পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাসান সোহেল : অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থী ভর্তি করা বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থদ-ের নির্দেশকে মানতে চাইছে না। অনিয়ম করা এক ডজনেরও বেশি মেডিকেল জরিমানা মওকুফের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ইতোমধ্যে সালাহউদ্দিন মেডিকেল কলেজ, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এবং ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ জরিমানা মওকুফের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে।
সূত্র মতে, গত দুই শিক্ষাবর্ষে অনেকগুলো মেডিকেল কলেজ নির্ধারিত আসনের চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। গত ৭ নভেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বেসরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল, হোমিওপ্যাথিক কলেজ/আইএইচটি/ম্যাটস অনুমোদন, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও নবায়ন সংক্রান্ত এক বৈঠকে অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থী ভর্তির অপরাধে শিক্ষার্থী প্রতি টিউশন ফি’র দ্বিগুণ জরিমানা দিতে হবে বলে মেডিকেল কলেজগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়।
যা ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধের জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত টিউশন ফি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। যার দ্বিগুণ ২৭ লাখ ৮০ হাজার অর্থদ- দিয়ে ছাত্রত্ব রক্ষা করতে পারবে বলে মেডিকেল কলেজগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তকে মানতে চাইছে না অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ।
সূত্র মতে, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ গত বছর অনুমতি ব্যতীত ৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে। একই ভাবে গত বছর এনাম মেডিকেল কলেজ ১০ জন। এছাড়া গত ৩ বছর থেকে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ১৫ জন করে ৪৫ জন অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। একই সঙ্গে নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ গত ৩ বছর থেকে যথাক্রমে ১৫, ২৫ এবং ৩৫ মোট ৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছে।
এদিকে নর্থ ইস্ট, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এবং মার্কস মেডিকেল কলেজ গত বছরে ১০জন করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। অপরদিকে বর্তমানে ভর্তি বন্ধ থাকা নর্দার্ন মেডিকেল কলেজ গত ২ বছর থেকে ৫ জন করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অনুমতি ব্যতীত অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির এ তালিকায় এক ডজনেরও বেশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। জরিমানা মওকুফে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো তদবির শুরু করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, নির্দেশ মেনে অর্থদ- দিলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা, শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. মো. আবদুর রশীদ বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিতে দ্বিগুণ আর্থিক জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দ্বিগুণ অর্থদ- না করা হলে কলেজগুলো এমন অবৈধ ভর্তি করতেই থাকবে। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের কারণে চিকিৎসা শিক্ষার মান অদূর ভবিষ্যতে খুব ভালো হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা) সালমা আক্তার জাহান ইনকিলাবকে বলেন, জরিমানা প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জরিমানা মওকুফের আবেদন করেছে। এটা মওকুফের বিষয়ে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।