পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার ি: গতকাল রোববার নাসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইপর্ব শেষ, আজ সোমবার প্রথীক বরাদ্দ দেয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১ মেয়রসহ মোট ১৬ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রত্যাহারকৃত প্রার্থীরা হলেন মেয়র পদে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের মেয়র প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, তবে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে কেউ প্রত্যাহার করেনি।
ফলে এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীসহ মোট ৭ জন প্রার্থী। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৮ জন প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫৬ জন। উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর রোববার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল। আজ ৫ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিবেন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বেই শুরু হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী লড়াই তবে মিছিল মিটিং নয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ নির্বাচনী স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছেন বাড়ীর উঠোন, মসজিদ-মন্দির ও মহল্লার অলি-গলি, শ্লোগান একটা ক ভাইয়ের সালাম নিন খুশি মনে ভোট দিন। নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হওয়া। নগরীর প্রতিটি অলি-গলি থেকে শুরু করে হোটেল রেস্তোরাঁ সর্বত্রই চলছে নির্বাচনী আলোচনা। বসে নেই বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরাও। প্রতিদিন চলেছে তাদের গণসংযোগ। এবার লড়াই হবে নৌকা আর ধানের শীষের।
র্দীঘদিন পর নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে, এ বিষয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন আসা করা যায় না। দলীয় হাইকমান্ড নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন টেস্ট কেস হিসেবে হাতে নিয়েছে। তাই আমার আমাদের দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খানকে নির্বাচিত করতে মাঠ পর্যায়ের কাজ করে যাব। নারায়নগঞ্জের মানুষ বিএনপিকে ভালবাসে তাই এবার ধানের র্শীষে ভোট দিয়ে তারা প্রমাণ করে দিবে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এ সরকার কোন দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। এখন তাকে নির্বাচিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী, কারণ গণতন্ত্র রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, সেটাকে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবো।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ৭ জন এবং ২৭টি ওয়ার্ড থেকে সর্বমোট কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন ১৫৬ জন, আর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে অংশগ্রহণ করেছেন ৩৮ জন।
বিগত নির্বাচনের ভোটার তালিকা অনুসারে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯শ’ ৩১ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ জন আর মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন। আগামী ২৩শে ডিসেম্বর পরিষ্কার হবে ভোটরদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর কে হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও ২৭টি ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। র্দীঘদিন পর নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীক, এ বিষয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, বর্তমান অবৈধ সকাররের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন আসা করা যায় না। দলীয় হাইকমান্ড নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন টেস্ট কেস হিসেবে হাতে নিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। এখন তাকে নির্বাচিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী, কারণ গণতন্ত্র রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, সেটাকে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবো।
আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করি নাই -আইভী
না.গঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করি নাই। আচরণ বিধি মেনেই কাজ করছি।’ রোববার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ডে শ্রমিকলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টারকে নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইভী।
তিনি বলেন, ‘সকালে আমি ৪জন লোক নিয়ে বেরিয়ে এসেছি। আমি এখানে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার কাকার বাড়িতে গিয়েছি চা পান করে রাস্তায় বের হয়েছি। পরে রাস্তায় নামার পর দেখি শত শত মানুষ। মানুষ যদি রাস্তায় নেমে আসে তাহলে আমার কী করার আছে। আমি তো চাইবই এসব লোকজনদের সঙ্গে কথা বলতে। এতে আমি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করি নাই। আবেগ থেকে লোকজন রাস্তায় নামলে কিছু করলে কিছু করার নাই। শত শত মানুষকে থামিয়ে রাখা সম্ভব না। আমি সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করি নাই করবোও না। কারণ, আমাদের সামনে মাত্র ১৭ দিন প্রচারণার সময় আছে। আমাদের তো সবার কাছে যেতে হবে। আমি সাখাওয়াত হোসেনকে বলবো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে মানুষের কাছে যান।’
পরে আইভী ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। আইভীর সঙ্গে ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সাদেকুর রহমান, মতিউর রহমান ব্যাপারী, সদস্য রমজান আলী, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দিন শেখ প্রমুখ।
পরে আইভী ৪ নং ওয়ার্ডে শিমরাইল (ড্যানিশ রোড), ওয়াপদা কলোনী, আর্টি ওয়াপদা কলোনী, আর্টি ওয়াপদা স্কুল সংলগ্ন, সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং, আর্টি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ১৭ নং সিদ্ধিরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা, মজিদ সাউদের বাড়ি, উত্তর আজিবপুর, আউলাবন, সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার, দক্ষিণ আজিবপুর, বোগদাদী (র:) মাজার চত্বর, সিদ্ধিরগঞ্জ রামকানাই জিউর বিগ্রহ মন্দিরসহ ৫নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো এলাকা মোড়ে সমাপ্ত করেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের জয় হবে-সাখাওয়াত
না.গঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার
সরকারকে উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ‘কালবৈশাখী ঝড় উঠে গেলে তখন আর ভাবনা-চিন্তা করার কোনো সুযোগ থাকবে না। ইতোমধ্যে ঝড় উঠে গেছে, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয় এবং মানুষকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয় তবে বিশাল ব্যবধানে ধানের শীষের জয় হবে।’
এক প্রতিক্রিয়ায় এসব মন্তব্য করেন সাখাওয়াত। তিনি বলেন, মানুষ এখন তাদের রায় দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। স্বাধীনতা হরণের সীমা অতিক্রম করেছে নৌকার নেতা-কর্মীরা। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। সাখাওয়াত বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী ফ্যাসিবাদদের রক্ষা হবে না। তাই নারায়ণগঞ্জের সকল ভোটারদের অনুরোধ করব আপনারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনাদের রায়ের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন, নির্বাচনে আপনাদের রায় দিন। বিরোধী মতের নেতাকর্মীসহ নিরীহ মানুষকে যারা হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের রায় দিন।’
আমাকে সুযোগ দিলে আমি নগরবাসীর জন্য কাজ করব।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে, টেস্ট কেস হিসেবে গ্রহণ করেছি। এ জন্য যে, দেশে গণতন্ত্র এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে জনগণের কোনো ভোটাধিকার নেই। বর্তমান সংসদ থেকে শুরু করে অনেকেই বিনা ভোটে নির্বাচিত। মানুষ সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ। আমরা দেখতে চাই সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয় কিনা। সরকারের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে কিনা, গণতন্ত্রের পথে তাদের মনমানসিকতা এসেছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য। সে কারণেই আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। একটা কথা আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। এই নির্বাচন কমিশন যাওয়ার সময় অন্তত একটা ভালো কাজ করে যাবে; যাতে তাদের শুধু গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা না হয়। তারা একটা ভালো নির্বাচন করে দিয়ে গেলে, জনগণের মতের প্রতিফলন যাতে ঘটে সেটাই আমরা চাই।
সাখাওয়াত বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। দলবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের মোতায়েন করতে হবে। অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দিতে হবে। এগুলো অবশ্যই করতে হবে। আমরা চাই একটা অর্থবহ প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন।
তিনি বলেন, আমাদের দলে কোনো বিভেদ নেই, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ৫ তারিখের পর যে যার যার অবস্থান থেকে মাঠে নামব। নির্বাচন কোনো ব্যক্তির হচ্ছে না, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।