পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীসহ সারাদেশে গতকাল পালিত হয়েছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত ৬৮তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘এসো সবাই ঐক্য গড়ি, সবার অধিকার রক্ষা করি’।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) রাজধানী ঢাকা এবং সারাদেশে ও দেশের বাইরের শাখাগুলো দিবসটি একযোগে পালন করেছে। এ উপলক্ষে এ সংস্থাটি দেশব্যাপী আরো ব্যাপক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশে নানাভাবে আজ মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। অত্যাচার-নির্যাতনে নিজ ভূমি ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের প্রতি চরম অবিচার চলছে। বিপন্ন হচ্ছে মানবিকতা। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার হরণে যে তা-ব চলছে, তা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ জরুরি।
অন্য দেশের মতো গতকাল বাংলাদেশে সভা, সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারিভাবে দিবসটি পালন করা হয় ।
দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন র্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করে। এতে কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকসহ অন্যরা অংশ নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্বের সকল মানুষের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের দ্বার্থহীন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সংবিধান ও নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী তার সরকার প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে গত সাড়ে সাত বছর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ-ব্যাধি ও নিরক্ষরতা দূরীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব সমস্যার কারণেই মানবাধিকার ও মর্যাদা লঙ্ঘিত হয় এবং কতিপয় লোক মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পরিপূর্ণ উপভোগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার সরকার নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের সহিংসতা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান এবং এ ধরনের সহিংসতাকারী অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার বিষয় নিশ্চিত করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে তার সরকার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধ ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘অনুরূপ চেতনা নিয়ে আমরা এই মানবাধিকার দিবসে বিশ্বের যেকোনো স্থানের জনগণের শান্তি, ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের যথার্থ সংগ্রামের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’
রাজধানীতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে এবং দোয়েল চত্বর হয়ে র্যালিটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বেলা ১১টায় বিএইচআরসির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকার কর্তৃক নির্যাতনসহ দেশে এবং বহির্বিশ্বের সব নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএইচআরসির পক্ষ থেকে দেশব্যাপী এবং বহির্বিশ্বে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আলোচনা সভা, র্যালি, মানববন্ধন, রক্তদান কর্মসূচি, চিত্রাঙ্কন এবং নাট্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৪৮ সালে ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সেই থেকে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত দেশগুলো বিশ্ব মানবাধিকার দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।