Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাসপাতালে ভর্তি ৩১০ রোগী

থেমে রয়েছে এডিস মশা নিধন কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এডিস মশা নির্ধনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা বড় হচ্ছে। সারাদেশে যে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তার বেশির ভাগই ঢাকায় আক্রান্ত। সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৩১০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭১৫ জনে। তবে গতকাল দেশে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে, এই বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ জন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঢাকা দুই সিটির এডিস মশা নিধন কার্যক্রম থেমে গেছে।

গতকাল শুক্রবার সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ১৯৭ জন ঢাকার বাসিন্দা। ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৩ জন। সবমিলিয়ে বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক হাজার ৯১৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ৭৯৯ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৯২ জন। এর মধ্যে ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৬০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির জানান, সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিক, ম্যানপাওয়ার ও স্পেসগুলো তৈরি রাখার কথা বলা হয়েছে। কারণ হাসপাতালগুলোতে ঠিক কি সংখ্যক রোগী আসবে তা তো আগাম বলা যাচ্ছে না। সেজন্য প্রস্তুতিটা আমাদের রাখতে হবে। যাতে কোনো রোগী ফিরে না যায়। যে রোগী আসছে ভালোভাবেই ম্যানেজ করা যাচ্ছে। তবে যদি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে লজিস্টিক সাপোর্টের প্রস্তুতি রাখতে হবে।

অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির বলেন, সরকারি হাসপাতালে যেসব রোগী আছে তা ম্যানেজেবল। আজকে আমরা আবার বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বসবো। যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছে তাদের আমরা এর আগেও ট্রেনিং দিয়েছি, আমরা তাদের একটা গাইডলাইন দেবো। গাইডলাইন মেনেই যাতে তারা রোগী ভর্তি করেন। যাতে অকারণে রোগীকে হয়রানি করা না হয়। ডেঙ্গু চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় ক্রাইসিস হচ্ছে এবার দেখছি হাসপাতালে এসেই খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। যখন রোগী মনে করছে আমি ভালো হয়ে যাচ্ছি। তখনই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সবাই কোনো না কোনোভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় রিকভারির দিকে গিয়ে রোগীর অবস্থা খারাপ হচ্ছে। প্রথম পাঁচদিনে রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রান্ত উপস্থাপনায় বলা হয়, ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৫৯২ জন। যা গত বছর ছিল ২৮ হাজার ৪২৯ জন, ২০২০ সালে ছিল ১৪০৫ জন। তবে সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭৯ জন, ২০২০ মৃত্যু হয় ৭ জনের। ২০২১ সালে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মারা যায় ৮৩ জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডেঙ্গু

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ