Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সরকারি অনুদান নিয়েও যারা ছবি বানায়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারি অনুদান নিয়েও যারা ছবি বানায়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল করা হয়েছে। সেখান থেকে ঋণ নিয়ে হল রেনোভেট ও নতুন হল করা যাবে। প্রথমে পাঁচ কোটি টাকার কথা বলা হলেও পরে টাকার অংক বাড়িয়ে ১০ কোটি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ চলচ্চিত্র শিল্পী, চিত্রগ্রাহক, সম্পাদক, পরিচালক, প্রযোজক, পরিবেশক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক ও নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন ইন্ডাস্ট্রি বড় হবে, আবার এক হাজার সিনেমা হল হবে, তখন হয়তো ভিন্ন পরিস্থিতি দাঁড়াবে। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে এটির প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই রয়েছে। আশার কথা হলো চলচ্চিত্র শিল্প এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে। আমরা অনুদান দ্বিগুণ করেছি। আগে যেখানে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হতো, এখন দেওয়া হয় ২০ কোটি। আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাই, তখন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা আমার কাছে আসেন। তখন তারা আমাকে বলছেন, অনুদান যা দেওয়া হয় তাতে অনেকগুলো হলে সিনেমা মুক্তি পায় না। অনেকগুলো আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেওয়া হয় তারা সেগুলো বানায় না।

তিনি বলেন, এক কোটি টাকার নিচে কোনো সিনেমা হয় না। ভালো সিনেমা বানাতে মিনিমাম ২ কোটি লাগে। সেক্ষেত্রে তারা পরামর্শ দিলেন অনুদান যেন বাণিজ্যিক ছবিতে দেওয়া হয়। আমরা এরপর থেকে বাণিজ্যিক ছবিতে জোর দেই। আর্ট ফিল্মেও আমরা দিচ্ছি। ডকুমেন্টারিতেও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্যিকে অনুদান বাড়ানোর ওপর আমরা জোর দিয়েছি, সেটার সুফলও আমরা পাচ্ছি। ৬৫টাতে নেমে এসেছিল হল সেখান থেকে ২১০টা হয়েছে। আর এক বছরের আরও ১শ বাড়বে।

হাছান মাহমুদ বলেন, এখান থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য অনেক দরখাস্ত ইতোমধ্যে জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। সিনেপ্লেক্স হচ্ছে। এটা অনুদান নয়, ব্যাংকিং চ্যানেলে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যখন করোনা মহামারি ছিল, তখন ভয়ে কেউ দরখাস্তই করেনি। কারণ তখন হল বন্ধ। পরে করোনা কমে আসার পর দরখাস্ত শুরু করলো। তারপরে ব্যাংকগুলোকে আমাদের বোঝাতে হয়েছে। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বসেছি। এরপর দরখাস্ত বেড়েছে। এখন আস্তে আস্তে ডিসপার্স হচ্ছে। এখন যেহতু ভালো সিনেমা হচ্ছে তাই দরখাস্ত বাড়ছে। এটা একটা রিভলভিং ফান্ড। এটা দিয়ে অনেক হল রেনোভেট করা যাবে। নতুন হল করা যাবে। প্রথমে ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছিল, আমরা দেখেছি এতে কোয়ালিটি হল হয় না। এজন্য টাকার অংক বাড়িয়ে সেটা ১০ কোটি করা হয়েছে।

শুধু আর্ট ফিল্মে অনুদান দেবো আর মেইনস্ট্রিমে দেবো না, অনুদান তো এজন্য নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনুদান তো সব ধরনের সিনেমার জন্য। সব ধরনের মধ্যে মূলধারা তো হচ্ছে বাণিজ্যিক ছবি, এটা তো সবাইকে স্বীকার করতে হবে। যারা চলচ্চিত্রের অনুদান নিয়ে নির্মাণ করেননি তাদের সবার নামে মামলা করা হয়েছে। প্রথমে নোটিশ দেওয়া হয়, এরপর যখন কমপ্লাই করে না তখন মামলা করা হয়। এটার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে টাকা ফেরত দিয়েছে এবং দিচ্ছে, যারা করতে পারেনি। আবার অনেকে বানাচ্ছে।


জঙ্গল সলিমপুরে উচ্ছেদ অভিযানে
সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামের সীতাকুÐের জঙ্গল সলিমপুরে সরকারি জমি ও পাহাড় দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে দখলদারদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযানে যাওয়া জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পর এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সলিমপুরের বায়েজিদ লিংক রোডের দুইপাশের ফুটপাত ধরে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউসন কোম্পানির পাইপ লাইনের ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা এবং ফুটপাত ও পাইপলাইন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের একপর্যায়ে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সীতাকুÐের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, উচ্ছেদকালে আলীনগরে যাওয়ার পর পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা আমাদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
পুলিশ জানায়, চারটি পৃথক টিমের মধ্যে তিনটি টিমের ওপর হামলা হয়েছে। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দখলদারদের হামলায় জেলা প্রশাসনের চারজন কর্মচারী, চারজন পুলিশ এবং একজন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেজারত ডেপুটি কালেকটর মো. তৌহিদুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সীতাকুÐের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ৫টি মৌজায় প্রায় ৩১০০ একর সরকারি খাসজমি আছে। চট্টগ্রাম মহানগর ছিন্নমূল বস্তিবাসী সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদ নামের একটি সংগঠন সেই খাসজমি দখল করে প্রায় তিন দশক ধরে সেখানে পাহাড় কেটে ও জঙ্গল সাফ করে প্লট বিক্রি করে আসছিল। নিম্ন আয়ের লোকজন সেই প্লট কিনে সেখানে বসতি ও দোকানপাট গড়ে তোলে। জেলা প্রশাসন বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও সেখান থেকে তাদের সরাতে পারেনি। সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী ওই এলাকায় প্রায় ১৯ হাজার মানুষ বসবাস করে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সলিমপুর থেকে অবৈধ বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে সরকারী খাসজমিগুলো উদ্ধার করে সেখানে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন। জুলাই মাস থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। মহাপরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এতে সভাপতিত্ব করবেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ