Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় বন্যহাতী আতঙ্কে মানুষ

| প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শফিকুল ইসলাম বেবু,কুড়িগ্রাম থেকে : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর, যাদুরচর ও শৌলমারী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ ভারতীয় ১৫টি বন্য হাতি আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করছে।
গত দুই দিন থেকে সীমান্তবর্তী মানুষেরা ফসল, ঘর-বাড়ীসহ জানমালের ক্ষতির আশঙ্কায় বিকেল থেকে রাতভর আগুন জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। হাতির দলটি সুযোগ বুঝে বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে রাতভর ধান, সরিষা, কালাইসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি সাধন করে সকালে কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন নো-ম্যানসল্যান্ডে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় হাতি দেখার জন্য হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভীড় করছে। উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিভিন্ন কৌশলে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। বিজিবি’র পক্ষ থেকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে অবহিত করা হলেও তারাও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। হাতির দলটি বর্তমানে শৌলমারী ইউনিয়নের নতুন শৌলমারী গ্রামের সীমান্তে বাংলাদেশের ১শ’ গজ অভ্যন্তরে অবস্থান করছে।    
এলাকাবাসী জানায়, গত শনিবার রাতের কোন এক সময় রৌমারী সীমান্তের ১০৬৭ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে ভারতের গারোহিল পাহাড় থেকে ১৫টি বন্য হাতির একটি দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। হাতিগুলো দিনের বেলা কাঁটাতারের নিকটবর্তী নো-ম্যানসল্যান্ডে অবস্থান করলেও রাতের বেলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সীমান্তবর্তী জমির ফসলের ক্ষতি সাধন করছে। এ অবস্থায় রৌমারী সদরসহ ২০ গ্রামের মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। যেকোন সময় বন্য হাতির দলটি গ্রামে প্রবেশ করে বাড়ী-ঘরসহ জানমালের ক্ষতির আশংকা করছে সীমান্তবর্তী মানুষেরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা হাতির দলটিকে ভারতের পাহাড়ে ফেরত পাঠাতে বিভিন্ন রকমের চেষ্টা করছি। কিন্তু উৎসুক জনতার ভীড়ের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া বন বিভাগ রংপুর রেঞ্জে হাতি তাড়ানোর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কোন লোকজন না থাকায় নিজেরাই চেষ্টা করছি। আমরা বিষয়টি উপরস্থ কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম সাজেদুল ইসলাম জানান, ভারতীয় বন্য হাতির দলটি যাতে করে জানমালের ক্ষতি করতে না পারে এজন্য আমরা ঐ এলাকায় পুলিশসহ চৌকিদার পাঠিয়েছি। তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যহাতী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ