পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে কতসংখ্যক নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে তার সঠিক হিসেব কারো কাছে নেই। এসব ব্যাটারিচালিত অবৈধ যানের কারণে অপচয় হচ্ছে মূল্যবান জ্বালানি। দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে অহরহ। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। আরার অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে বসে রয়েছেন ঘরে। আহতদের পরিবারে নেমে এসেছে নানা দুর্ভোগ।
ইতোমধ্যে এই অবৈধ যান ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু তবুও বন্ধ হচ্ছেনা এই অবৈধ যানের চলাচল। তাছাড়া দিন দিন রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায় বেড়েই চলেছে এর চলাচল। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ব্যাটারিচালিত যান (অটোরিকশা) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ইতোমধ্যে এসব যান চলাচল বন্ধে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
জানা যায়, রাজধানীতেই রয়েছে ১২ লাখের মতো রয়েছে এই যান। এসব অবৈধ যান বন্ধ না হওয়ার পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা, পুলিশ ও চাঁদাবাজরা জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। মাসোহারা দিয়ে টোকেন নিয়েই চলে এই যান। প্রতিমাসে টোকেন খরচ ১ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় এই টোকেন। বিভিন্ন চিহৃ বা অক্ষর ব্যবহার কারা হয় এই টোকেনে। টোকেন থাকলে আর কোন বাধা নেই চলাচল করতে। মোহাম্মদপুর, মিরপুর, দারুসসালাম, কাফরুল, পল্লবী, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, রামপুরা, বাড্ডা, তুরাগ, আদাবর, হাজি ক্যাম্প, কাঁচকুড়া এবং আবদুল্লাহপুর এলাকার অলিগলিতে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষের মৃত্যু হয়, এর ২০ শতাংশই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়। দুর্বল কাঠামো আর ভারসাম্যহীনতার কারণে এসব বাহনকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছে বুয়েটের গবেষণা।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে ব্যাটারিচালিত যান (অটোরিকশা) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ইতোমধ্যে এসব যান চলাচল বন্ধে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। অবৈধ এসব যান চলাচল বন্ধে অভিযান পরিচালনার কথাও ভাবছে ডিএনসিসি। গতকাল শুক্রবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন ইনকিলাবকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মকবুল হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধে ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। পহেলা অক্টোবরের পর থেকে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ অবৈধ ব্যাটারি চালিত যান চলাচল বন্ধে অভিযান পরিচালনা করবেন। মূল্যবান রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ও সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএনসিসি।
এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ। গণবিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন অঞ্চলে অসংখ্য অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এতে মূল্যবান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিয়মিত মাসিক করপোরেশন সভায় কাউন্সিলররা অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মেয়রের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে, কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে অবৈধ ব্যাটারিচালিত যান চলাচল বন্ধকরণের জন্য কঠোর নির্দেশ প্রদান করা হলো। এই ঘোষণা প্রতিপালনে ব্যত্যয় ঘটলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা পুলিশের সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।