পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাবিবুর রহমান : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট কেন্দ্র দখল ঠেকাতে এবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে থাকা অস্ত্র প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার ইসিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় রয়েছে, কিছু লোক ভোট কেন্দ্র দখল করল আমার লোক অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে- এটা গ্রহণযোগ্য না। আর্মসের প্রোপার ইউজ করতে হবে। কেউ যেন জোরপূর্বক কেন্দ্রে ঢুকতে না পারে, কেন্দ্র দখল করতে না পারেÑ সে ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচন সরাসরি ভোটে না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনটিই ছিল বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই দুটিই হতে যাচ্ছে শেষ নির্বাচন। গত ৫ বছরে দায়িত্ব পালনের মধ্যে বিভিন্ন নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও সহিংসতা নিয়ে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে বর্তমান ইসিকে। এবার নারায়ণগঞ্জে ভোটে সে ধরনের কোনো ধরনের শঙ্কা দেখা যাচ্ছে না বলে বৈঠকে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়। সিইসিও বলেন, নারায়ণগঞ্জে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে ভালো রয়েছে।
কমিশনের কার্যপত্রে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ছক চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিয়েই এই নির্বাচন হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইসির পক্ষ থেকে নাসিকে এবার সেনাবাহিনীর থাকছে তাছাড়া প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন নিরাপত্তা কর্মী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১২ জন অস্ত্রধারী ও সাধারণ কেন্দ্রে ১০ জন অস্ত্রধারী থাকবেন।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এটা দেখাতে হবে। স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করতে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ। র্যাব মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। এ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রাখতে হবে। এনএসআই মহাপরিচালক বলেন, ভোটে কোনো ধরনের গোলযোগের আশঙ্কার তথ্য নেই। এসবি জানায়, এ নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির তথ্য তাদের কাছেও নেই। তবে নির্বাচনে সাধারণত যেসব ঝুঁকি আসে, তা মোকাবেলা করা হবে। ডিজিএফআই প্রতিনিধি বৈঠকে জানান, নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত কোনো হুমকি তাদের চোখে পড়েনি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার। বৈঠকে এক কর্মকর্তা বলেন, জেলা পরিষদের ১৯ জেলায় একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। ৩৬ জেলায় ৭৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে আওয়ামী লীগের। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা রয়েছে। জেলা পরিষদের ভোটারদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সবার চোখ-কান খোলা রাখতে বলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক, আনসার মহাপরিচালক, র্যাব মহাপরিচালক, কোস্টগার্ড মহাপরিচালক, এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি কাজী রকিব বলেন, সেটার (কেন্দ্র দখল ঠেকাতে) জন্যে উপস্থিত কর্মকর্তাদের ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন দেয়া হয়েছে, আগের রাতে কোনো রকমের জোরাজুরি সহ্য করা হবে না। তার জন্যে কেন্দ্রে পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হবে। সতর্ক অবস্থায় থাকবে অন্য প্রেট্রোলরা তারা যেন ইমিডিয়েটলি রেসপন্স করতে পারে। দুষ্কৃতকারীরা সংখ্যায় যতই হোক, তারা যেন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে এবং যেন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্র দখল নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অনিয়ম রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সন্ত্রাসী, মস্তান, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও দৃশ্যমান হতে হবে। প্রার্থীদের এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ পাই। কোনোভাবে এজেন্টদের যেন বের করে দেয়া না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।