পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হাসানুজ্জামান এবং মমতাজ নামে দুই বাংলাদেশীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো সংবাদে বিস্তারিত।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল রোববার ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার কালিয়ানী সীমান্তের খৈতলার বিপরীতে ভারতের দুবলী এলাকায় বিএসএফের টহলদল হাসানুজ্জামান (২৭) নামে একজনকে গুলি করে ফেলে গেছে। আবু হাসান সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ কুশখালি গ্রামের আদর আলীর শেখের ছেলে।
হাসানের পিতা আদর আলী জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে আবু হাসান বাড়ি থেকে কিছু টাকা নিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ভোর ৫টায় দুবলী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে ফেলে রেখে গেছে -এমন খবর পান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাড়ে ৬টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসক খুলনার ৫০০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে খুলনায় যাবার পথে সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি মারা যান।
বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, নিহত হাসান চোরাকারবারির কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মাদকের মামলা রয়েছে। হাসানের পেটের একপাশে গুলি লেগে অপর পাশ ছিদ্র করে বের হয়ে গেছে। আহত হাসানুজ্জামানকে তার সহযোগীরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে বিএসএফ গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
এদিকে নিহতের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম জানান, সদর হাসপাতালে ভোরে ভর্তির পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। পথে অ্যাম্বুলেন্সেই হাসানুজ্জামান মারা যায়। সদর থানার এস আই সেকেন্দার জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। লাশ পোস্টমর্টেম করার প্রস্তুতি চলছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী ছোটবলদিয়া গ্রামের চোরাকারবারী মমতাজ বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন। নিহত মমতাজ ওই গ্রামের স্কুলপাড়ার মরহুম নজরুলের ছেলে। পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম জানান, শনিবার দিবাগত রাতে ছোটবলদিয়া সীমান্তের ৮২ নম্বর প্রধান খুঁটির কাঁটাতার পার হয়ে কয়েকজন চোরাকারবারী অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। এ সময় ভারতের ৫৪ বিএসএফ বিজয়পুর ক্যাম্প সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে মমতাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গত রোববার সকাল ১০টায় বিএসএফ সদস্যরা তার লাশ ভারতের অভ্যন্তরে কৃষ্ণনগরে নিয়ে যায়।
নিহত চোরাকারবারী মমতাজের ভাই ইন্তাজুল জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ছোটবলদিয়া গ্রামের সীমান্তের ৮২ নম্বর প্রধান খুঁটির কাছ থেকে তার ভাইসহ কয়েকজন ভারতের ভেতর ঢুকে পড়ে। সে সময় ভারতের ৫৪ বিএসএফ বিজয়পুর ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের গুলি গুলিবর্ষণ করে। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার ভাই মারা যান। বিএসএফ সদস্যরা তার লাশ নিয়ে যায় ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।