Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অন্ধকারে থাকতে আপত্তি তিন ব্যাংকের

উৎসে কর কর্তনের বিষয়ে জানতে এনবিআরকে চিঠি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৭ এএম

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আমানতের সুদের উপর উৎসে কর কর্তনের হার আরোপের ক্ষেত্রে অন্ধকারে থাকতে চায় না জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। রাজস্ব বোর্ডকে লেখা চিঠিতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমানতের সুদের উপর উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি স্পষ্টীকরন চায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। একই ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের হার নির্ধারনের জন্য কোম্পানি ও ব্যাক্তি চিহ্নিতকরন প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে জনতা ব্যাংক চায় আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৫৩ এফ অনুযায়ী আমানতের সুদের উপর উৎসে কর কর্তনের হার আরোপের বিষয়ে ষ্পষ্ট দিক নির্দেশনা।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা নাসরীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ২(২০), ২(৪৬) এবং ৫৩ এফ এর সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং সংযুক্ত পত্রে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠানের তহবিল হিসাবে সুদ প্রদানকালে উৎসে কর কর্তন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক খান তামজিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৫৩ এফ ধারা অনুযায়ী, করদাতা কোম্পানি হলে ২০ শতাংশ, করদাতা ব্যক্তি হলে ১০ শতাংশ কর দিতে হয়। এছাড়া স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড, অনুমোদিত গ্রাচুইটি ফান্ড অথবা পেনশন ফান্ডের ক্ষেত্রে এই হার ৫ শতাংশ। অন্যদিকে করদাতা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অথবা এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষকেরা এমপিও ভুক্ত, এছাড়া প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠান যারা আইনের দ্বারা স্বীকৃত এবং চার্টার্ড অ্যাকউন্টেন্ট দ্বারা পরিচালিত-তাদের ক্ষেত্রে করের হার ১০ শতাংশ। চিঠিতে বলা হয়, আমানতকারী ৭৫ ধারায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক/উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে সব ধরনের আমানতের সুদ/মুনাফার উপর উল্লেখিত ছকে নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত আরও ৫০ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের বিধান করা হয়েছে। উদাহরনস্বরূপ, কোম্পানি পর্যায়ের কোন আমানতকারী ৭৫ ধারায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক/উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে প্রদেয় সুদ/মুনাফার উপর ২০ শতাংশের স্থলে ৩০ শতাংশ উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে। তাই কোম্পানির অধিভুক্ত আমনতকারীদের এবং ব্যক্তি অধিভুক্ত আমানতকারীদের চিহ্নিত করার নিমিত্তে কোম্পানি এবং ব্যক্তির সংগা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাংকটি।
জনতা ব্যাংকের পক্ষ থেকে এনবিআরকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৫৩ এফ ধারা অনুযায়ী, কোম্পানি করদাতার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রবর্তণ করা হয়েছে। কিন্তু জনতা ব্যাংক লিমিটেডে সরকারী/আধাসরকারী/সায়ত্বশাসিত/বোর্ড/কর্তপক্ষ/অধিদফতর সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী আমানতসহ বিভিন্ন ধরনের আমানত রয়েছে যা মেয়াদপূর্তিতে নগদায়নের সময় ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনে আপত্তি উত্থাপন করছে। এছাড়া একই ধারায় ২নং ক্রমিকে কোম্পানি ব্যতিত অন্যান্য করদাতাদের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কোনগুলো তাও স্পষ্ট নয়। এমতাবস্থায় জটিলতা নিরসনে কোন প্রতিষ্ঠানগুলো কোম্পানি এবং কোনগুলো কোম্পানি নয়-সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাংকটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অন্ধকারে থাকতে আপত্তি তিন ব্যাংকের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ