পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমদানি করা বিদেশী ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশি ফলের চাহিদা বেড়েছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিদেশ থেকে আমদানি করা ফলে কেজি প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন আগের চেয়ে আমদানি কম হওয়ায় বিদেশী ফলের দাম বাজারে বেড়েছে। এর ফলে বিদেশী ফলের ক্রেতাও অনেক কমে গেছে। অন্যদিকে বাজারে দেশি ফলের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে।
এখন বাজারে আমদানি করা ফলের চাহিদার মধ্যে রয়েছে আপেল, কমলা, মাল্টা, চেরি ও লাল আঙ্গুর। আর দেশি ফলের মধ্যে রয়েছে আমড়া, জাম্বুরা, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, কদবেল, বাতাবি লেবু, ও কলা। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক হারে বর্তমানে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল ও সবুজ মাল্টা। এসব ফলের চাহিদাও বাড়ছে বাজারে।
রাজধানীর শান্তিনগর, ফকিরাপুল, শাহজাহানপুর, রামপুরা এসব এলাকার ফলের দোকানগুলোতে দেখা যায় বিদেশী বিভিন্ন আপেল কমলা নাশপাতি, আঙ্গুরের পাশাপাশি আনারস, আমড়া, পেঁপে, কলা, কদবেল, জাম্বুরা এসবও প্রচুর রয়েছে। বিদেশী আমদানি করা ফলের মধ্যে তিন ধরনের আপেল দোকানে বিক্রি হচ্ছে। যার মধ্যে ছোট আকারের অস্ট্রেলিয়ান আপেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা টাকা কেজি দরে। আর সবুজ আপেল ২৫০, রয়েল সালা আপেল ২৫০, কমলা ২৩০-২৪০ ও কমলা রঙের মাল্টা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে বেদানা বা আনার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। লাল আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বাজারে এখন সবুজ আঙুরের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। অন্যদিকে দেশী ফলের মধ্যে, পেয়ারা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, আনারস ১ পিস ৫০ টাকা, পাকা পেঁপে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, জাম্বুরা আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। ফলের দোকানের পাশাপাশি ভ্যান গাড়িতে করেও এসব দেশি ফল রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাও বিক্রি হচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারের ফল ব্যবসায়ী নোমান বলেন, তাদের কার্টন ধরে ফল কিনতে হয়। প্রতি কার্টনে থাকে ২০-২৫ কেজি ফল থাকে। সপ্তাহের ব্যবধানে তাদের কার্টুনপ্রতি ২০০-৪০০ টাকা বেশি দিয়ে ফল কিনতে হচ্ছে। আমদানিকারকরা বলছেন, জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশি দরে তাদের এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তারা আমদানি করা ফলের দাম বেশি রাখছেন। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে বাজারে দেশে উৎপাদিত ফলের সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। সেগুলোর দাম তুলনামূলক কম।
মালিবাগের ফল ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, বর্তমানে বাজারে দেশে উৎপাদিত নানা জাতের ফল রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আনারস, পেয়ারা, আমরা, কদবেল, ড্রাগন ফল ও সবুজ মাল্টা। বর্ষা মৌসুমে এমনিতেই বাতাবি লেবু ও আনারসের চাহিদা বেশি থাকে। তার ওপর ড্রাগন ফল ও সবুজ মাল্টা কিছুটা ফলের বাজার দখল নিয়েছে। আমদানি করা মাল্টার কেজি যেখানে ২২০ টাকা সেখানে দেশে উৎপাদিত সবুজ মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এ জন্য দেশি ফলের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।