Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিনিকেট চাল বন্ধ করা সময়ের ব্যাপার : জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

 মিনিকেট চাল করা এখন সময়ের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা জানি মিনিকেট নামে কোনো চাল নেই। এটা আমি নিশ্চিত ঢাকার বাইরে মেশিন আছে, ছেঁটে বিক্রয় করা হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসছে, নিউজও হচ্ছে। কিন্তু এই মুহ‚র্তে মিনিকেট চালের ব্যাপারে অভিযান করলে বাজারে একটা প্রভাব পড়বে। এ চাল বন্ধ করা এখন সময়ের ব্যাপার।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে প্যাকেটজাত পণ্যের উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভোক্তার ডিজি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি অর্থনীতিবিদদের নিয়ে সভা করে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের পর মিনিকেটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই চাল বাজারে থাকবে কি না।
বোরো ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম না কমার কারণে মিলমালিক থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়েছিল। তাদের নিয়ে সভা করা হয়েছে তখন জানা গেছে করপোরেটের হাতে মাত্র পাঁচ শতাংশ চাল মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন কোম্পানি প্যাকেটজাত করে মূল্যবৃদ্ধি করছে। শুধু তাই নয়, করপোরেটগুলো মুড়ি-চানাচুরের ব্যবসা করছে। আইনে আছে কি না সে ব্যাপারে শিল্প ও খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখবে। ১৫০ টাকা কেজি চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এটা খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখবে। ভোক্তাদের স্বার্থেই এটা দেখতে হবে।
তিনি বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের কোনো মূল্য নাই, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ নাই তা হতে পারে না। আমদানিকৃত পণ্যের ব্যাপারে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবশ্যই আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা, মূল্য ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উপর সরকারের পুরোনিয়ন্ত্রণ আছে। তাই তো তাদের যা ইচ্ছা করতে দেওয়া হয় না, গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিনিয়ত কাজ করছে। তেল সঙ্কটের সময় তার বাস্তব প্রমাণ। তাদেরকে ডেকে এনে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ভোক্তাদের স্বার্থের কোনো ব্যত্যয় ঘটলেই তাদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ