পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। সুস্থ হওয়ার তুলনায় আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রতি মুহূর্তেই চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। যা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। তবে সাধ্যমতো রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। রাজধানীর একাধিক হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ঘণ্টায় নতুন রোগী আসছেন ৪ থেকে ৫ জন। ওয়ার্ডে সিট না থাকায় মেঝেতে রেখেই সেবা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালগুলোতে নির্ধারিত শয্যার চেয়েও দ্বিগুণ রোগী ভর্তি আছেন। অন্যদিকে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে এই প্রকোপ আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিগত কয়েক দিনের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও উড়ে যায়নি শঙ্কা। গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৭৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মশাবাহিত রোগটিতে মোট তিন হাজার ৪১৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এ সময় নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এতে মৃতের সংখ্যা ১১৮ জনে স্থির আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল একই সময়ের মধ্যে সারাদেশে নতুন করে আরও ৭৫০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৪৯৪ জন ঢাকায় এবং ২৫৬ জন ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট তিন হাজার ৪১৬ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৪টি ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন দুই হাজার ২২৪ জন। এছাড়া এক হাজার ১৯২ জন ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩২ হাজার ৭১৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৬৬ জন। আর এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১১৮ জন।
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়া ও মৃত্যুতে ব্যথিত জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম গত সোমবার বলেন, সরকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ বছর আগের তুলনায় আবহাওয়ার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এডিস মশা মোকাবিলা করতে আমাদের সচেতনতা বাড়ানোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রাখতে হবে। অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মশা মারার ওষুধ প্রয়োগসহ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।