পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রম যতদিন প্রয়োজন ততদিন চলমান থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২২ ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএসসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএস ও কাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুর পর থেকে চালের দাম কমতির দিকে। সামনে আরও কমে যাবে। এজন্য আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ওএমএস যতদিন প্রয়োজন ততদিন রাখবো। এছাড়া ভারত, ভিয়েতনাম এবং মায়ানমার থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ব্যাপক হারে গম আমদানি করা হচ্ছে। ফলে দেশে খাদ্য সঙ্কট হবে না। আমাদের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। মনিটরিং টিমগুলো কি সঠিকভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা মনিটরিং করছি। জরিমানা থেকে আরম্ভ করে, এরই মধ্যে মামলাও হয়েছে। কেউ কেউ হাইকোর্ট থেকে জামিনও নিতে হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দোষীটাকে সেটা বের করার জন্য শুধু খুচরা বাজারে গেলে চলবে না। এজন্য মিলগেট, পাইকারি এবং খুচরা বাজার এই তিনটা জায়গায় যদি আপনারা যান তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। একটা খুচরা মার্কেটে দেখেন যে, একদম তার ছাদ পর্যন্ত ঠেকিয়ে চাল আছে। ধরলে বলে যে মিলের সিন্ডিকেট। মধ্যস্বত্বের কথা কেউ বলে না। আপনারা বাবু বাজারে কেউ যান না, পাইকারি বাজারে যান না। অতএব আপনাদেরকে আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি, তিনটা জায়গাতে গিয়ে আপনারা যদি একটু ধরিয়ে দেন, আমরা অ্যাকশন নিতে পারি কি-না পারি সেটা দেখেন।
ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে চালের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে এটা ভালো কথা। ট্যারিফ কমিশন আলাপ-আলোচনা করে যদি মনে করে আমরা এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের ২৩৬৩ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম চলে। এরমধ্যে শুধু চাল বিক্রয় হয় ১৯৬০টি কেন্দ্রে এবং চাল ও আটা বিক্রয় ৪০৩টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রমে প্রতিকেজি চালের মূল্য ৩০ টাকা ও আটার মূল্য ১৮ টাকা।
এদিকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে মোট ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতিমাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ কার্যক্রম বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস-সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ ও এপ্রিল পরিচালিত হয়। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সারা দেশে ডিলার সংখ্যা ১০ হাজার ১১০ জন। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে এক কোটি ৫০ লাখ ৩১৫ মেট্রিক টন চাল প্রতি মাসে বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।