পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জলবায়ু সমঝোতা আলোচনায় বাংলাদেশ যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, কিন্তু জলবায়ু সমঝোতা আলোচনায় বাংলাদেশের ভূমিকা যথেষ্ট দুর্বল। গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার মাহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক সেন্টারের কনফারেন্স হলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং আরও কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে গণমাধ্যম কর্মীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রিপোর্টিং দক্ষতাবৃদ্ধিকরণ এবং আসন্ন কপ-২৭ এ নানা মাত্রিকভাবে অংশগ্রহণ এবং ভূমিকা রাখার সুযোগগুলো নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশন পরিচালনা করেন এবং আয়োজনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরেন সিপিআরডি’র নির্বাহী প্রধান মো. শামসুদ্দোহা, উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ওয়াটার এ্যাইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাবা হাসিন জাহান, ডিয়াকোনিয়া’র কান্ট্রি ডিরেক্টর খোদেজা সুলতানা লোপা। টেকনিক্যাল সেশনগুলো পরিচালনা করেন ক্লাইমেট ব্রিজ ফান্ডের প্রধান ড. গোলাম রাব্বানি, পল্লি কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন এর ডেপুটি ডিরেক্টর ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহম্মেদ, সিপিআরডি’র প্রকল্প সমন্বয়কারী আকিব জাবেদ এবং রিসার্চ অফিসার শেখ নূর আতায়ে রাব্বি।
মো. শামসুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার করণীয় নির্ধারণে বৈশ্বিক সমঝোতা আলোচনা বরবরই একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে এই সমঝোতা আলোচনায়ও নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যদি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রয়োজনীয়তা ও ক্ষয়ক্ষতিগুলো তুলে ধরতে চাই তাহলে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, কিন্তু জলবায়ু সমঝোতা আলোচনায় বাংলাদেশের ভূমিকা যথেষ্ট দূর্বল। আমাদের জলবায়ু নেগোশিয়েটরের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন, আমরা এত বছরেও একটি দক্ষ নেগোশিয়েটর গ্রুপ দাঁড় করাতে পারিনি। এ বিষয়ে সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগীদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করনে। ব্যারিস্টার শামীম বলেন, সমঝোতা সম্মেলনটি ৯-১০ দিনব্যাপী হলেও আমাদের কপ শেষ হয়ে যায় প্রথম দুই তিন দিন পরেই! প্রধানমন্ত্রী দেশে চলে আসলেই আমাদের সকল তৎপরতায় ভাটা পড়ে যায়।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বালাদেশের সামনে হাজারো রকমের সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছে, এখন আমাদের উচিত এই সমস্যগুলোকে হাজারো কণ্ঠে হাজারভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপন করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।