Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি

কুড়িল-পূর্বাচল মহাসড়কের পাশে জলাধার খনন

প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : রাজউক এর অনুকূলে কুড়িল পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের প্রস্তাবিত ৯১ দশমিক ৬৬১৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় জেলা স্থান নির্বাচন কমিটির অনুমোদন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে জোয়ার সাহারা, বরুয়া, ডুমনি ও মাস্তুল মৌজায় এ ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত দেয় কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১০৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ভূমি সচিব মেছবাহ উল আলম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, রাজউক এর চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূইয়া, বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজি আজমল হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আরিফ-উর-রহমান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, রাজউক এর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ খাল খনন প্রকল্প শুরু হয়ে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্পের আওতায় খাল খননের পাশাপাশি দুই পাড় বাঁধানোসহ হাঁটার রাস্তা বা ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরণের দৃষ্টিনন্দন সেতুও নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। আগামী এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবে বলে জানা গেছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগের জন্য ৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ
সভায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগের জন্য ৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় ভূমিমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার আন্তরিক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একক সিদ্ধান্তে বিদেশী সাহায্য ছাড়াই বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতুর সাথে রেল সংযোগ স্থাপন হলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক মাত্রা যোগ হবে। তিনি রেল সংযোগসহ পদ্মা সেতু প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় বলা হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পটি সরকারের ফাস্ট ট্রাক প্রজেক্ট হিসেবে বিবেচিত। এজন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ১৫ দশমিক ৮৭৪১ একর এবং ঢাকা জেলার ৭০ দশমিক ৯৪৩৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ অনুমোদিত হয়।
সভায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভবন সম্প্রসারণ, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক কেরানীগঞ্জ ২৩০/১৩২/৩৩ কেভি জিআইএস গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃক ঢাকা জেলার চরকামরাঙ্গী মৌজায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা ওয়াসা এর অনুকূলে সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ প্রকল্প, বরিশাল সদর উপজেলার শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ট্রাক টার্মিনাল স্থাপন প্রকল্প, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন রাস্তা ও অবকাঠামোও সুবিধার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় টুটপাড়া কবরস্থান সম্প্রসারণ এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় এসব ভূমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ