Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশ ও জনগণ প্রশ্নে আওয়ামী লীগ অবিচল : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৮:২৩ পিএম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ ও জনগণের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ অবিচল। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। সমস্ত রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে অকুতোভয়ে কাজ করে আসছে। আমরা আপোষ করি না, আপোষ জানি না। দেশের প্রশ্নে, জনগণের প্রশ্নে, রাষ্ট্রের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সবসময় অবিচল।’ মন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) নতুন কমিটির অভিষেক ও গুণীজন সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে’ এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পালানোর ইতিহাস তো বিএনপির। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এই বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশ চলে গেছেন যে, তিনি আর রাজনীতি করবেন না এবং তার সাথে আরো অনেকেই পালিয়ে গেছেন।’ হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ শুধু সরকারে নয়, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ দেশের সবপেশার মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আগের তুলনায় অনেক গভীরে প্রোথিত হয়েছে। সে কারণেই বিএনপির গাত্রদাহ, কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। যে দলের মহাসচিব বলে পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল, তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে, তা সহজেই অনুমেয়। তারা আসলে পাকিস্তানের পক্ষে।’ বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সরকার ও জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করা থেকে বিএনপি যদি বিরত থাকে, তাহলে তাদের সভা-সমাবেশ নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। সরকার এক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করছে এবং সেই কারণেই তারা সমাবেশ করতে পারছে। ‘আর আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে হামলা করা হয়েছিল, ২৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল’ উল্লেখ করেন মন্ত্রী হাছান। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন আওয়ামী লীগ অফিসের দু'পাশে কাঁটাতারের স্থায়ী বেড়া ছিল, তার বাইরে আমাদের যেতে দেওয়া হতো না। তখন শেখ হেলাল এমপিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার জনসভায় হামলা করে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল। সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের জনসভায় হামলা করা হয়েছিল, এস এম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা করে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।’ ‘এভাবে আমরা বিরোধী দলে থাকতে আমাদের শতশত নেতকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির সমাবেশে তো বোমা বা গ্রেনেড দূরে থাক, একটি পটকাও তো ফোটে নি’ দৃষ্টান্ত দেন হাছান।
এর আগে বক্তৃতায় বাচসাসের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে তারা তাদের লেখনী ও চিত্রের মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ। বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রায় ২০০ সিনেমা হল আবার চালু হয়েছে শুনে তিনি অত্যন্ত উৎসাহিত হয়েছেন ও আমাকে বলেছেন সবাইকে আরও সিনেমা হল নির্মাণের জন্য বলতে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ ও পুরনো হল সংস্কারের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিল গঠিত হয়েছে। কেউ যদি মার্কেটে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চায়, তাহলে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে। ব্যাংকগুলোকেও আমরা ঋণ দিতে উদ্বুদ্ধ করবো। আমাদের সিনেমা শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, খুব সহসাই বিশ্ব অংগনে আরো ভালো জায়গা করে নেবে, আশাপ্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ