পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্বরোচিত নিষ্ঠুরতা ও আমানবিকতা সবকিছুকে হার মানিয়েছে দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে কিশোর মিনারুলকে হত্যা ও হত্যা পরবর্তী লাশ হস্তান্তর নিয়ে লুকোচুরি খেলা। গত বৃহস্পতি থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্তে নিহতের পিতা-মাতা আত্বীয়স্বজনসহ প্রতিবেশীরা খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে লাশের জন্য।
বিজিবি’র পক্ষ থেকে পিতার কাছে ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে লাশ শনাক্তের পরও বিএসএফ লাশ হস্তান্তর না করায় সাধারন মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে। কেননা এর আগে এই সীমান্তসহ আশপাশের সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহতের লাশ হস্তান্তরে এতো কালক্ষেপন করা হয়নি।
গত বুধবার রাতের ঘটনায় নিখোঁজ আরো দুজনের বিষয়ে ধুম্্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। অজানা ভয়ে আতংকিত হয়ে আছে সীমান্তবাসী। বিজিবি ক্যাম্পের আশে-পাশেও যেতে সাহস করছেনা ছেলে-বুড়ো কেউ। মিনারুল হত্যা ঘটনার পর তার বাবাকে ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। এছাড়া শোকে কাতর মিনারুলের মাকে চিকিৎসার কথা বলে শহরে এনে কোতয়ালী থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করেও সৃষ্টি হয়েছে আতংক। উক্ত অভিযোগে ৫ যুবকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করেছেন। লাশ হস্তান্তরের পর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এদিকে হত্যার ৯৬ ঘণ্টা পর লাশ ফেরত না পেলেও ভারতীয় গণমাধ্যমে নিহত মিনারুলের লাশ নিয়ে বিএসএফ সদস্যদের ফটোসেশান বাংলাদেশীদের কাছে কাটা ঘায়ে এ নুনের ছিটার মত। গতকাল রোববার দাইনুর সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেল মিনারুলের পিতা-মাতার পাশাপাশি এলাকাবাসী এমনকি দুরদূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছে ঘটনা জানতে। খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র মিনারুল এর বিরুদ্ধে কোন সময় চোরাচালান এমনকি কোন দুষ্কর্মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিজিবি এমনকি পুলিশের কাছেও কোন তথ্য নেই। গুলি করে হত্যার ঘটনাটি কেউ মেনে নিতে পারছে না। নিখোঁজ অন্যান্যের ব্যাপারেও কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী রায়হান জানায়, কে স্বীকার করবে বিজিবির রোসারলে পড়তে। আর একটি বিষয় নিয়ে গ্রামের সচেতন মহলের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে তাদের মতে ৩১৫ নং পিলারে যেতে বিজিবি দাইনুর সীমান্ত অতিক্রম করতেই হবে। মিনার বা তার অপর সঙ্গিরা তাহলে গেল কিভাবে। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিজিবি তাহলে কি করছে? বিজিবির চোখে না পড়লেও বিএসএফ এর চোখে পড়ছে তার তাদের বুলেটের মুখে পড়ছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবির অবস্থান শক্ত হলে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির ঘটনা ঘটতো না।
উল্লেখ্য গত বুধবার দিবাগত রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে গুলিবর্ষণের ঘটনার কথা। বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয় নবম শ্রেণীর ছাত্র মিনার। গত বৃহস্পতিবার স্কুলের ক্লাশে উপস্থিত হওয়ার পরিবর্তে সীমান্তের মাটিতে লাশ হয়ে পড়ে থাকে। মিনারের অকাল মৃত্যুর দ্বায়ভার কার? মিনার এর সাথে একই এলাকার লতিফুলের ছেলে এমদাদুল ও সালমানের ছেলে সাগর নিখোঁজ রয়েছে। আসলে যার হারায় সেই বুঝে হারানোর যন্ত্রণা এমন কঠিন বাস্তবতার সামনে এই পরিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।