Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট নাসিক নির্বাচন

| প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আফজাল বারী : আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। তাই রাজনীতির জটিল ছক কষে নানামুখী কৌশল প্রয়োগ করেছে বিএনপি। ভোটের মাঠে এবার বিএনপির গায়ে ‘জামায়াত’ তকমা দেয়ার সুযোগও রাখেনি দলটির হাইকমান্ড। তবে সকল পক্ষকে তুষ্ট রেখেছে।
বিএনপির একাধিক নেতার মতে, এই নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন উভয়ের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিএনপি
তাদের ভাষায় নাসিক নির্বাচনে বিএনপি লাভবান হবেই। নিশ্চিত হারতে হবে হয় সরকার নয় নির্বাচন কমিশনকে। বিএনপির প্রার্থী হারলে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনার ঝড় তুলবে। আর বিজয়ী হলে সরকারের জনপ্রিয়তার পারদ যে তলানীতে তা প্রচার-প্রকাশ করবে সভা-সমাবেশে।
আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর নারায়ণগঞ্জে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। সিটি করপোরেশনে ১ জন মেয়র, ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ এবং নারী ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮। ভোটার বেড়েছে প্রায় পৌনে ১ লাখ।
আলাপকালে বিএনপি ও তাদের মিত্র দলের নেতারা ইনকিলাবকে বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের গঠনের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল। জাতীয় নির্বাচনসহ কয়েক ধাপে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার কারণে দেশ-বিদেশসহ ক্ষমতাসীন দলের তরফ থেকেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। শেষ সময়ে তাদের সামনে নাসিক নির্বাচন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিদায়বেলা অন্তত নাসিক নির্বাচনে নিজেদেরকে নিরপেক্ষ হিসেবে জাহির করতে চায়। বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত তাদের ভূমিকা সেদিকেই যাচ্ছে। কিন্তু শেষ ভালোটা তাদের থাকবে কিনা এ নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন একজন কমিশনার। ক্ষমতাসীনরা শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র জবর-দখল, ভোটারদের হুমকি-ধমকির লাগাম টেনে ধরবে কিনা এমন শঙ্কা ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে।
তবে বিএনপির মতে নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে তাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত। তাতে করে সরকারের জনপ্রিয়তার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। আর গত নির্বাচনগুলোর মতো পরিবেশ হলে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনারদের গায়ে ‘তল্পীবাহক’ নামের শেষ পেরেক ঠুকে দেবে। ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে সর্বদলীয় সংলাপের আভাস পাওয়া গেছে। সেখানে অভিযোগ দাখিল করবে শক্তভাবে।
বিএনপি সূত্রে আরো জানা গেছে, বিগত ঢাকা সিটি, চট্টগ্রাম সিটি এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও এবার তা করবে না। তাই বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের লাগাম টেনে ধরেছে। স্থানীয় নেতাদের মধ্যে মনে মনে বিরোধিতা থাকলেও তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে দিচ্ছে না। দলীয় প্রার্থীর প্রচারণার মঞ্চে উঠে দিলখোলা বক্তব্যই দতে হচ্ছে। তাতে করে নেতাকর্মীদের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে যে, দলে কোনো বিরোধ নেই।
নির্বাচনে মনিটরিং করতে তিনটি উপ-কমিটি গঠন করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি। নাসিক এলাকাকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের অধীনে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও কাজ করছেন। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা নির্ধারণ করেও স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে তিনটি টিম গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের নেতৃত্বে তিনটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের ৮টি ওয়ার্ডের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনকে। এছাড়া সহ-সাংগঠনিক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ও শহিদুল ইসলাম বাবুল বন্দর থানার ৯টি ওয়ার্ডের  কার্যক্রম মনিটরিং করবেন।
বিরোধের বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলেছে ২০ দলীয় জোটের বেলাতেও। এবার নাসিক নির্বাচনে বিজয়ী হতে মাঠে থাকতে চায় দলটির হাইকমান্ড। শরিক দলগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছেন জোট প্রধান খালেদা জিয়া। প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় জোটের বিদ্রোহী দুই মেয়র প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক এলডিপি ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
এদিকে জামায়াতকে কৌশলগত কারণে দূরে রাখা হয়েছে। তারা এবার নির্বাচনী মাঠে নেই। তবে ভোটারদের প্রতি তাদের সিগন্যাল রয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের একজন ইনকিলাবকে জানান, বিএনপির এ কৌশল সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। বাহ্যিক দৃশ্য যা-ই হোক সকলের টার্গেট নাসিক বিজয়। নাসিক নির্বাচনে জোটের প্রার্থী বিজয় মানেই সরকারের পরাজয়। তাতে লাভ সরকার বিরোধীদের। এ অঙ্কে কোনো ঘাপলা নেই। ছকেও কোনো ভেজাল নেই।

ফিরে দেখা বিজয়ের মাস
বিভিন্ন স্থানে অবরুদ্ধ পাকিস্তানি বাহিনী
হোসেন মাহমুদ : আজ ৮ ডিসেম্বর। যুদ্ধ পরিস্থিতি পুরোটাই দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিকূলে চলে যায়। সকল দিক থেকে মিত্র ও মুক্তিবাহিনী এগিয়ে আসতে থাকে। তাদের লক্ষ্য রাজধানী ঢাকা। বিভিন্ন স্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা। কোন কোন দল চেষ্টা করছিল ঢাকার দিকে ফেরার। কোথাও তারা পরাজিত বা নিরুপায় হয়ে আত্মসমর্পণ করে। মোটকথা, যুদ্ধে জয়লাভের সব আশা ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে যায়। এ অবস্থায় আজকের দিনে আকাশবাণী থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পাকিস্তানি বাহিনীর উদ্দেশে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান প্রচার শুরু হয়। ঢাকায় ভারতীয় জঙ্গি বিমানের হামলা তীব্রতর করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে বিমান থেকে আত্মসমর্পণের আহ্বান সম্বলিত লিফেলেট ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ঢাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওদিকে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন এদিন বার্তা সংস্থার সাথে তার প্রথম সাক্ষাতকারে বলেন, পাকিস্তান ধৈর্য ও পরিকল্পনা নিয়ে শত্রুর উপর চরম আঘাত হানবে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা জোরদার করার লক্ষ্যে এদিন ঢাকায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়। প্রতিরক্ষা তহবিলে উদারহস্তে দান করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আবেদন রেডিও-টিভিতে প্রচার করা হতে থাকে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, পাক-ভারত যুদ্ধে নিজেদের জড়িত না করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এদিন ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট নিক্সন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের মধ্যকার আলোচনায় মার্কিন সপ্তম নৌবহরকে বঙ্গোপসাগরে প্রেরণ নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়। পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে জুলফিকার আলী ভুট্টো জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলার জন্য নিউইয়র্ক রওনা হন এদিন। মার্কিন সিনেটর কেনেডি সব পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেন। ১৯৭১ সালের এদিনে কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, গৌরিপুর, পিরোজপুর, ভালুকা, পটুয়াখালী, গাইবান্ধা, মীরসরাই, বাবুগঞ্জ, মির্জাগঞ্জ প্রভৃতি এলাকা শত্রুমুক্ত হয়।
মাগুরা মুক্ত দিবস পালিত
মাগুরা সংবাদদাতা জানান, মাগুরায় নানা আয়োজনের মধ্য  দিয়ে বুধবার মাগুরা মুক্ত দিবস  পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ  মাগুরা জেলা ইউনিট কমান্ড এ দিবসের আয়োজন করে।
বেলা ১১টায় স্থানীয় নোমানী ময়দানে পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ  ও পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নবুয়ত মোল্যার নেতৃত্বে  শহরে  বিজয় র‌্যালি বের হয়।  র‌্যালিতে জেলা প্রশাসক মুহ: মাহবুবর রহমান ,  পুলিশ সুপার মুনিবুর রহমানসহ জেলায় মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেয়। র‌্যালি শেষে আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
লোহাগড়া হানাদার মুক্ত দিবস আজ
নড়াইল জেলা সংবাদদাতা জানান, আজ ৮ ডিসেম্বর নড়াইলের লোহাগড়া থানা পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লোহাগড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে লোহাগড়া থানাকে হানাদার মুক্ত করে উড়িয়েছিল লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও লোহাগড়ায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত হয় নাই কোনো স্মৃতিস্তম্ভ বা স্মৃতিসৌধ।
আজ ৮ ডিসেম্বর লোহাগড়া থানা মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, কবর জিয়ারত, স্মৃতিচারণ মূলক সভা ও দোয়া মাহফিল।
গোপালগঞ্জ শত্রু মুক্ত দিবস পালিত
গোপালগঞ্জ  জেলা সংবাদদাতা জানান, নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জ শত্রু মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকালে গোপালগঞ্জ পৌরপার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও ৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেখ ফজলুল হক মনি অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতকা উত্তোলন করেন।
আজ ভালুকা মুক্ত দিবস
ভালুকা (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, আজ ভালুকা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সনের এই দিনে ভালুকা থেকে পাক ও হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে আফসার বাহিনী ভালুকা সদরসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা শত্রুমুক্ত করে।
ময়মনসিংহ সদর দক্ষিণ তৎকালিন ঢাকা সদর উত্তর (বর্তমান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর) মুক্তিযুদ্ধে আফসার উদ্দিন আহাম্মেদ উপজেলার পারুলদিয়া গ্রামের আ: হামিদের নিকট থেকে একটি রাইফের সংগ্রহ করে ১৭ এপ্রিল এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। সামরিক বাহিনীর আদলে গঠন করা হয় আফসার বাহিনী। সাড়ে চার হাজার সদস্যের এ বিশাল বাহিনী ২শ’ ৩৫ দিনের যুদ্ধ শেষে ৮ ডিসেম্বর ভালুকা পাকহানাদার বাহিনী মুক্ত করেন। ভালুকায় দিবসটি উৎযাপনের জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন  রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ইসলামপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
ইসলামপুর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, জামালপুরের ইসলামপুরে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বুধবার উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এক বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হতে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঐতিহাসিক বটতলা চত্বরে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মানিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম এহসানুল মামুন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন স্বাধীন, কমরেড লুৎফর রহমান প্রমুখ। অন্যানের মধ্যে জালাল কোম্পানি কমান্ডার শাহ মো: জালাল উদ্দিন, ডা: রহুল আমীন, উপাধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, ডেপুটি কমান্ডার ওয়াজেদ আলী, আ: কাদের, বুলবুল আহম্মেদ সন্তান কমান্ডরে যুগ্ম- আহ্বায়ক আল আমিন, মোবারক হোসেনসহ উপজেলার বীর মুক্তি সৈনিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সরাইল মুক্ত দিবস
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ৮ ডিসেম্বর সরাইল মুক্ত দিবস। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা সংসদ সরাইল উপজেলা কমান্ড সরাইল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে ৪৫তম সরাইল মুক্ত দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টায় র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সেক্টর কমান্ডার ফোরামস, মুক্তিযুদ্ধ ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব:) কে এম শফিউল্লা বীর উত্তম। দিবসটির উদ্বোধন করবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
রামগড় হানাদার মুক্ত দিবস
রামগড় (খাগড়াছড়ি) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ৮ ডিসেম্বর রামগড় হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় রামগড় উপজেলার ক্যাম্প অগ্নিসংযোগ, লুটপাট বহু নারীকে ধর্ষণসহ হাজার হাজার নিরীহ জনসাধারণকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
রামগড়ের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে গেরিলা কৌশলে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গোটা বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অবস্থিত পার্বত্য অঞ্চলে রামগড় ছিল অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এদিকে ৮ ই ডিসেম্বর রামগড় হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চলতি দায়িত্ব) তামান্না নাসরিন উর্মী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাসিক নির্বাচন

২০ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ