পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোঃ হাফিজুর রহমান মিন্টু, নারায়ণগঞ্জ থেকে : অবশেষে নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে সকল রাগ অভিমান ভুলে আইভীর পাশে দাঁড়িছেন মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেই আনোয়ার হোসেন। নাসিক নির্বাচনে যার প্রার্থিতা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর সুপ্ত দ্বন্দ্ব জেগে উঠেছিলো সেই ব্যক্তি আনোয়ার হোসেনকে আনোয়ার কাকা বলেই কাছে টেনে নিলেন আইভী। আর এ সুবাদে নাসিক নির্বাচনে নৌকার পালে ঐক্যের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, ২০১১-এর নাসিক নির্বাচনে আইভীর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আওয়ামী লীগের উত্তর মেরুর পক্ষের নেতাদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও হয়েছিলেন তিনি। গত নির্বাচনে আইভীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ছিলেন আনোয়ার। সেই আনোয়ার হোসেন এবারের নির্বাচনে আইভীর পাশেই এসে দাঁড়ালেন অবশেষে। সাথে ছিলেন শামীম ওসমান বলয়ের মহানগর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপুসহ যারা আইভীর প্রতি মনঃক্ষুণœ ছিলেনÑ এমন অনেক নেতা-কর্মী। তবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের মূল চালিকা শক্তি বলে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের মান-অভিমান এখনও ভাঙেনি। এ ব্যাপারে উত্তর মেরুর কয়েকজন নেতা জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালনে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই নীরব ভূমিকার ব্যাখ্যা পরিষ্কার করবেন।
বিভক্তি করবেন না : আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী গণমাধ্যমকে বিভক্তি সৃষ্টি না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগের সময় আইভী গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের অনুসারীরা নির্বাচনের গণসংযোগে অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীরা আমার পাশে নেই, এমন বিভক্তি সৃষ্টি করবেন না। সবাই আমার পাশে আছে। যারা আসতে পারছে না তাদের নির্বাচনী আচরণবিধির বাধা আছে। আমি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘নৌকা প্রতীক দেওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী আমার পাশে আছে। আর প্রতীক বরাদ্দের পর তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছে।’ আইভী ভুল নৌকায় পা দিয়েছে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের এমন মন্তব্যের জবাবে আইভী বলেন, ‘ভুল নৌকা না শুদ্ধ নৌকা সেটা ২২ তারিখ জনগণের ভোটে প্রমাণিত হবে। এর আগে কেউ কিছু বলতে পারবে না। এ নৌকা শুধু শেখ হাসিনার না, জনগণের প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর নৌকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে নৌকার মাধ্যমে দেশে একের পর এক উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের মানুষের শান্তি আসে, ভবিষ্যতের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে, সেই নৌকা কি কোনও ভুল হতে পারে। জনগণের নৌকা কখনও ভুল হবে না।’এদিন আইভী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলী মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে কদমতলী গ্যাস ফ্লিড, পানির ট্যাঙ্কি, কলেজ রোড, দক্ষিণ মিজমিজি, কদমতলী পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণ কদমতলী হলি চাইল্ড মডেল স্কুল ও আদমজীসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এদিকে নাসিক নির্বাচন পরিচালনায় বিএনপি ৪ থানায় ৩টি ও প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ২৭টি, অর্থাৎ ৩০টি কমিটি চূড়ান্ত করেছে।
এনসিসির ৪ থানায় ৩টি ও প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ২৭টি, অর্থাৎ ৩০টি কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ১৩ কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্বে একটি নির্বাচনী প্রচার টিমও গঠন করা হয়েছে। ২০ দলীয় জোটও তিনটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিগুলো ধানের শীষের পক্ষে প্রচার কাজে অংশ নেবে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও এনসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে তারা ধানের শীষ মার্কায় ভোট দেবেন। আমরা মনে করি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নাসিকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হবে। ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধারে নাসিক নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের গণজোয়ার বইছে। এই গণজোয়ারকে ধরে রাখতে এলাকার মানুষের মনে সাহস জোগাতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি করে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছি।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনী কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে এনসিসির অন্তর্ভুক্ত তিন থানায় কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের সমন্বয়ে একটি করে কমিটি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদরের দায়িত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম এবং স্থানীয় নেতার মধ্যে তৈমুর আলম খন্দকার। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়িত্বে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও আবুল খায়ের ভূঁইয়া এবং স্থানীয় নেতা সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। বন্দর থানার দায়িত্বে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার এবং স্থানীয় নেতা সাবেক এমপি অ্যাড. আবুল কালাম।
উল্লিখিত প্রতিটি থানায় একটি করে নির্বাচনী ক্যাম্প খোলা হচ্ছে। এলাকায় পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, হ্যান্ডবিলসহ সার্বিক লজিস্টিক সহায়তা এসব ক্যাম্প থেকে সরবরাহ করা হবে। ক্যাম্পের দায়িত্বেও থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। নাসিকের সদর ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকবেন সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সিদ্ধিরগঞ্জ অফিসের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক আবদুস সালাম আজাদ এবং বন্দর অফিসের দায়িত্বে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।
এছাড়া দু’জন কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্বে নাসিকের প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ২৭টি কমিটি করা হয়েছে।
হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে -সাখাওয়াত
তরিকুল ইসলাম নয়ন, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে নগরবাসীর হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবেন। যানজট নিরসনের জন্য প্রশস্ত রাস্তা, ফুট ওভারব্রীজ ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করাসহ নারায়ণগঞ্জকে একটি পরিকল্পিত, আধুনিক, সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তুলবেন।
নির্বাচনের পরিবেশ এখনও গুমোট অবস্থা দাবী করে আবারো সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী করেছেন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক সন্ত্রাসী রয়েছে, অবৈধ-বৈধ অস্ত্র রয়েছে সেগুলো কখন কিভাবে ব্যবহার হবে তা দিনক্ষণ ঠিক করে বলা যাবে না। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্ভয়ে ভোটাররা ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিজয় হবে। ওই পরিবেশ তৈরির জন্যই নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন অত্যন্ত জরুরী বলে দাবি করেছেন তিনি।
সাবেক মেয়রের (আইভীর) উন্নয়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নারায়ণঞ্জের কোন উন্নয়ন করতে পারেনি সাবেক মেয়র। উন্নয়ন বলতে যা হয়েছে তা কিছু ব্যক্তির উন্নয়ন হয়েছে, সাধারণ মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। আইভী তার প্রতিশ্রুতির সিকি ভাগও পূরণ করতে পারেনি।
বিএনপি প্রার্থীর সাথে প্রচারণায় এসময় আরো অংশ নেন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন মুন্না, গাজী মনিরুজ্জামান মানিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বদ্য, সহ-সাধারণ সম্পাদক নোমান হাসনাত, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম,এ হালিম জুয়েল ও সাবেক ছাত্রদল নেতা সালাহউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতি এখনো হয়নি : জাবেদ আলী
নাসিক নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী। বুধবার সকাল ১১টা থেকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। শুধু ভোটকেন্দ্রে নয়, কেন্দ্রের বাইরেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। এছাড়া সাতজন মেয়র প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে। আর পর্দা ঘেরা বুথে শুধু ভোটাররাই যাবে, অন্য কোনো লোক থাকতে দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, আমরা নির্বাচনের ব্যাপারে সবদিক থেকে স্বচ্ছ রয়েছি। আশা করি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এখন পর্যন্ত আমরা তেমন কোনো ধরনের অভিযোগ পাইনি। প্রার্থীদের কোনো অভিযোগ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ সময় নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী সকল প্রার্থীকে নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন।
বন্দরে জাপা’র ভোট ব্যাংকে হানা দিতে মরিয়া আ.লীগ-বিএনপি
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার নিয়ে নিশ্চিত হলেও জাতীয় পার্টির ভোটাররা এখনো বিভ্রান্তে আছেন। জাতীয় পার্টি বর্তমান সরকারের জোটে থাকলেও নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের কোনো সক্রিয় ভূমিকা না থাকায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এখন দিশেহারা। নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংক রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। সবশেষে জাতীয় পার্টির এ ভোটার দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। আর এ ভোট ব্যাংকে হানা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীই।
নৌকার পক্ষে স্বাশিপের গণসংযোগ
নাসিক নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি, গোদনাইল, চিত্তরঞ্জন ও শহরের কিল্লারপুল এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারা নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। গণসংযোগের সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী নারায়ণগঞ্জের অন্যতম প্রাণপুরুষ মরহুম আলী আহাম্মদ চুনকার সুযোগ্য কন্যা, যিনি বিগত দিনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও নারায়ণগঞ্জবাসীর সার্বিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম, দক্ষতা ও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। তার আন্তরিক সেবা ও সযতœ পরিচর্যায় নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র আধুনিকতা ও উন্নয়নের চিত্র দৃশ্যমান। গণসংযোগের সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাশিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, অধ্যক্ষ তেলাওয়াত হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য জহির উদ্দিন, কামরুজ্জামান, সুলতানা বেগম রতœা, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি বাবু বজেন্দ্রনাথ সরকার প্রমুখ।
হাতপাখার গণজোয়ারে ভোটের হিসেব পাল্টে যাবে
বুধবার পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতী মাসুম বিল্লাহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদমজী সোনামিয়া মার্কেট, সুমিলপাড়া, আইল পাড়া, এস.ও, বার্মা ইস্টার্ন, আদমজী বিহারি ক্যাম্প, কদমতলী, সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন ও সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারে গণসংযোগ করেন। সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা হাত পাখার প্রতীক নিয়ে মেয়র প্রার্থী মাসুম বিল্লাহকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অপেক্ষা করেন এবং হাতপাখার শ্লোগানে শ্লোগানে এলাকা মুখরিত করে তোলেন। গণসংযোগের সময় নগরবাসী ও সর্বস্তরের জনগণ উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে হাত পাখা নিয়ে উপস্থিত হন। এ সময় নগরবাসী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ২২শে ডিসেম্বর সুষ্ঠু ভোট হলে হাত পাখার গণজোয়ারে ভোটের হিসাব পাল্টে যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।