পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ৮৪তম জন্মদিনে হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন দেশ বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমদ। গতকাল সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে শুভেচ্ছা জানাতে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ছাত্র ও শুভানুধ্যায়ীরা এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় আসতে শুরু করেন। ফুলসহ নানা উপহার সাথে নিয়ে আসেন তারা। এমাজ উদ্দিন আহমদও তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করে মিষ্টিমুখ করান।
সকালে স্বাধীনতা ফোরামের আয়োজনে এক অনাড়ম্বর সংবর্ধনা দেয়া হয় তাকে। এ সময় বিএনপির সিনিয়র যগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. মামুন আহমেদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ বিপুলসংখ্যক শুভাকাক্সক্ষীর উপস্থিতিতে কেক কাটেন অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন আহমদ।
বিএনপির চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির পক্ষ থেকে মোহাম্মদ শামসুল আলম, জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে মহানগর দক্ষিণের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক সাইদ হাসান মিন্টু, জিয়া নাগরিক ফোরাম সভাপতি মিয়া মোঃ আনোয়ার, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, বিএনপি নেতা শাহজান মিয়া স¤্রাট, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নাসরিন রশীদ পুতুল, খালেদা বেগম, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এম এ হালিম, জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার, দেশনেত্রী ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, অপরাজেয় বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল সিরাজী, তৃণমূল ফোরামের সভাপতি মনিরুল ইসলাম শিকদার, হংক বিএনপির সভাপতি এ এফ এম তারেক মুন্সি, মহানগর বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান কবির, জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, নজরুল ইসলাম মনা, কামরুল হাসান, সাজ্জাদুল কবিরসহ অসংখ্য সংগঠন ও ব্যক্তির ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত হন এ বরেণ্য শিক্ষাবিদ।
এ সময় সংবর্ধনার জবাবে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে ড. এমাজ উদ্দিন বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধ, আর এ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে বার বার এ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাধাগ্রস্ত করেছে কিছু ব্যক্তি। তারা আইনের শাসনের পরিবর্তে ব্যক্তি শাসনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য আজও অর্জিত হয়নি। তাই ব্যক্তি শাসনের পরিবর্তে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে না। তিনি বলেন, বর্তমানেও দেশ এক অস্বস্তিকর গণতন্ত্রহীন সমাজে পরিণত হয়েছে, এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই, আর এ জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।