পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী রক্তের অক্ষরে রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এ বন্ধন আরো দৃঢ় হয়েছে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সফল একটি ভারত সফর করেছেন এবং এ সফরে অনেকগুলো অর্জন আছে। যেমন কুশিয়ারা নদীর পানি আমাদের পক্ষে বন্টন, ভারতের স্থলভাগের ওপর দিয়ে তৃতীয় দেশের সাথে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি সুবিধা যার জন্য আমরা বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম। আলাপ আলোচনার মধ্যেই ছিলাম, সেটি এ সফরে সুরাহা হয়েছে, এটি একটি বড় অর্জন। এই সফর সফল করার ক্ষেত্রে ভারতের হাইকমিশনার দোরাইস্বামীর অনেক বড় ভূমিকা ছিলো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দোরাইস্বামী অত্যন্ত কর্মদক্ষ হাইকমিশনার তার কর্মকালে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীবন্ধন আরো মজবুত হয়েছে। সাক্ষাতের বিষয়ে ড. হাছান জানান, আমরা অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকটি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের পর আমরা আশা করছি এ বছরের মধ্যেই রিলিজ করা সম্ভব হবে।
ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার দোরাইস্বামী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করোনা মহামারির সময়েও মøান হয়নি, বরং তা আরো দৃঢ় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরটি ছিল অত্যন্ত ফলপ্রসূ। অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সমঝোতা হয়েছে। দু’দেশের তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রেও চুক্তি হয়েছে। এই সম্পর্ক দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে বলে আমার স্থির বিশ্বাস।
এরপর বিকেলে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাজেদা চৌধুরীর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদের দীর্ঘতম সময়ের উপনেতা বেগম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এমন এক বর্ণাঢ্য সংগ্রামীর জীবনাবসান ঘটেছে, যিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং ১৯৭৫ সালের পর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অকুতোভয় নেত্রী।
বেগম সাজেদা চৌধুরীর বিদায় আমাদের জন্য প্রচন্ড বেদনার। আওয়ামী লীগের জন্যও বেদনার। আমরা সকলে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।