Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ডেঙ্গুর দায় কার?

চলতি বছরে আক্রান্ত ৪২ হাজার ১৯৯ জন, মৃত্যু ১৬৭ এডিস মশা নিধনে রাজধানীর নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি :: সিটি করপোরেশনকে মশার লার্ভার বিস্তার রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে :: ছাদকৃষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

‘রাতে মশা দিনে মাছি, দুই তাড়িয়ে কলকাতায় আছি’ এই ছড়া লিখেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ১৮৩১ সালে। তৎকালীন সময়ে মশা-মাছির অত্যাচারে অতিষ্ঠ কলকাতাবাসীর দুঃখকষ্টের চিত্র ফুটে ওঠে কবির এছড়ায়। মশা-মাছি নিয়ে ওই ছড়া লেখার ১৯১ বছর পর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থা ‘রাতে মশা দিনে মাছি যানজটের শহর ঢাকায় আছি’। রাজধানী ঢাকা এখন ময়লা-আবর্জনা, দুর্গন্ধ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, যানজট আর এডিস মশার শহরে পরিণত হয়েছে। এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৭৮৮ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় মারা গেছে ৫ জন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের হাসপাতালে জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। অথচ এই মশা বিস্তারের দায় দায়িত্বশীল মন্ত্রী-মেয়ররা নিতে চাচ্ছেন না। দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রী বলেছেন, ‘এডিস মশা বাংলাদেশের নয়; বিদেশ থেকে বিমানে করে ঢাকায় এসেছে’। একজন মন্ত্রী বলেছেন, ‘এসিড মশা নিধনের দায় আমার মন্ত্রণালয়ের নয়; আমাদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেবল চিকিৎসা দেয়ার’। নাগরিক সেবা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু নাগরিক সেবা দূরের কথা বরং দুই সিটির মেয়রও এডিস মশার দায় নিতে চাচ্ছেন না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় এডিস মশা বেড়েছে। আমরাতো প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাদ বা বাসার আঙিনা পরিষ্কার করতে পারব না। আমরা সচেতন করতে পারব। গত ৭ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দাবি করেন, নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমে দুই মাসব্যাপী ডেঙ্গুর উৎসগুলো ধ্বংসের কার্যক্রম চালিয়ে এডিস মশার উপদ্রব থেকে ঢাকাবাসীকে রক্ষা করা হয়েছে। মেয়র মশার উপদ্রব কমে যাওয়ার দাবি করলেও প্রতিদিন এ মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। মন্ত্রী ও মেয়রদের এমন বক্তব্যে পরিষ্কার, তারা কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এবং আক্রান্তদের মধ্যে মৃতের দায় নিতে নারাজ। তাহলে এডিস মশাবাহিত রোগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃতের দায় কার? অবশ্য ভুক্তভোগীরা বলছেন, মন্ত্রী-মেয়রদ্বয় এডিস মশা নিয়ে যেসব কথাবার্তা বলছেন তা কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মুখের ভাষা হতে পারে না। অবশ্য তাদের নির্বাচিত হওয়ার সময় জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি।

এডিস মশা নিয়ে গবেষণা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, এডিস মশা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। সাধারণত অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু রোগীর আক্রান্তের হার কমতে থাকে, এবার ব্যতিক্রম। অক্টোবর মাসেই সর্বাধিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু। কারণ এবার অক্টোবর মাসে থেমে থেমে বৃষ্টি এডিস মশার বিস্তার হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনেরও কিছুটা গাফিলতি রয়েছে। মে মাস থেকে এডিস মশার প্রকোপ শুরু এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এডিসের ঘনত্ব আছে এবং উপযোগী পরিবেশ আছে, সে কারণে জ্যামিতিক হারে মশা বেড়েছে। অক্টোবরের পর থেকে ডেঙ্গু হয়তো কিছুটা কমতে থাকবে। কেন’না বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতা কিছুটা কমে এসেছে।

রাজধানীর এডিস মশার লার্ভা নিয়ে যত গবেষণা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম হয়; মশা নিধনে তত উদ্যোগ দেখা যায় না। কীটতত্ত্ববিদরা বর্ষার আগেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং এডিস মশা যাতে লার্ভা জন্ম দিতে না পারে তা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু বছরের শুরুর দিকে ও গত বর্ষায় মশক নিধন কার্যক্রমে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো ছিল না। দুই সিটি করপোরেশনের এ গাফিলতির খেসারত বর্তমানে দিচ্ছে নগরবাসী। বাসা-বাড়িতে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার জন্ম হলেও মশকনিধনে সিটি করপোরেশন থেকে সচেতনতামূলক যে কর্মসূচি প্রতিবছর নেয়া হয়, এবার তেমন কার্যক্রম ছিল না। আবার ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকরাও মশার ব্যাপারে সচেতন নন। হালে ঢাকার বাসা-বাড়িতে ‘ছাদকৃষি’ প্রথা চালু হয়েছে। বাড়ির ছাদে নানা ফুল-ফলের বাগান করা হচ্ছে। অথচ ওই সব বাগানের টবে পানি জমে এডিসের লার্ভার প্রজনন ক্ষেত্র গড়ে তোলা হয়েছে। মশার জরিপ করতে গিয়ে এ চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার জন্য শুধু সিটি কর্পোরেশনকে দায়ী করা উচিত নয়। নাগরিক হিসেবে ঢাকার বাসা-বাড়ি ও স্থাপনার মালিকরা নিজেরাও এডিসের লার্ভার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করছেন। প্রত্যেকে সচেতন হয়ে নিজেদের বাসা-বাড়ি পরিষ্কার এবং ছাদকৃষির ছাদের টব পরিষ্কার রাখলে মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারবে না। ডেঙ্গুর প্রকোপ এমনিতেই কমে যাবে।

জানা গেছে আইসিডিডিআরবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা বছরে ৩বার মশা জরিপ করে থাকে। প্রতি বর্ষা ও বর্ষাপরবর্তী জরিপ করা হয়। কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরে বর্ষাকালীন মশা জরিপের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা বা শুক্রকীট পাওয়া গেছে। এমন লার্ভা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পাওয়া গেছে প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার বর্ষাকালীন মশা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১১ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে এই জরিপ হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দুই সিটি মিলিয়ে রাজধানীর ১২ শতাংশের বেশি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা আছে।

জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে পড়ে থাকা বা ফেলে রাখা ভেজা পাত্রে বা ওয়েট কনটেইনারে। যেমন পানি জমে থাকা ঘর বা ভবনের মেঝে, প্লাস্টিকের ড্রাম বা প্লাস্টিকের নানা ধরনের পাত্রে লার্ভা পাওয়া গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ শতাংশ এ ধরনের পাত্রে এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২২ শতাংশ পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

জরিপে দুই সিটি করপোরেশনের ৩ হাজার ১৪৯টি বাড়ি পরিদর্শন করেন জরিপকারীরা। পরিদর্শনের সময় তারা মশা বা মশার লার্ভা থাকতে পারে, এমন সব জায়গা ও পাত্র পরীক্ষা করে দেখেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপকারীরা নির্মাণাধীন ভবন, বাড়ি, বহুতল বিশিষ্ট ভবন, আধাপাকা বাড়ি, বস্তি এলাকা এবং ফেলে রাখা প্লটে মশার উপস্থিতি জানার চেষ্টা করেন। যেসব জায়গায় বা পাত্রে তারা মশার লার্ভা দেখেছেন, তার মধ্যে আছে পানি জমে থাকা মেঝে, প্লাস্টিকের ড্রাম, প্লাস্টিকের নানা ধরনের পাত্র, প্লাস্টিকের বোতল, ব্যবহৃত টায়ার, ফুলের টব, পানির মিটারের গর্ত, সিমেন্টের পানির ট্যাংক, মাটির পাত্র, পলিথিন, অব্যহৃত কর্কশিট, ব্যাটারির খোসা, সিরামিকের পাত্র, ফ্লাগস্ট্যান্ডের গর্ত, যানবাহনের অংশ, নারকেলের খোলা, টিনের কৌটা প্রভৃতি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬২টি ওয়ার্ডে তারা মোট ১ হাজার ৮৩০টি বাড়ি পরীক্ষা করেছেন। এসব বাড়িতে তারা মোট ১ হাজার ৩৩৭টি ভেজা পাত্র দেখেছিলেন। তারা প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে মশার লার্ভা পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রায় ২২ শতাংশ ভেজাপাত্রে মশার লার্ভা ছিল। মশা ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ড (কমলাপুর ও মতিঝিল), ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড ( নবাবপুর ও বংশাল) এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে (ওয়ারী ও নারিন্দা)। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশনে ৪১টি ওয়ার্ডের মোট ১ হাজার ৩১৯টি বাড়ি পরীক্ষা করেছেন। এসব বাড়িতে তারা মোট ৮৬১টি ভেজা পাত্র দেখেছিলেন। তারা প্রায় ১৩ শতাংশ বাড়িতে মশার লার্ভা পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রায় ৩০ শতাংশ ভেজা পাত্রে মশার লার্ভা ছিল। মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড (সেনপাড়া পর্বতা, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া), ২১ নম্বর ওয়ার্ড (মহাখালী), ২৪ নম্বর ওয়ার্ড (বেগুনবাড়ি ও তেজগাঁও শিল্প এলাকা) ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে (আগারগাঁও)।

গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে জানানো হয় এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ৭৮৮ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৭৮৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪১৪ জন। নতুন ৭৮৮ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭৩৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪২ হাজার ১৯৯ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯৫ জন। আর ১ জানুয়ারি থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, এবার ডেঙ্গুর বিস্তারের সময় পরিবর্তন হয়েছে। অন্যান্য বছর যেখানে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুর আক্রান্তের হার নিচের দিকে থাকে, সেখানে এবার অক্টোবর মাসেই সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে। শুধু অক্টোবর মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজার ৩৯ জন, মারা গেছে ৭৯ জন। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

স্বাস্থ্য অধিফতরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ২ হাজার ৪০৬ জন, মারা যায় ৬ জন। পরের বছর রেকর্ড লক্ষাধিক মানুষের ডেঙ্গু হয়। তারপরও সে বছর অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হয়েছিল মাত্র ৮ হাজার ১৪৩ জন। ২০২০ সালের অক্টোবরে ১৬৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল, মারা যায় ৩ জন। ২০২১ সালে ৫৪৫৮ জন অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হয়েছিল ও ২২ জন মারা যায়।

‘দশটায় দশ মিনিট প্রতি শনিবার নিজ নিজ বাসা-বাড়ি করি পরিষ্কার’ শিরোনামে গতকাল রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রমে অংশ নেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন,জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি পরিচালনা করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছি। বারবার সাবধান করা হলেও অনেকে সচেতন হচ্ছে না। আগেও কয়েকবার এই নির্মাণাধীন ভবনে সাবধান করা হয়েছে। সাবধান করে দেয়ার পরও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। তারপরও দেখছি বেসমেন্টে অসংখ্য লার্ভা। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। বাসা-বাড়িতে লার্ভা পেলে কোনো ছাড় নয়। অভিযান চলমান থাকবে। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

Show all comments
  • Khalil Ar Rahman ৬ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
    ঔষধ না এনে টাকা লুটপাট করেছে। বা যতোটা প্রযোজন ছিলো তা সেই পরিমাণে আসেনি। ১০০/% ফ্লপ দুই মেয়র অযোগ্য এরাই দায়ী এতো লোকজন মরার জন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Omar Faruk ৬ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৪ এএম says : 0
    কোটি কোটি টাকা বাজেট ঠিকই হবে কিন্তু মশা কমবে না
    Total Reply(0) Reply
  • Rimi Karim ৬ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
    সিটি কর্পোরেশনের মশার স্প্রে দেয়ার স্টাইল দেখে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিনা একজন প্রত্যক্ষ দর্শী হিসেবে একটা বড় হাউজিং এ শুধু একটা মেইন রোড এ স্প্রে দিয়ে চলে গেলো বাকি কতো গুলো রোড অলি গলি কোথাও দিলোনা তাহলে মশা নিধন হবে কিভাবে ?এই যদি হয় মশা নিধনের প্রকল্প তাহলে কোনো দিন ও মশার প্রকোপ থেকে এড়ানো যাবেনা
    Total Reply(0) Reply
  • Mobin Ahmed ৬ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
    মশা মারার ভেজাল ঔষধের জন্য দুদক কতৃপক্ষ কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না কেন ?
    Total Reply(0) Reply
  • Rabbul Islam Khan ৬ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
    যারা এর দায়িত্বে আছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দয়া করে সিটিকর্পোরেশনের টিমের সাথে সার্বক্ষনিক একটা তদারকি টিম রাখার পরামর্শ রাখছি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে
    Total Reply(0) Reply
  • Shobuz Hasan ৬ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৬ এএম says : 0
    দায় দেখার সময় নেই ওটা প‌রে দে‌খেন আ‌গে মশা মা‌রেন। এখ‌নো কেন ঔষুধ আস‌ছে না মশা মারার ? ডি‌জিটাল এই দে‌শে ঔষুধ আন‌তে এ‌তো সময় কেন ?
    Total Reply(0) Reply
  • Shamima Akter ৬ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৬ এএম says : 0
    কিছু দিন পড়ে বলবে বি এন পি আর৷ জামাত মশা গুলো চরিয়ে দিয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • Shajahan Ibnezibon ৬ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৬ এএম says : 0
    দায় আমাদের সবার আমরা সচেতন নই প্রশাসনের জবাব দিহিতা নাই এখন এমন অবস্থা হইছে কারোরই যেনো কিছু করার নাই মেয়র বলেন যারা দায়িত্ব শীল আছেন সবাই ব্যাসতো ফটোসেশান নিয়ে কেউ আছেন বিদেশে ভ্রমণে ফ্যামিলি নিয়ে বাংলাদেশ টা যেনো একটা মগের মুল্লুক হয়েগেছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডেঙ্গু

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ