এগিয়ে চলছে। আমরাও এগিয়ে যেতে চাই। অথচ যে নীতি ও রীতিতে এগুচ্ছি তাতে বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করে লাভের বেশিরভাগ গুড় ভারতের পেটে যাচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এশিয়ার দক্ষিণ জনপদ তথা বাংলাদেশ তার পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সাথে সমস্বার্থ ভাবাপন্ন আঞ্চলিক চুক্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হতে পারত কিন্তু অতিশয় দিল্লিপ্রীতি এবং ভক্তির কারণে একের পর এক আঞ্চলিক চুক্তি ঠিকই সম্পাদিত হয়েছে কিন্তু লাভের খাতায় শুভঙ্করের ফাঁকি জুটেছে বাংলাদেশের ভাগ্যে। কেননা আঞ্চলিক চুক্তির মাধ্যমে ভারতের স্বার্থে দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য ভারত থেকে যে ঋণ সাহায্য বাংলাদেশ লাভ করেছে তাও কঠিন শর্ত ও সুদের বিনিময়ে। বাংলাদেশের স্থল (সড়ক ও রেল) ও সমুদ্রবন্দর এবং নৌপথ ব্যবহার করে ভারত আর্থিকভাবে ফুলে ফেঁপে ওঠার সুযোগ লাভ করেছে। আঞ্চলিক চুক্তির মাধ্যমে একচেটিয়াভাবে ভারত নির্লজ্জভাবে তার একচ্ছত্র স্বার্থ আদায় করে নিলেও আমরা বুঝে-শুনে চুপ করে শুধু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেই দায়িত্ব শেষ করেছি। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে সহায়তার যে ঋণ ছিল তা পূরণের পর এবার বোধহয় উচ্চমূল্যের সুদ টেনে যাচ্ছি নিরন্তর। কবে যে সে সুদের চড়া হার শোধ হবে তারও বোধহয় শেষ সীমা নাই। ‘মামা বাড়ির আবদারে’র মতো একের পর এক আবদার ভারত জানাচ্ছে আর আমরা উঠেপড়ে তা পূরণের জন্য সচেষ্টভাব দেখাচ্ছি। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে বোধহয় এমন দৃষ্টান্ত খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে ভারত আমাদের কাছে কিছু চেয়েছে অথচ তা দিইনি অথবা তারা পায়নি। প্রাপ্তির যাত্রায় ক্রমশ তাদের চাহিদার খসড়া দীর্ঘায়িত হয়েছে আর আমরা সর্বস্ব খুইয়ে হলেও সে আবদার পূরণ করে যাচ্ছি। রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার তোয়াক্কা না করে দিল্লির শখ পূরণে আমরা শুধু প্রতিযোগিতাই করিনি বরং কখনো কখনো দেশের স্বার্থ পদ্মায় ডুবিয়ে দিয়েছি! এর বিনিময়ে আমরা কী পেয়েছি তার হিসাবের খাতার পৃষ্ঠা বোধহয় উল্টেও দেখিনি কোনোদিন। চাইতেই যদি মিলে যায় সব তবে কোন পাগলে না চেয়ে থাকে। ভারত সে রীতি অনুসরণ করে একের পর এক চেয়েই যাচ্ছে। নীতি-নৈতিকতার বালাই ছাড়া তাদের চাওয়ার এ তালিকা দেখে বোধহয় তাদের লজ্জা হয় না কিন্তু আমাদের ঠিক লজ্জা হয়। জাতি হিসেবে সামান্যতম হলেও তো তাদের বিবেক বোধের বালাই থাকা উচিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা তাদের মধ্যে মারাত্মকভাবে অনুপস্থিত।
আন্তর্জাতিক বিশ্বে দৃষ্টি ফেললে দেখা যায় সেখানে যে সকল আঞ্চলিক চুক্তি হয়েছে তাতে দু’পক্ষের কিংবা সকল পক্ষের সমস্বার্থ রক্ষা পেয়েছে। ইউরোপে এমন বহুদেশ আছে যে সকল দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সমুদ্রপথে তাদের সরাসরি প্রবেশের সুবিধা নেই। ইংরেজিতে এসকল দেশকে ‘ল্যান্ড লকড কান্ট্রি’ বলা হয় । বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের সমুদ্রবন্দর তাদের একমাত্র ভরসা। চুক্তির মাধ্যমে সমুদ্রবন্দরহীন এ সকল রাষ্ট্র নেদাল্যান্ডসের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে এসকল দেশ তাদের ব্যবসা বৈদিশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেমনভাবে গতি ঠিক রেখেছে, তেমনি নেদারল্যান্ডসও বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছে। মিসরের সুয়েজ খাল জাতীয়করণের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের যেমন সুযোগ ঘটেছে, তেমনি মিসরও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। অথচ আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের (বিবিআইএন) মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তাতে একমাত্র ভারতই সিংহভাগ উপকৃত হচ্ছে এবং হবে। ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময়ে ভারতকে মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমোদন দিতে রাজি হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদার দাস মোদির বাংলাদেশ সফরকালে ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ভুটান, নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রানজিট (সড়ক ও রেল) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ চুক্তি স্বাক্ষরের দীর্ঘদিন পূর্ব থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের একাংশ এর বিরোধিতা করে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে ট্রানজিটের (করিডর) বহুমুখী উপকারিতা বর্ণনা ও এ চুক্তিকে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক ঘোষণা দিয়ে এ চুক্তি সম্পাদন করা হয়। ট্রানশিপমেন্টের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে টনপ্রতি ১০৫৮ টাকা দাবি করা হলে ভারত ১৯৩ টাকা দিতে রাজি হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ এ নিয়ে আর কোনো বার্গেনিং না করে ১৯৩ টাকা নিতেই রাজি হয়। মূলত ট্রানজিট থেকে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির যে স্বপ্ন দেখা হয়েছিল তার ক্ষতির শুরুটা এখান থেকে আরম্ভ হয়। কেননা টনপ্রতি ১০৫৮ টাকার বদলে ১৯৩ টাকা গ্রহণের ভারতীয় প্রস্তাব মেনে নিয়ে দেশের অর্থপ্রাপ্তির বিপুল সম্ভাবনাকে হত্যা করা হয়েছে। ইউ এন এসকেপ-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. এম রহমাতুল্লার প্রকাশিত তথ্যমতে, কলকাতা থেকে চিকেন নেক দিয়ে আগরতলা পর্যন্ত প্রতি টন পণ্য পৌঁছাতে যেখানে ১০০ ডলার খরচ পড়তো সেখানে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পাঠাতে ভারতের খরচ হবে মাত্র ৬০ ডলার। তার এ হিসাব মতে, ট্রানজিট সুবিধার কারণে প্রতি টনে মাল পরিবহনে ভারতের ৪০ ডলার বেঁচে যাচ্ছে অথচ তারা বাংলাদেশকে দিচ্ছে মাত্র ২ ডলারের কিছু বেশি। বিষয়টা একটু হাস্যকরের সাথে রহস্যজনকও ঠেকছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিগগিরই চলতি ডিসেম্বর মাসেই ভারত সফরে যাবেন বলে তার কর্মসূচি ঠিক করা ছিল। যদিও সেটি আপাতত হচ্ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রীর এ সম্ভাব্য সফরকে সামনে রেখে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সাথে এবার ‘ওপেন স্কাই’ চুক্তি করতে আগ্রহী। জল, স্থলের পর এবার বাংলাদেশের আকাশকে উন্মুক্তভাবে ব্যবহারের অধিকার দরকার ভারতের। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলা চলে, তারা যখন মুখ ফুটে ‘ওপেন স্কাই’ চুক্তির কথা উচ্চারণ করেছে, কাজেই অচিরেই বাংলাদেশের আকাশেও ভারতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ থেকে কী পাওয়া যাবে কিংবা কী হারাবে সে হিসাব করে খুব বেশি লাভ নেই। কেননা ভারতের ইচ্ছা এবং সরকারের দিল্লির প্রতি নতজানু মনোভাবের সুযোগে দিল্লি প্রশাসনের ইচ্ছায়ই বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ভারতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ আমাদের একজন শেখ মুজিব কিংবা জিয়া নেই যারা দৃঢ়কণ্ঠে বলতে পারতেন, ‘বাংলাদেশের অধিকার রক্ষা পাওয়ার পর ভারত বাংলাদেশ থেকে সুবিধা পাবে’। ‘ওপেন স্কাই’ চুক্তির আগেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুবিধার বিনিময়ে তার শুল্ক ও কাস্টমস ডিউটি দিবে না। শুধু প্রশাসনিক ফি পরিশোধ করবে (যা অর্থের অঙ্কে খুব সামান্য)। এছাড়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বন্দরে যে সকল সুবিধা পায় তা ভারতীয়দেরকেও দিতে হবে এবং তাদের পণ্য রাখার জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা নির্মাণ করতে হবে। এভাবেই ধীরে ধীরে দিল্লি প্রশাসনের ইচ্ছা প্রকাশ পাচ্ছে এবং আমরা জি হুজুর জাঁহাপনার নীতিতে তার অনুসরণ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স ৪৫ অতিক্রান্ত হতে চলছে অথচ দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আজো মজবুত হয়নি। দেশের স্বার্থরক্ষায় শাসকের যে ভূমিকা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ, বন্ধুপ্রতীম দেশের সাথে সম্পর্ক নির্ধারণের উপযোগিতা ছিল তাও নির্ধারিত হয়নি। হয়তো অবাক হবেন, ভারতের ২৯টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে এমন ১৫টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে যাদের সাথে দিল্লির সাথে সুসম্পর্ক নেই বরং সেনাবাহিনী পুলিশ দিয়ে তাদের দমিয়ে রাখা হচ্ছে। তারা প্রত্যহ ভারত থেকে স্বাধীন হওয়ার স্বপ্নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের অন্তত ২০টি অঙ্গরাজ্য থেকে দিল্লি যে সহায়তা পায় কিংবা নেয় তার চেয়ে বাংলাদেশ থেকে দিল্লির স্বার্থহাসিলের পথ অনেক বেশি উন্মুক্ত এবং গ্রহণও করে বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে বন্ধুত্বের ছদ্মবেশে শোষণের যে রীতি ভারত অনুসরণ করছে এমন দৃষ্টান্ত বিশ্বের অন্য কোনো পাশাপাশি দু’টো সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রের মধ্যে পাওয়া যাবে না।
এতক্ষণ তো শুধু ভারতকে দেয়ার হিসাব কষলাম। এবার একটু আমাদের প্রাপ্তির হিসাব করি। যদিও লাভ নাই কেননা ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য যতটুকু দেশপ্রেম শাসক শ্রেণীর হৃদয়ে লালিত হওয়া উচিত এখানে তার অনুপস্থিতি বহুলাংশে। ভারতের ডজন কয়েক চ্যানেল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে চললেও বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেলও গোটা ভারতে সম্প্রচারিত হয় না। আজো বাংলাদেশী পণ্য ভারতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়নি। অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টন নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি কেননা ভারত তার স্বার্থ ছেড়ে এক ফোঁটা পানিও বাংলাদেশকে দেবে না। আমাদের ন্যায্য প্রাপ্য তিস্তা চুক্তি আজো স্বাক্ষর করা যায়নি। ফলে বর্ষার মওসুমে বন্যা আর শীতের মওসুমে দেশের উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়। এমনকি দু’দেশের সর্বোচ্চ মহলের যখন বৈঠক বসে তখন তিস্তা ইস্যুকে এজেন্ডার বাইরে রাখা হয়। শত সহ¯্র দাবির পরও ভারতের বিএসএফ কর্র্তৃক বাংলাদেশের সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি কিংবা নির্যাতনও থামেনি। বরং ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশীরা প্রতিদিন সীমান্তে হত্যা কিংবা নির্য্যাতনের শিকার হচ্ছে। বিজিবির বারংবার দাবির পরেও ভারতীয় সীমান্তের প্রায় সাড়ে তিনশ’ ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ হয়নি। ওসব কারখানায় উৎপাদিত ফেনসিডিল বানের পানির মতো সীমান্তের চোরাপথ দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ধেয়ে আসছে। ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জের ধরে যখন প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মেলানোর চেষ্টা করি তখন শুধু আমরাই লজ্জিত হই না বরং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের আচরণে লজ্জাও বোধহয় আজকাল লজ্জা পায়।
মম-হৃদয়ের সবটুকু উজাড় করে দিয়েও যখন নিজেদের ভাগের সামান্য ন্যায্য হিস্যাটুকু প্রাপ্ত বলে বিবেচিত হয় না তখন ঘৃণা কেবল উগড়ে উঠে। যে পাকিস্তানের বর্বর বাহিনীর সাথে বাংলাদেশ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বিজয় মুকুট ছিনিয়ে এনেছে সেই পাকিস্তানিদের চেয়ে আজ ভারতীয়দেরকে বাংলাদেশের মানুষ বেশি ঘৃণা করে। এ পরিসংখ্যান ভারতের পত্রিকাতেই মাত্র কিছুদিন আগেই প্রকাশ পেয়েছে। অথচ ভারত যদি আমাদের সাথে সাম্যের সম্পর্ক, বিনিময়ে সমভাগ কিংবা ভাগের উনিশ-কুড়িও বজায় রাখত তবে ভারতীয়দের ঘৃণা করার প্রশ্নই জাগত না। প্রতিবেশী থেকে প্রাপ্ত কষ্টের কারণে অনেকে মাঝে মাঝে বলেন, বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য কেননা বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ভারতের পাশে। সমালোচকরা বলেন, ভারত যার বন্ধু তার আর শত্রুর দরকার পড়ে না। ভারতের আচরণে মনে হচ্ছে, এসব কথা মোটেও মিথ্যা তো নয়ই বরং সর্বাংশে সত্য।
লেখক : কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।