Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আজ সারা দেশে ৫৭টি জেলা পরিষদে নির্বাচন

গাইবান্ধা নির্বাচন বন্ধ করে কোনো চাপ অনুভব করছি না : সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দেশের ৫৭ জেলা পরিষদে নির্বাচন আজ। সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে চলবে বিকেল ২টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্দলীয় এ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভি থাকবে। ইসি কার্যালয়ের মনিটরিং সেল থেকে প্রতিটি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ নির্বাচন নিয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন বন্ধ করে আমরা কোন চাপ অনুভব করছি না। জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনিটরিং সেল পর্যবেক্ষণের পর গতকাল নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেল থেকেই সিসি ক্যামেরায় মাঠের ভোট পর্যবেক্ষণ করে ইসি। গত ১২ অক্টোবরও এখান থেকে ভোট পর্যবেক্ষণে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রথমে ৫১ কেন্দ্র, পরে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় ইসিকে।

এ নিয়ে কোনো চাপ আছে কি-না, জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি। সিইসি বলেন, সিসি টিভির প্রচলনটা সাম্প্রতিক। আমরা এটার মাধ্যমে এখান থেকে নির্বাচন মনিটরিং করতে পারি। এটা একটা ভালো দিক। আমাদের তো কোনো পক্ষ নেই। আমরা চাই ভোটাররা যেন তাদের ভোটটা দিতে পারেন। সেলক্ষ্যেই আমরা সিসি টিভির ব্যবহার করছি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিভাবে এতগুলো কেন্দ্র সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, তখন ৪০ বা ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রের ৪ লাখ ভোটকেন্দ্র থাকবে। আমাদের কারিগরি টিম জানিয়েছে সেখানে সিসি টিভি ব্যবহার করা যাবে। তবে তখন কেবল আমরা পাঁচ নির্বাচন কমিশনার নই, আরও লোকবল মনিটরিংয়ের জন্য নিয়োগ করা হবে। ইসির কর্মকর্তারা নিয়োজিত থাকবেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, গাইবান্ধার নির্বাচনের মতোই ১৭ই অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনেও প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।

আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এর আগে গত শনিবার দিন গত মধ্যরাতে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে নির্বচন কমিশন (ইসি) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোলা ও ফেনীতে সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। এছাড়া নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৬ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৬৫ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। ইসির তথ্যানুযায়ী, জেলা পরিষদে মোট ৯২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬০৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৪৮৫ জন।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর এসব জেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে জনগণের কাছে সহজে পৌঁছে দেওয়া এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আরও স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে ২০০০ সালে যে আইন প্রণীত হয়, তা বাস্তবায়িত হয় ২০১৬ সালে। ওই বছর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক জেলা পরিষদ আইনের আওতায় প্রথমবারের মতো নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় একজন করে চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ মোট ২১ জনের সমন্বয়ে জেলা পরিষদ কার্যক্রম শুরু করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেলা পরিষদে নির্বাচন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ