পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয় থাকলেও র্যাব সংস্কারের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না বাহিনীটির নবনিযুক্ত ডিজি এম খুরশীদ হোসেন। গতকাল শনিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স¤প্রতি ঢাকায় কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানিয়েছেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দেশটির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জবাবদিহিতা ও সংস্কার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব ডিজি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সংস্কারের কোনো প্রশ্নই দেখি না। কারণ আমরা এমন কোনো কাজ করছি না যার জন্য র্যাব সংস্কার করতে হবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ধারিত যে বিধি আছে, সেই বিধি-বিধান অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আইনের বাইরে কোনো কাজ করি না। সেক্ষেত্রে সংস্কারের তো প্রশ্নই ওঠে না। আদৌ তারা সংস্কারের জন্য কোনো লিখিত প্রস্তাব করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না আমাদের কাছে কোনো লিখিত প্রস্তাব দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আপনার দায়িত্ব পালনের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলবে, চাপ কতটুকু থাকবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা সরকারিভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। তারা যেসব বিষয় আমাদের কাছে চেয়েছে, ইতোমধ্যে আমরা সেগুলোর জবাব দিয়েছি। জবাব দেয়ার পরে তারা নতুন করে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ পায়নি। কারণ, আপনি বললেন এতগুলো লোক আমার নেই, উধাও হয়েছে কিন্তু আমাদের তো বলতে হবে সেই লোকগুলো কারা? সেগুলো বলা হয়েছে, আমরা সেগুলোর খোঁজ দিয়েছি, কে, কোথায়, কী অবস্থায় আছে। আমি মনে করি না, এটা বড় কোনো চ্যালেঞ্জ সরকার বা আমাদের জন্য। আমরা দায়িত্ব পালন করে যাব। এটা সত্য, যারা কাজ করে তাদের ত্রæটি-বিচ্যুতি হতেই পারে। দেখতে হবে সেটা আমি ব্যক্তি স্বার্থে করেছি নাকি দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে করেছি। এ বিষয়গুলো আমরা অবশ্যই সরকারিভাবে মোকাবিলা করবো।
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে র্যাব ডিজি বলেন, অতীতে আমরা সবসময় পূজামÐপে স্ট্যান্ডিং আনসার রাখতাম। গত বছর এটা করা হয়নি। করা হয়েছিল আনসারদের মোবাইল পেট্রল। এবার যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়, আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। তখন আমি প্রস্তাব করেছিলাম, প্রত্যেকটা পূজামÐপে শ্রেণিভেদে গুরুত্ব বিবেচনায় ৪ থেকে ৭ জন করে স্ট্যান্ডিং আনসার সদস্য থাকবে। পাশাপাশি থাকবে মোবাইল পেট্রল। র্যাব ফোর্সেস থেকেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মূল সমস্যা সাইবার পেট্রলিংয়ের মাধ্যমে আমরা এগুলো চিহ্নিত করছি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন, এটা এক ধরনের উসকানি। অসা¤প্রদায়িক দেশে তারা সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে দেয়। কিছু দুষ্ট লোক আছে, তারা এগুলো চেষ্টা করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।