Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

২০০ পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে সমস্ত পত্রিকা নিয়মিত বের হয় না সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। সাংবাদিক এবং প্রকাশকদেরও দাবি ছিল, পত্রিকা প্রকাশে অনিয়মের জন্য যাতে গণমাধ্যমের বদনাম না হয়। সে প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে চার শতাধিক পত্রিকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০০ পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে কেউ যদি সংশোধন হতে চায় তাহলে সেই সুযোগ থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) বার্ষিক সাধারণ সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দিবসে পত্রিকায় ছাপানোর জন্য ক্রোড়পত্র কোনো কোনো বড় পত্রিকার ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা বিলও বকেয়া রয়েছে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক যে অবস্থা বিরাজমান সেটি আপনারা জানেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ সীমার কথাও আপনারা জানেন। অবশ্য সরকারি বকেয়া বিল আজ হোক, কাল হোক অবশ্যই পাবেন। কিন্তু আগের মতো যথেচ্ছভাবে ক্রোড়পত্র দেয়ার সুযোগ আর নেই।

সংবাদপত্র পরিষদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ১ হাজার ২৫০টি পত্রিকা। অথচ পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালে দেখি সেখানে এতো পত্রিকা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদপত্রবান্ধব, সাংবাদিকবান্ধব সে কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে অনেক পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে। কিন্তু সেগুলো নিয়মিত বের হয় না। যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়। অনেক পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার। অনেক পত্রিকায় দেখা যায় যে, সাংবাদিক নিয়োগ দেয়া হয় কিন্তু তাদেরকে বেতন দেয়া হয় না, বলা হয় যে তোমার বেতন তুমি সংগ্রহ করো।

তিনি বলেন, বিএনপির সবকিছুতেই না বলার যে রাজনীতি সেটি অবসান হওয়া প্রয়োজন। যেখানে না বলা দরকার অবশ্যই সেখানে না বলবে। কিন্তু সবকিছুতেই না বলা আর সবসময় সাংঘর্ষিক রাজনীতি করা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে, যেটি বিএনপি করছে। আমি আশা করবো সাংঘর্ষিক রাজনীতি আর না বলার রাজনীতি থেকে বিএনপি নিজেকে মুক্ত করবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলী এবং প্রেস কাউন্সিলের সদস্য এবং দৈনিক প্রভাত সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক এবং সচিব মো. শাহ আলম, গণযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন, বিএসপি’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহ জালাল, সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরী প্রমুখ। পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর সংস্থাগুলোর মনোনীত কর্মচারিদের হাতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ