পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720100195](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের হিড়িক নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) ও আইএফজে’র একটি যৌথ বিবৃতি আইএফজে’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডেইলি স্টার সম্পাদকের বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে মামলা দায়েরের প্রচেষ্টা মূলত গণমাধ্যমকে ভীতি প্রদর্শন ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা স্তব্ধ করার পরিষ্কার প্রচেষ্টা। ৬টি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক ও এক ডজন মানহানির মামলাসহ গত এক সপ্তাহে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩ ডজন মামলা দায়ের করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী।
৩ ফেব্রুয়ারি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মাহফুজ আনাম স্বীকার করেছিলেন যে, প্রায় এক দশক আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তৎকালীন টাস্কফোর্স ইন্টিলিজেন্স সেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বতন্ত্রভাবে যাচাই-বাছাই না করে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। একে তার সম্পাদকীয় বিবেচনার (এডিটোরিয়াল জাজমেন্টে) একটি ত্রুটি হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। এর পর পরই তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা শুরু হয়।
বিবৃতিতে আইএফজে বলেছে, ‘রাজনৈতিক সঙ্কটের সময় জনস্বার্থে সংবাদ প্রকাশের কারণে মাহফুজ আনামকে যে আইনি হেনস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা নিয়ে আইএফজে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দায়ের করা মামলার সংখ্যা খুব বেশি হওয়া ও পুরো দেশজুড়ে এসব মামলা করা দায়ের করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের একজন সিনিয়র সম্পাদক ও একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকাকে হয়রানি করার জন্য আক্রমণাত্মক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।’
৭ ফেব্রুয়ারি আইন প্রণেতারা মাহফুজ আনামের শাস্তি দাবি করেছেন এবং পেশাদার সাহসের অভাবে তার পত্রিকা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। আইএফজে বলেছে, ‘এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির আইন ব্যবহার করা খুবই উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে অতীতের ধ্বংসাবশেষ হিসেবে ভাবা হয়। অথচ এ অঞ্চলে রাজনৈতিক বিরোধী ও সমালোচনাকে স্তব্ধ করতে প্রায়ই এ আইন পুনর্জীবিত করা হয়। বাংলাদেশে মিডিয়ার পরিবেশ ইতিমধ্যেই গভীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এ অবস্থায় নতুন এসব ঘটনা প্রবাহ দুশ্চিন্তমূলক।’
অতীতেও ডেইলি স্টার বাংলাদেশ সরকারের হেনস্থার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এর আগে শীর্ষস্থানীয় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি গ্রামীণফোনকে পত্রিকাটিতে বিজ্ঞাপন প্রকাশ বন্ধে বাধ্য করায়। এতে পত্রিকাটি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়। আইএফজে বিবৃতিতে বলেছে, ‘গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের হয়রানি করতে আইনি কাঠামোকে কিছু মানুষ যাতে অপব্যবহার না করতে পারে, এটি গুরুত্বপূর্ণ। একটি পূর্ণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সব মামলা যাতে একটি আদালতে শুনানি হয়, এ বিষয়ে আমরা বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।