পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবিতে শিশু, নারীসহ ২৫ জন মারা গেছে। নিখোঁজ রয়েছে অর্ধশত। নিহতদের মধ্যে ১২ জন নারী, ৮ জন শিশু ও পুরুষ ৪ জন রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
নৌযাত্রীদের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের কালো মেঘে ছেয়ে গেছে পঞ্চগড়ের আকাশ। সেখানে চলছে শোকের মাতম। রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বরদেশ্বরী মন্দিরে (নদীর অপরপাড়ে) মহালয়া উপলক্ষে এক ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। এই ধর্মসভায় যোগ দিতে জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নসহ পাঁচপীর, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এলাকার লোকজন ট্রলারে করে যাচ্ছিল। দুপুরের দিকে নদীর মাঝপথে অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। সাঁতার জানা যাত্রীরা তীরে উঠে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে অনেককে উদ্ধার করে। পরে জেলা, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সকলেই এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও ধনেশ চন্দ্র জানান, করতোয়ার পাড়ে শিশু ও নারীসহ ১৭ জনের লাশ তারা দেখেছেন। বিভিন্ন যানবাহনে করে উদ্ধার করা যাত্রীদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
মহালয়া উপলক্ষে এদিন অধিক মানুষের সমাগম ঘটে। চারটি নৌকা পারাপারের জন্য চলাচল করলেও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে বিপুল সংখ্যক মানুষ নদী পার হতে অপেক্ষায় থাকে। ফলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ওই ট্রলারে উঠলে মাঝ নদীতে ডুবে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার সাথে সাথে উপস্থিত জনতা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার অভিযান চালায়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটিতে প্রায় দেড়শ’ যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। উদ্ধারকারীরা অনেককে জীবিত উদ্ধার করলেও পরে ২৪ জনের লাশ উদ্ধার করে। তবে মৃত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএসএম রাজিউল করিম রাজু বোদা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশু ও নারীসহ ৭ জনের লাশ নিশ্চিত করেছেন। বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোলেমান আলী ট্রলারডুবিতে বিকাল পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সর্বশেষ জেলা পুলিশ সুপার বলেছেন, এ পর্যন্ত ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম তাৎক্ষণিভাবে বেশ কিছু শিশু ও নারী মারা যাওয়ার কথা জানান। ফায়ার সার্ভিসের অভিযান শেষ হলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা জানানো যাবে। তিনি নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন। মৃত ব্যক্তি সৎকারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যেককে ২০ হাজার এবং আহতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার করে টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।