পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ব্যাংক হঠাৎ করেই ডলারের আন্তব্যাংক লেনদেনের মূল্য বদলে ফেলেছে। মার্কিন ডলারের দর একলাফে বাড়ল ১০ টাকার বেশি। এর আগে ডলারের দর ৫০ পয়সা বাড়ানোকেই দেখা হতো বড় সিদ্ধান্ত। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই মুদ্রাটির বিনিময় হার ঠিক করে দিয়েছে ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা। আগের দিন দাম এক টাকা বেড়ে হয়েছিল ৯৬ টাকা। অর্থাৎ এক দিনে বাড়ল ১০ টাকা ১৫ পয়সা ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। বলাই বাহুল্য এই সিদ্ধান্তে ইতিহাস সৃষ্টি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, গতকাল আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিক্রয়মূল্য ছিল ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা। আর আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ১০১ টাকা ৬৭ পয়সা। তবে এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দর নয়, ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে লেনদেন করা ডলারের দাম এটি। ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কেনাবেচা করে, সেটিকে আন্তব্যাংক দাম বলা হচ্ছে। এত দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে দামে ডলার কেনাবেচা করত, সেটি আন্তব্যাংক দর হিসেবে উল্লেখ করা হতো। এত দিন সেই দামই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু হঠাৎ করে এ দামে পরিবর্তন আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ডলারের বিক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছিল ৯৫ টাকা। গত সোমবার ডলারের দাম ১ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ টাকা করা হয়। কিন্তু গতকাল ওয়েবসাইটে ডলারের বিক্রয়মূল্য দেখানো হচ্ছে ১০৬ টাকার বেশি। আর ক্রয়মূল্য দেখানো হচ্ছে প্রায় ১০২ টাকা। তবে গতকালও বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাড়ে ৪ কোটি ডলার বিক্রি করেছে ৯৬ টাকা দরে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, টাকা ও ডলারের বিনিময়মূল্য ব্যাংকগুলো নির্ধারণ করেছে। জোগান ও চাহিদা এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) দামের ভিত্তিতে ডলারের এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দৈনন্দিন ভিত্তিতে ডলার কেনাবেচার মধ্যে নেই। তবে বাজার বিবেচনায় প্রয়োজন হলে কেনাবেচা করবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলারের দাম সোমবার বাড়িয়ে ৯৬ টাকা করা হয়েছে। মঙ্গলবারও এই দামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশে দেশে মুদ্রার দরপতনের যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। সাত মাসের কম সময়ে দেশের মুদ্রার দরপতন হলো প্রায় ২৫ শতাংশ। এই যুদ্ধ শুরুর আগে দর ছিল ৮৪ থেকে ৮৫ টাকা। বাড়ল ২১ থেকে ২২ টাকা।
দুই দিন আগে ব্যাংকারদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ বা এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রার ডিলার ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন বা বাফেদা ঠিক করে আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিনিময় হার হবে ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা। এখন সেই দরকেই আন্তব্যাংক দর হিসেবে বেছে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, টাকা ও ডলারের বিনিময়মূল্য ব্যাংকগুলো নির্ধারণ করেছে। জোগান ও চাহিদা এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) দামের ভিত্তিতে ডলারের এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দৈনন্দিন ভিত্তিতে ডলার কেনাবেচার মধ্যে নেই। তবে বাজার বিবেচনায় প্রয়োজন হলে কেনাবেচা করবে।
বিক্রয়মূল্যের পাশাপাশি ডলারের নতুন ক্রয়মূল্যও ঘোষণা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ১০১ টাকা ৬৭ পয়সায় ব্যাংকগুলো ডলার কিনবে। ক্রয় ও বিক্রয়ের মধ্যে প্রায় ৫ টাকা ব্যবধানও রেকর্ড। গতকাল নিজেদের মধ্যে নতুন এই দরে ডলার বিক্রি করেছে ব্যাংকগুলো। এটাকে আন্তব্যাংক লেনলেন দর বলে।
প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে এই আন্তব্যাংক লেনদেন বাজার কার্যত অচল ছিল। সরকারি আমদানি ব্যয় মেটাতে অল্প কিছু ডলার বিক্রি করা হতো।
ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে এখন এই দরে ডলার কেনাবেচা করবে। এটাকেই আন্তব্যাংক দাম বলা হচ্ছে। এত দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে দামে ডলার কেনাবেচা করত, সেটি আন্তব্যাংক দর হিসেবে উল্লেখ করা হতো। সেই দামই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন এই দর ঠিক করার পর খোলাবাজারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দরের মধ্যে যে আকাশচুম্বি পার্থক্য ছিল, তা অনেকটাই কমে আসবে। খোলাবাজারে গতকাল ডলার কেনাবেচা হয়েছে ১১৪ টাকায়। অর্থাৎ আগের দিনের আন্তব্যাংক লেনদেনের তুলনায় দর বেশি ছিল ১৮ টাকা, যা এখন নেমে আসবে ৮ থেকে ৯ টাকা।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।