পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মতবিনিময় সভায় মঙ্গলবার থেকে বাজারে চিনির সঙ্কট কেটে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বেসরকারি চিনি সরবরাহকারী মিল মালিক ও চিনি ব্যবসায়ীরা। সরকার নির্ধারিত দাম, অর্থাৎ বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি করা হবে। তবে সেই প্রতিশ্রুতি মুখের কথায়ই সীমাবদ্ধ থাকলো। বাজারে তাদের প্রতিশ্রুতির কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বাজার ঘুরে মিলেছে বিপরীত চিত্র।
তবে বাজারে চিনির সঙ্কট ও ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার মধ্যেই সরকার নির্ধারিত দামে আজ বুধবার থেকে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে দেশের অন্যতম চিনি সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠান সিটি ও দেশবন্ধু গ্রুপ। কোম্পানি দুটির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলা, মিরপুর এলাকার খুচরা দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০-৩০ টাকা বেশিতে। তালতলার কয়েকটি দোকানে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তালতলা এলাকার অনেক দোকানে খোঁজ নিয়ে খোলা চিনি পাওয়া যায়নি। ক্রেতারা বেশি দামে খোলা চিনি কিনতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলার পয়েন্টস থেকে ডিস্ট্রিবিউশন হলে নতুন দামের চিনি পাওয়া যাবে। তখন দামও কমবে। কোম্পানি এখনো নতুন দামে চিনি ছাড় করছে না। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যে হয়তো নতুন দামের চিনি মিলতে পারে বলে জানান তারা। দোকানে খোলা চিনি না রাখা প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেন, খোলা চিনির দাম বেশি, ক্রেতারা বকাবকি করেন। প্যাকেট চিনিতে দাম লেখা থাকে, তাই ক্রেতাদের কিছু বলার থাকে না।
মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা প্যাকেট ও খোলা দুই ধরনের চিনিই ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কোম্পানিকে আজও ফোন দিয়েছি, তারা বলতে পারছে না কবে নতুন দামের চিনি আসবে। আমাদের কেনা দাম ১১০ টাকারও বেশি। বাজারে চিনির সরবরাহও কম।
অথচ গতকাল সোমবার এক সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে অপরিশোধিত চিনির কোনো ঘাটতি নেই। তবে গ্যাস সঙ্কটের কারণে চাহিদা মতো চিনি পরিশোধন করতে পারছে না মিলগুলো। ফলে বাজারে সরবরাহ সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। সোমবার রাত থেকেই পরিশোধনকারী মিলগুলো মিলগেটে চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক করবে।
এদিকে গত সোমবার থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও উন্মুক্ত স্থানে জনসাধারণের কাছে ভর্তুকি মূল্যে চিনি বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সংস্থাটির ট্রাক সেলে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে চিনি কিনতে পারছেন সাধারণ মানুষ। এজন্য টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডেরও প্রয়োজন হচ্ছে না। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দেখা গেছে, এক কেজি চিনি কিনতে ভোক্তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভর্তুকি দামে টিসিবির এই চিনি বিক্রি চলবে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।