বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
মুহাম্মদ আবদুল কাহহার :লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি অথবা এলপি গ্যাস) জ্বালানি হিসেবে রন্ধন কার্যে, তাপ উৎপাদন ও গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর গাড়িতে যখন এলপিজি ব্যবহার করা হয় তখন “অটো গ্যাস” নামে অভিহিত হয়। এই গ্যাস ১৯১০ সালে আবিষ্কৃত হলেও ১৯১২ সালে বাণিজ্যিক রূপে উৎপাদন শুরু করা হয়। এটি জ্বলে শেষ হলে কোনো অবশেষ থাকে না এবং সালফার বা গন্ধক নির্গত হয় না। এজন্য মোট জ্বালানি শক্তির তিন শতাংশই বর্তমানে এলপিজি। রাজধানীর আশেপাশের ‘শিল্প-কারখানায় এলপি গ্যাসের তীব্র সংকট’ দেখা দিয়েছে। চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ বাসাবাড়ির রান্না নিয়মিত ব্যবহত হচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীর কোনো কোনো এলাকার মানুষকে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্যাস থাকা না থাকা বিষয়টি এলাকাভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। কোথাও রাত ৯টা আবার কোথাও রাত ১১টার পর গ্যাস পাওয়া যায়। মধ্যরাতে রান্না করতে হয়। হোটেল থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হয়। যারা সচ্ছল তারা হয়তো সময়মতো খাবার খেতে পারেন। আর অন্যরা না খেয়েই হয়তো কর্মস্থলে ছুটে যান আগামীর প্রত্যাশায়। শীত আসতে না আসতেই যদি এই দুরবস্থা হয় তাহলে পরবর্তী দিনগুলো যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। গত বছরের এমন দিনেও যে এই দুরবস্থা ছিল তা থেকে এবছরও মুক্তি মেলেনি। গ্যাসের নি¤œচাপের কারণে বাসাবাড়িতে রান্না হচ্ছে না, সিএনজি স্টেশনে গ্যাস না পেয়ে গাড়ির দীর্ঘ লাইন মূল সড়কে সড়কে জটলা সৃষ্টি এবং শিল্প কারখানায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ গ্যাসের অভাবে রান্না করতে পারে না। কখনো খেয়ে কখনো না খেয়ে কর্মস্থলে যেতে হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা খাবারে কষ্ট পাচ্ছে। উচ্চবিত্তদের তেমন সমস্যা না হলেও সবচেয়ে কঠিন ও সমস্যায় পড়েছে রাজধানী ও তার আশপাশের খেটে খাওয়া মানুষদের পরিবার। লাকড়ির চুলায় রান্না করার মতো সম্বল যাদের নেই তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।
সন্তানদের বিদ্যালয়ে যেতে বিলম্ব, নারী কর্মী তার অফিসে যথাসময়ে পৌঁছতে পারছে না, কর্তাব্যক্তি কর্মস্থলে যথাসময়ে পৌঁছতে পারছে না, শ্রমিক তার কাজে যেতে বিলম্ব করছেন, পেশাজীবীরা তাদের কর্মে যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। এভাবে করে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই যেন এক অনিয়ম করতে বাধ্য হচ্ছেন। জীবন বাঁচানোর তাগিদে শুকনা খাবার খেয়ে সময় পার করতে হয়। রান্নার সমস্যা মানে খাবারের সমস্যা। তারপর পারিবারিক সমস্যা। এই সমস্যার কথাগুলো ভাবতেই একটি সংবাদ শিরোনোম দেখে চোখ আটকে গেল। শিরোনামটি ছিল, ‘গ্যাস সংকটে পাকিস্তানে সংসার ভাঙ্গার হিড়িক!’ শিরোনামে গত ১ ডিসেম্বর এনটিভি ডটকম তার নিউজে তুলে ধরছেন, ‘পাকিস্তানের মুসলিম লীগের আইনজীবী তাহিরা আওরঙ্গজেব দাবি করেন, গ্যাস সংকটের কারণে সময়মতো খাবার বানাতে পারছেন না স্ত্রীরা। এতে তাঁদের স্বামীরা বেশ বিরক্ত হচ্ছেন। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে দেশটিতে।’ এমন অবস্থা বাংলাদেশেও হয় কি না তা বলা যায় না। কারণ এখানের অনেক মানুষ বিদেশিদের নেতিবাচক দিকগুলো বেশি অনুসরণ করে থাকেন। ভারতে চলন্ত গাড়িতে নারী ধর্ষণের ঘটনার পরে বাংলাদেশে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। তেমনিভাবে গ্যাস সংকটের কারণে পাকিস্তানে সংসার ভাঙ্গার হিড়িক বাংলাদেশ এসে পৌঁছাবে কিনা তা বলা যায় না।
গত ১৩ আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে সরকারের একজন মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছিলেন, মূল্যবান গ্যাস দিয়ে ভাত-ডাল রান্না একবারেই অপচয়। রান্নায় গ্যাসের ব্যবহার চলবে না। গ্যাস এত মূল্যবান সম্পদ যে, এটা দিয়ে ভাত-তরকারি রান্নার কোনো মানে হয় না। সেই মন্ত্রীর বাসায় কোন উপায়ে রান্না করা হয় সেই উপায়টা যদি জনগণকে জানাতেন তাহলে জনগণ কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারতো। দেশ পরিচালনায় যারা অংশীদার তারা যদি রান্নায় গ্যাসের ব্যবহার বাদ দিতেন তাহলে জনগণ গ্যাস ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হতো। রান্না করাকে তিনি গ্যাসের অপচয় দেখলেও অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি হলেও তিনি অপচয় খুঁজে পান না। অপরদিকে মানুষেরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশের জন্য ঝাড়ু মিছিল করছেন, গৃহিণীরা রান্নার চুলার ওপর পাতিল উপুড় করে রেখে প্রতিবাদ করছেন, কেউ আবার গ্যাসের চুলার পাইপের মুখে পেট মোটা একজন মানুষের ছবি দিয়ে ক্যাপশন দিয়েছে ‘গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবসা, যে কেউ গ্যাস সংযোগ নিতে পারেন, আমি এমপি-মন্ত্রীর ধার ধরি না’। এভাবে যে যার মতো করে প্রতিবাদ করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। দেশের বেশিরভাগ শিল্প-কারখানাই গ্যাসভিত্তিক। মালিকদের দাবি, গ্যাস সংকটের কারণে চলমান শিল্পোৎপাদন ইতোমধ্যে তিনভাগের এক ভাগ কমে গেছে। সরকারিভাবে বাসাবাড়িতে বৈধ সংযোগ দেয়া বন্ধ রাখলেও সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে ‘থেমে নেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ’। ২০ হাজার থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিলেই অসম্ভবকে সম্ভব করে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। (আরটিভি অনলাইন: ২ অক্টোবর, ২০১৬)। অথচ বৈধ সংযোগের আশায় সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিয়েও বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও গ্যাস সংযোগ পাচ্ছে না অনেকে। ২০১৫ সালের ৭ জুলাই জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভায় জাতীয় সম্পদ গ্যাস রক্ষা ও অপচয় রোধে অবৈধ লাইন উচ্ছেদ এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় কমিটি গঠন করা হয়। এরপরেও কীভাবে অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়? তা যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। ‘আবাসিকে আর নয় গ্যাস সংযোগ’ এমন ঘোষণার পরেও টাকা দিল গ্যাসের সংযোগ ঠিকই মিলছে এমন সংবাদ পত্রিকার পাতায় পাতায়। এলপি গ্যাস আমাদের দেশে উৎপাদিত না হওয়ায় আমাদের আমদানি খরচ বেড়ে গেলেও পাইপ লাইনের গ্যাস ব্যবহারে দেশের সর্বত্র মিটারের ব্যবস্থা এখনো করা হয়নি। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে বরং বৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ রাখা যুক্তিসঙ্গত নয়। তাছাড়া রাঘববোয়ালরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধ লাইন নিলেও তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হয় না। বাাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ অনুযায়ী অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ গ্রহণ এবং গ্যাস ব্যবহার দ-নীয় অপরাধ। অবৈধ গ্যাস যারা ব্যবহার করছেন জাতীয় স্বার্থে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
‘গ্যাস সংকট নিরসনে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার বা কূপ খননের বিষয়ে বড় কোনো উদ্যোগ নেই। যদিও ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি তহবিল নিয়ে অলস বসে আছে প্রতিষ্ঠানটি।” (ইনকিলাব: ১১ আগস্ট, ২০১৬)। গত ৪ ডিসেম্বর দৈনেক যুগান্তরকে এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী সভাপতি ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, “সিলেটে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলও শিল্পে গ্যাস সংযোগ দ্রুত কার্যকর করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে”। জ্বালানি বিভাগের মতে, অকটেন উন্নত বিধায় অনেক খরচ। তাই গাড়ি মালিকরা ঝুঁকছেন এলপি গ্যাসের দিকে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, চীন, তুরস্ক এবং পাকিস্তানেও গাড়ি চলছে এলপি গ্যাসে। কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চ মূল্যে সিলিন্ডার এলপি গ্যাস বিক্রি হওয়ায় তা সাধারণের জন্য ক্রয় করা কষ্টসাধ্য। এলপি গ্যাসের এই দাম আরো সহনীয় পর্যায় কীভাবে পৌঁছানো যায় সেই লক্ষ্যে আরো কাজ করতে হবে। দেশে বিদ্যমান গ্যাস সংকট মোকাবেলায় এলপি গ্যাস নির্ভরতা বাড়াতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও দাম নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে। গ্যাসের বোঝা নি¤œ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের কাঁধ থেকে নামাতে হাবে। বিদ্যমান গ্যাস সংকটের কারণে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ দামেও এই গ্যাস কিনতে হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের গ্যাস ২০১৮ বা ২০২৬ সালে নিঃশেষ হয়ে যাবে। এ বক্তব্য কতটা বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে তা নিয় প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও তাদের এই প্রতিবেদনের কথা যদি প্রতিফলিত হয় তাহলে এদেশের মানুষের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের গৃহস্থালি জ্বালানি চাহিদার ৭০ শতাংশ এলপি গ্যাস দিয়ে মেটানোর পরিকল্পনার কথা সরকার ঘোষণা করলেও তা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এলপি গ্যাসের দাম কমানো না হলে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রাপ্তির সুযোগ দিন দিন সংকুচিত হওয়ায় এলপি গ্যাস ব্যবহারের বিকল্প নেই। এলপি গ্যাসের দাম কমিয়ে আনতে হবে। একই সাথে বাসাবাড়িতে যারা গ্যাস পায়নি তাদের সুযোগ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
দেশের সিএনজি চালিত গাড়ির ৮৬ ভাগ সিলিন্ডার রিটেস্টিং বা পুনরায় পরীক্ষা করা হয়নি। জ্বালানি বিভাগের এক প্রতিবেদনের বরাতে গত ৫ ডিসেম্বার একটি জাতীয় দৈনিকের তথ্য মতে, সারাদেশে চার লাখ গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে মাত্র ৫৩ হাজার ৮০০ সিলিন্ডারের রিটেস্টিং করা হয়েছে। যা মোট সিলিন্ডারের মাত্র ১৪ ভাগ। নিয়মানুযায়ী একটি সিএনজি সিলিন্ডারের মেয়াদ ৫ বছর। মেয়াদ শেষে পুনঃপরীক্ষার পর যদি প্রমাণ হয় সিএনজি সিলিন্ডারটি গাড়ির জন্য উপযুক্ত তাহলে আরও তিন বছর ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই পুরাতন সিলিন্ডার ব্যবহারের হিড়িক চলছে। বিশেষ করে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষায় সিএনজি সিলিন্ডারের রিটেস্টিং করার বিধান যুক্ত করার পরও উদ্যোগ নিচ্ছেন না গাড়ির মালিকরা। প্রতিটি গাড়ির সিএনজি সিলিন্ডার রিটেস্টিংয়ের জন্য ১-৩ দিন সময় লাগে, তাই গাড়ির মালিকরা এই সময় ব্যয় করতে চান না। অথচ, গত তিন বছরে ১৫০টির বেশি সিএনজি চালিত যানবাহনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র : জনকন্ঠ, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
সর্বোপরি, শীতের সময়ে গ্যাস তামাশা করে আর গরমের সময়ে বিদ্যুৎ তামাশা করে এভাবেই বিড়ম্বনা নিয়ে বসবাস করতে হয় আমাদের। শীতের শুরুতে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় জনগণ যে ভোগান্তি পোহাচ্ছে তা লাঘব করতে চেষ্টা করতে হবে। এলপি গ্যাস সহজলভ্য করা ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের জন্য এক পরীক্ষা। কিন্তু সরকার সেই পরীক্ষায় কতটা সফলতা দেখাতে পারবে তা দেখার বিষয়। গ্যাসের মতো জাতীয় সম্পদকে যাতে করে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করা যায়, সুষম বণ্টন করা হয়, সরকারের রাজস্ব যাতে বাড়ে, জনসাধারণ যাতে নির্বিঘেœ সকল ধরনের সেবা পেয়ে স্বস্তিতে জীবনযাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকারের কাজ করতে হবে। এভাবেই মানুষ হবে উপকৃত, দেশ হবে সমৃদ্ধ। ইনশাআল্লাহ।
য় লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।